চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
দর্শনা পৌর ভবনের পেছনে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র ভবন। সম্প্রতি এর নির্মাণ কাজে প্রয়োজনীয় রডের পরিবর্তে বাঁশের চটা বা কঞ্চি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে নিম্নমানের ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহারেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তারা।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ও জেলা কৃষি কর্মকর্তা নির্মল কুমার দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা।
৩ হাজার ৭৫০ বর্গফুটের একটি আধুনিক ল্যাবরেটরি ও অফিস ভবন নির্মাণের কাজ পায় রাজধানীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয় ইন্টারন্যাশনাল। এরই মধ্যে ভবনের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে, গাইবান্ধার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের কাজেও রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার সকালে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার কোরে সদর উপজেলার মেঘডুমুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগারের মেঝে ঢালাই করছিলো নির্মাণ শ্রমিকরা। এ সময় এলাকাবাসী সেখানে গেলে নির্মাণ শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। এর আগেও রাতের আঁধারে শৌচাগারের ছাদ ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হয় বলে জানান তারা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পরে আব্দুল খালেক নামে সাদুল্যাপুর উপজেলার এক ঠিকাদারকে নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে, তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১