somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমন 19

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দল নাইটো শোতে ছবি দেখতে যাবে ঠিক করলো, অন্যরা আবার বাজারে যাবে, আরও কিছু কেনা যায় কিনা, ব্যাগসংকটে পড়েছে অনেকেই, বিভিন্ন জনের ব্যাগ ভাড়া নেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে, অবশ্য সবাই নিজের জন্য কেনাকাটা করছে এমনও না। এত সব জায়গায় যাবে বলে আমাদের সানন্দা পড়া মধ্যবিত্তসমপ্রদায় আগ্রায় কার্পেট, রাস্থানের দেয়ালচিত্র এসব খবর জেনে গেছে, ওরা সবাই জানে কোথায় কোন দ্্রব্য বিশিষ্ঠ, ধন্য বিশ্বায়ন, ধন্য সানন্দার সম্পাদক, যারা ভারতের ঐতিহ্যের খবর পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের ঘরের কোনায়। আমরা সব দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া জাতি। আমাদের বৈদেশিক দুতাবাসের কেউ বাংলাদেশের বিষয়ে কোনো কিছু রাখে না। সেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের নিদর্শন থাকে না। আমাদের কুটির শিল্পের কোনো নমুনা থাকে না। আমাদের দুতেরা আমাদের কোনো ব্যাবসাসমপ্রসারনের দায়িত্ব নেয় না বিদেশের মাটিতে।অথচ আমরা তাদের নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে বেতন দিচ্ছি, তাদের ছেলেমেয়েদের বিদেশভ্রমনের সুবিধাও দিচ্ছি, তাদের সুইমুংপুলের নীল পানি আর ঘরের তৈজসে আমাদের জনতার শ্রম মিশে আছে অথচ তারা এই জনতার নিত্যদিনের জীবনযাপনের উন্নতি হোক, তারা বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশের পন্য নিয়ে বিশ্বের আনাচে কানাচে পৌঁছে যেতে পারে এমন কোনো প্রচেষ্টা নেয় না। সবগুলো দুতাবাসের একই অবস্থা, বাংলাদেশের কোথায় কি ঐতিহ্য আছে এই খবর পাওয়া যাবে না দুতাবাসে, পাওয়া যাবে না আমাদের কোথায় কোন পন্য বিশিষ্ট, আমাদের রাজশাহীর আম, ঢাকার বাকরখানির খবর পাওয়া যাবে না, চকবাজারের ইফতারের ঐতিহ্যের খবর পাওয়া যাবে না। আসলে দেশের পরিচয় দেশের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এইসব ছোটোখাটো জিনিষ, আমাদের নক্সি কাঁথা শিল্প, আমাদের মাটির গহনা আমাদের মনোপুরি তাঁতের জিনিষ আমরা বিশ্বের দরবারে পরিচিত করতে পারি, আমাদের পাট শিল্পও আমরা আবারও নতুন ভাবে সামনে আনতে পারি, প্রয়োজন সদিচ্ছা, প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রচারনার সুযোগ, আমাদের দেশের দৈনিকের রাজনীতি, সংলাপ, সংঘাতের খবরের পাশে এখন সপ্তাহান্তে একবার একজন সফল কৃষকের কথা প্রচারিত হয়, প্রচারিত হয় মৎস্যচাষীর কথা, এভাবেই আরও অনেক মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়া দরকার। তবে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে এমন ইংরেজি পত্রিকার অভাব খুব বেশী। ভ্রমনতথ্য পঞ্জিকা বলে এক ধরনের লিফলেট পাওয়া যায়, ভারতের সব শহরেই এসব কিনতে পাওয়া যায়, তবে ভারতের দুতাবাসে এসব লিফলেট এমনিই সাজানো থাকে, এটা নিজের দেশকে পরিচিত করা, পর্যটন বিকাশমান শিল্প, আমাদের কক্সবাজের সুবিশাল সৈকতের কথা আমার তুলে ধরতে পারি, আমাদের উপজাতি ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরতে পারি, বিপননের যুগে প্রেজন্টেশন একটা বিশাল বিষয়,বিপনন দক্ষতায় মানুষ সৈদি আরবের মরুভুমিতেও বালি বেচছে মাটি বেচছে, আমরা এমন কিছুই পারছি না।
এই হতাশার কথা বলে কি হবে আর, আমরা সন্ধ্যায় বাজারে ঘুরছি, অন্ধকার হলো, এখানের সব শহরের 8টার পর প্রদীপ নির্বাপন, সবাই দোকান ছেড়ে ঘরের পথে যায়, টিমটিমে আলোতে জেগে থাকে প্রায় ঝিমিয়ে পড়া শহর, লোকজন যায় নাইট শোতে ছবি দেখতে, লোকজন এই রাত 8টার পর নিজস্ব পরিবারের সাথে একান্ত সময় কাটায়, বিনোদনের প্রয়োজন অনুভব করে, আমাদের মার্কেট গুলো চলতে থাকবে ঘড়িতে 11টা বাজবে আমাদের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হবে, এই পুরো সময়টাতে জ্বলে থাকবে মুল্যবান বৈদু্যতিক আলো, আমাদের বিপন্ন গ্র ীড আরও ঝড়ঝড়ে হয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশ জুড়ে বাজার তৈরি করেছি অথচ বাজারকে নিজেদর মতো নিয়ন্ত্রন করতে পারছি না। আমরা রংচংয়ে বেশ্যালয়ের দরজা, এখানের মানুষগুলো সব বেশ্যা, নিজস্ব পছন্দ নেই, কর্তার মর্জি হলে কখন তিনি তার চানবদন প্রদর্শন করবেন তারই অপেক্ষায় 11টা পর্যন্তক্রেতার অপেক্ষা করে দোকানী। সেই 11টায় ঘরে ফেরার পর তার সন্তান থাকে ঘুমিয়ে, বৌ ক্লান্ত হয়ে দেখে হিন্দি সিরিায়ল নাতো ক্যাবলে নতুন ছবি, লোকটা কোনো মতে গোসল সেরে খায়, খেয়ে বিছানায় যায়, যদি দোকানে কোনো যৌনাবেদনময়ী গ্রাহক এসে থাকে তাকে চিন্তা করে একটু রতিঃক্রিয়া সেরে আবার সকালে গোসল করে উঠে দোকানে চলে যায়। এই লোকটার কোনো পারিবারিক জীবন নেই, অথচ একটু নিয়ম করে দিলেই সপ্তাহের সব কটা দিন এই কর্মচারী তার সন্তানকে দিনের একটা ঘন্টা দিতে পারতো, তাকে জীবনসম্পর্কে শিক্ষা দিতে পারতো, বাবা থেকেও এসব শিশুর কোনো বাবা নেই, এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে আমাদের বাজারব্যাবস্থা।
আমরা কোলকাতায় লিটু ভাইয়ের ন তৃত্বে রাস্তায় ঘুরছিলাম, এখনও লিটু ভাইয়ের ন তৃত্বে ঘুরছি। এখানের রাস্তায় সামুদ্্রিক মাছের ফ্রাই বেঁচে, চমৎকার উপাদেয় জিনিষ, চিংড়ি ভাজা বেঁচে বাংলাদেশের তবে বাংলাদেশের মুখরোচক ভাজাপোড়ার জগতে আমিষের কমতি আছে, সেই গুরুর কাবাব চাপ বেচে ঠিকই তবে এমন চলমান কাবাবের দোকান ঢাকায় দেখি নি আমি। চলমান মাছ ভাজার দোকান তো ঢাকায় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
আমাদের চলমান দোকান হলো মুড়ি মাখানো, আমাদের চলমান দোকান চানাচুর আর আলুর চিপসের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে মাঝে মাঝে 5টাকার প্যাটিস বেঁচে , এ ছাড়া পিয়াজু, চাপ বেচে ,তবে ভ্রাম্যমান দোকানের জায়গাটা এখনও উন্মুক্ত। এখানে এসে অনেক কিছুরই অভাব বোধ হচ্ছে, আমাদের রাস্তায় রাস্তায় কেনো ফলের রসের দোকান নেই, অবশ্য এই আক্ষেপ কমেছিলো পরের দিকে, কিছু ভ্রাম্যমান ফলের রসের দোকান দেখেছি।
এসব খেতে খেতে সামনে যাই, একটা মিষ্টির দোকান দেখে সেখানে ঢুকে পড়ি সদলবলে। বিভিন্ন সন্দেশ বাছাই করে কেনা হয়, সবাই সব ভাগ করে খাই, একটু একটু করে চেখে দেখে কয়েকটা আবার নিয়ে আসি, ওসবে সবাদ আসলেই ভালো। রাজস্থানের মিস্টি বস। এসবের পরে আবার রাস্তায়, এবার গন্তব্য সেই মাছ ভাজা খাবো, সেখানে গিয়ে দাঁড়াই এবং এক মাতালের পাল্লায় পড়ি, মাতাল শিক্ষিত, মাতাল কোথায় কাজ করে জানা হয় না, তবে ইংরেজিত েঅনেক লম্বা চওড়া আলোচনা চলে, দেশের গোপন সমস্যা থেকে শুরু করে বৈশ্বিক অশান্তির সুরাহা সবই সেই বিজ্ঞ জনের কাছে আছে, আমরা কৃতার্থ হই, আমরা আমাদের জ্ঞানের ভান্ড ভরে জ্ঞান নেই, মাতাল আমাদের বোতল উঁচিয়ে শুভেচ্ছা জানায়, বলে ফর ফ্রেন্ডশীপ সেক একটু চুমুক দাও, মাছ ভাজার সাথে হুইস্কি ভালো জমবে, জমাটাই উচিত। তবে আমাদের হাত মাঝে পথে জমে যায়, আমাদের সংশয় আমাদের হাত থামিয়ে রাখে, পীড়াপীড়রির জবাবে সবাই কারণবারি স্পর্শ করে না এমন ভাবটা বজায় রাখে, কোনো মতে মাছ ভাজা খেয়ে, আহা বড়ই সুস্বাদু জিনিষ, এইসব রাস্তাঘাটের জিনিষের স্বাদে সবসময় বাড়তি বিষয়টাই থাকে, ঘরে বানালে ঐ স্বাদ পাওয়া যায় না, আমরা মাতালের পাল্লা থেকে মুক্ত হই, এবং একটা মদের দোকানের সামনে গিয়ে মদ কিনি, এখানে মদের দোকান খোলা থাকবে আরও সামান্য কিছু সময়। মদ কেনা শেষ হওয়ার পর আমরা কাগজের পয়াকেটে মদ লুকিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মাথার উপর চমৎকার চাঁদ ছিলো কয়েক দিন, জোৎস্নার সময় রওনা দিয়েছিলাম বাংলাদেশ থেকে, এখন কৃষ্ণপক্ষ চলছে, চাঁদ ক্ষয়ে যাচ্ছে, আমাদের জীবনিশক্তি ক্ষয়ে যাচ্ছে, আমাদের পকেটও ধ্বসে যাচ্ছে, সামগ্রিক গ্রহন কাল।
অবশেষে শহরে আর কিছুই থাকে না দেখার মতো, আমরা হাঁটতে হাঁটতে হোটেলে ফিরছি। হোটেলে ফিরে খাওয়া হলো মনমতো, খেয়ে আড্ডা দিতে বসবো, কিসের কি, সবাই এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রেক্ষগৃহে গিয়েছে ছবি দেখতে, হোটেল ফাঁকা। তানভীর সমানে মাল সাটাচ্ছে, ও ঘরে ফিরেই অধিক উৎসাহে বোতল খুলে বসেছে, সোডা ওয়াটার আর হুইস্কি, কিংবা ড্রাই জিন, কিংবা অন্য কোনো জিনিষ, তার ব্যাগের বোতলের ভেতরের জিনিষ কি আমি জানি না শুধু জানি 750 মিলির বোতল শেষ হচ্ছে 2 দিনে, প্রতি 2 দিন পর পর তার বোতল পরিবর্তিত হচ্ছে ,সে হিসাবে এটা তার চতুর্থ বোতল ভারতে পদার্পনের পর। মানুষ দুপাশের দৃশ্য চেখে খায়, ও সমানে বোতলজাত মদিরা চেখে যাচ্ছে।

রাত 12টায় সবাই নাইট শো শেষ করে ফিরলে হোটেল গম গম করে, আমরাও জীবন ফিরে পাই। রাতের খাওয়ার পর লিটু ভাই ঘুমিয়ে পড়লো ভালো মানুষের মতো।আমিও রুম নাম্বর মিলিয়ে নিজের ঘরে গিয়ে শোয়ার চেষ্টা করলাম। তবে ঘুম আসলো না,কোনো কারন ছাড়াই ঘুমবিহীন বিছানায় এপাশ ওপাশ করাটা বিরক্তিকর, তার উপরে ঠান্ডায় বিছানা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। অবশেষে সাধের ঘুম ছেড়ে অন্য রুমে গেলাম বন্ধুদের খবরাখবর নিতে।
গিয়ে দেখি এলাহী কারবার, সবাই ছবি দেখে এসে , রাতের খাওয়া শেষ করে, একটা জমজমাট পার্টি শুরু করেছে, আসলে এই একটা রাত আমরা আমাদের মতো উদযাপনের জন্য পেয়েছি, এত ছুটাছুটির পর একটা দিন একটু মন্থর চালে চলেছে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয়েছে, সবাই ফুর্তি ফুর্তি ভাবে আছে, আর এর পরের দিন যাবো ট্রেনে চাপবো, সেখান থেকে কোলকাতা, কোলকাতা থেকে বাংলাদেশ, আকাশে চাঁদ উঠে গেলে কোলকাতায় রাত কাটানো হবে না, হুড়মুর রওনা দিতে হবে। তাই অনিশ্চয়তা দুরে রেখে এই একদিন আড্ডা দাও।
সব সরঞ্জাম প্রস্তুত, তমাল, রুবেল, যুঁথি, বাবু মর্তুজা, জসিম, জামাল, লুকু, শমিক, সোনিয়া রিম্পি, এখানে, স্বর্না আর আইভি এখানে নেই, ওরা নিজেদের ঘরে বসে আছে, সামান্য অসুস্থ। সাথে আছে লেমন জীন, বীয়ার, হুইস্কি, প্রচুর সিগারেট, পানির বোতল আছে, আছে চানাচুর, চাটের বিকল্প, আছে বিস্কুট। মোটামুটি ভরপুর আয়োজন, তানভীর তখন ভর মাতাল, যুঁথির পেছনে পেছনে এসেছে মনে হয়, অবশ্য তানভীর এই সম্পুর্ন ভ্রমনে একটা বাফারের কাজ করছে, ও সারাক্ষনই মাতাল থাকে, কেউ রেগে গেলে ওকে একচোট গালি দেয়, ও ঘোলা চোখে তাকায় কিছু বলে না, অবশ্য ও কিছু বুঝতে পারে এমনটাও মনে হয় না। তাই আমাদের কারই মানসিক অবস্থা, ক্ষোভ মিলিয়ে বিস্ফোরক পর্যায়ে যায় নি। লুকু বিরক্ত, অবশ্য সবাই বিরক্ত, যুঁথি মোটামুটি সবাইকেই বলেছে তানভীরের আঁখিও সে গোলি মারের সংবাদ,
তানভীর বাসার একমাত্র ছেলে, সার্বক্ষনিক চাপের উপর থাকে, ওকে সবারর চেয়ে ভালো ছাত্র হতে হবে, এবং ওর স্কুল জীবনের কোনো বন্ধুর নাম আমি শুনি নি, কলেজের সমস্ত সময়টাতে ও সবার চেয়ে নিজেকে আলাদা প্রমানের চেষ্টা করেছে, ফলে বন্ধু হয় নি তেমন, পরিচিত হয়েছে বেশ কয়েকজন, এবং তারা তানভীরকে কৌতুকউপাদান হিসেবে ব্যাবহার করেছে, বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক ধাপগুলো নিয়মমতো পাড়ি দেয় নি বলেই ওর মানসিক গঠনে সমস্যা। ও সবার সাথে মিশতে চায় অথচ সেই কানেকশন করার ক্ষমতাটা কম, ওর ধারনা ও কিছুটা আলাদা ভাব ধরলেই সবার ওর প্রতি উৎসুক হবে, পারফেক্ট, এটেনশন ডেফিসিয়েন্সি প্রব্লেম কেস, টেক্সট বুক এক্সামপল বলা যায় ওকে, তবে এত চেষ্টা করেও ওর এই কৌতুকপ্রদ উপাদান হয়ে যাওয়াটা আরও ভয়ঙ্কর হয়েছে ওর জন্য,নইলে যুঁথির সাথে সহজ একটা সম্পর্ক হয়েও যেতে পারতো ওর।
লুকু ওকে বললো রুকুতে যা, ও রুকুতে গেলো তার পর ওর পাছায় কষে একটা লাথি দেওয়া হলো, ও হুমড়ি খেয়ে পড়লো মাটিতে। আমার মেজাজটা চড়া ছিলো, আরও চড়া হলো এই ঘটনায় কেউ একটা পালটা কথা বললো না দেখে, একজন মাতাল, তার সেন্স কমে গেছে এর মানে এই না যে ঘর ভর্তি সবাই মাতাল, মানুষকে হেনেস্থা হতে দেখলে আমিও আমোদিত হই, আমিও সুযোগ পেলে মানুষকে হেনেস্তা করি, তবে একটু সীমা রেখেই করি, সেই সীমটা বজায় রাখতে পারাটাই আসল বিষয়, এখানে সবাই আনন্দিত হচ্ছে, হাততালি দিচ্ছে, তানভীরের পাছায় লাথি দেওয়াটা দোষের কিছু না, আমি হলে আরও কষেই লাথি দিতাম হয়তো, তবে সবাই এই বিষয়টা উপভোগ করছে দেখে ভয় লাগলো।
সবার ভেতরেই সামান্য পাগলাপানি পড়েছে, সবার চিন্তাই সামান্য ঘোলাটে, মানুষের যৌথবিনাশের কাজগুলো সবসময় অদ্ভুত।বিষয়টা যদি আনন্দের দৃষ্টিতে দেখে নিছক কৌতুক ভেবে যদি এটাকে উপভোগ করতে শুরু করে তাহলে সবাই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজটা শুরু করবে পরিনতির চিন্তা না করেই।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×