দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভালো নয় এটা নতুন করে বলার কি আছে। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার আন্তরিক চেষ্টা সরকারের আছে বলে মনে হয় না। দিন দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নানা ভাবে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের সরকার উপর যেহেতু টিকে আছে সেহেতু তাদের উপর খবর দারীর অধিকারও হারিয়েছে বর্তমান সরকার। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপরস্ত কর্তা ব্যাক্তিরা হরহামেশাই রাজনৈতিক নেতাদের মতো সরকারের পক্ষে অবৈধভাবে বক্তৃতা দিচ্ছেন।
যাই হোক আসল কথায় আসা যাক। জামায়াত ও আওয়ামী লীগকে দুটো আলাদা মেশিন হিসেবে পরিচয় ঘটিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই সক্ষম হয়েছে সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ হলো এমন মেশিন যেখানের রাজাকার প্রবেশ করলে মুক্তিযোদ্ধা বের হয়। আর এই মেশিন ত্যাগ করলে মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকারের পরিনত হয়। আরা জামায়াত হলো এমন মেশিন যাতে, আওয়ামী লীগের সকল অপকর্ম এই মেশিনের উপর দিয়ে পবিত্র হয়।
আর তার ধারাবাহিকতায় লিটন হত্যাকান্ডটি জামায়াতে চাপা পড়তে যাচ্ছে। যেমন চাপা পড়ছে নাসিরাবাদের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা। হামলার সাথে সাথে তদন্ত ছাড়াই জামায়াত করছে বলে সনাক্ত করে ফেলেছেন। কেউ কেউ তো ঘটনাস্থলের মাটি দেখেই বুঝতে পারছে জামায়াত করছে।
আর লিটন হত্যাকান্ডটি তো জামায়াতের ঘাড়ে চড়ানো সব থেকে সহজ। তাই সাথে সাথে মাটি দেখার আগেই ওবায়দুল হানিফরা সনাক্ত করে ফেলেছেন। এখন বাকি কেবল জাজমেন্ট।
আর হত্যাকান্ডগুলো জামায়াতে চাপা দিয়ে আসল হত্যাকারীদের পবিত্র করে তুলছেন। আসল হত্যাকারীরাও মাশাল্লাহ তারা তাদের কাজ কন্টিনিউ চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩