মৃতের ভাগাড় হতে চলেছে আমাদের এই ছোট্ট বাংলাদেশ!
মৃত্যুর মিছিলে একজন দিনমজুর লেখিয়েছেন তার নাম। কাল মরে যাবে এদেশের একজন অতি সাধারন কৃষক। পড়শু মারা যাবেন একজন রিকশাচালক।
মা বিক্রি করে দেবেন তার আদরের শিশুটিকে। সন্তান বিক্রি করার টাকায় তিনি কিনবেন সামান্য মোটা চাল। আর যে অক্ষম বাবা সন্তানের মুখে তুলে দিতে পারবেন না একমুঠো ভাত ; সে হয়তো ছুরি বসাবেন আদরের পুত্রটির গলায়!
আর মরে যেতে পারবেন না যারা ; তারা বেঁচে থেকে মরবেন আরও অধিক।
রাস্ট্রপরিচালকের দেয়া পরামর্শ মতে তারা ভাতের বদলে আলু খাবেন। আলু ফুড়িয়ে গেলে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হবে পানি খেতে। আলূর বদলে তখন পেট ভরতে হবে পানি খেয়ে! হয়ত পানিও জুটবে না অনেকের ভাগ্যে।
তাদের জন্য একমাত্র দাওয়াই বায়ু সেবন!
হুমম বাঙালি;এবার বোঝো ঠেলা; বাতাস খেয়ে বাচঁতে হবে তোমাকে! বাতাস খাও! বাতাস!
একটা দেশ ক্রমাগত ডুবে যাচ্ছে ক্ষুধার অন্ধকারে। রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা কঙ্কালসার মানুষটির মতো রুগ্ন-কঙ্কালসার হয়ে যাচ্ছে দেশটি। অথচ আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানেদের মুখ দারুন উজ্জল এখনও! তারা কোটি কোটি টাকার গাড়িতে বসে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ব্যাস্ত। তাদের চোখ-মুখ-চুল-বিষ্ঠা-বীর্য-প্রসাব এখন নির্বাচন নির্বাচন বলে ব্যাস্ত। তারা আমাদের নির্বাচন দেবেন; আমেরিকানাইজ গনতন্ত্র দেবেন; দেশকে তুলে দেবেন নান জাতের গাড়লদের কাছে। আর ভাত না খেয়ে মরবে আমাদের কৃষকেরা। মরবে মধ্যবিত্তেরা।
আমরা কৃষকেরা মরে যাবো। আমরা মধ্যবিত্তেরা মরে যাবো। আমাদের দিনমজুরেরা মরে যাবে। শুধু বেঁচে থাকবে আহমেদ উদ্দিনেরা। বেঁেচ থাকবে ফখরুদ্দিনেরা। বেঁচে থাকবে নির্বাচন! বেচে থাকবে গনতন্ত্র। শুধ বাঁচব না আমরা। যাদের জন্য এই গনতন্ত্র;নির্বাচন;উদ্দিন;ফকরুদ্দিনেরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ১২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




