সেক্স অ্যাপীল নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারন নেই, আমাদের মতো এমন নিবেদিতপ্রান প্রেমিক পাবে কোথায় ওরা। কোনো রকম দাবি নেই, বন্ধন নেই, এমন সর্বময় প্রেম কি আর সবাই দিতে পারে। আমরা দল বেঁধে ট্রেনের কামড়ায় কামড়ায় ঘুরি, আমরা মেয়ে দেখি, শাড়ী পড়া, স্কার্ট টপস, বিবাহিত - অবিবাহিত, কাউকেই ছাড়াছাড়ি নেই, এক দিন বিকালে বইমেলায় 2 ছেলের টুকরো কথা কানে এসেছিলো, জন্মের টাংকি মারছি আইজকা, শালার পুলিশরেও ছাড়ি নাই। আমাদেরও একই অবস্থা, 16 থেকে 36 সবাইকেই দৃষ্টির প্রাসাদ দিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের বিভিন্ন প্রেমকুঞ্জে বেগানা বোলতা হয়ে ঝামেলা করছি না, নিজেরা নিজেদের মতো চলছি, তারা নিজেদের মতো প্রেম করছে, একটা ভব্যতা বলে বিষয় আছে, যেখানে অনাহুত সেখানে গিয়ে অযথা তাদের বিব্রত করার মানে হয় না। আমরা অবসরে পাশের যাত্রির সাথে সম্পর্ক পাতাই, ট্রেন বাসের যে কোনো বড় জার্নিতে এটাই নিয়তির মতো। পাশের যাত্রি বয়সানুপাতে কখনও ভাই কখনও চাচা কখনও দাদু, যে যে ভাবে নিতে চায়, এর পর পারিবারিক আলাপ, ছেলে মেয়ে কয় জন, ভাই বোন কয়জন, কি করেন, কোথায় পড়েন, কোথায় চললেন, গিয়ে কি করবেন, একেকটা সামাজিক সাক্ষাৎকার পর্ব চলে, এত দুরে কাউকে পরিচিত পাওয়ার সম্ভবনা কম, বাংলাদেশে হলে দেখা যেতো, ও আচ্ছা আপনি চৌধুরি বাসার পাশে থাকেন, ওখানের মুন্সি উকিলকে চিনেন উনি তো আমার খুব কাছের মানুষ, এভাবে দেখা যেতো আমরা কোনো না কোনো সুতায় বাঁধা, এই ট্রেনেও একজনের সাথে দেখা হয়ে গেলো বাসা ফরিদপুর, ফরিদপুরের কতলোক কোলকাতা থাকে কে জানে, এটাকেই দেশমগ্নতা শৈশব মগ্নতা বলে বোধ হয়, সেই কবে কোন কালে দেশ ছেড়ে এসেছে, এখনও সেই পুকুর আর ধানী জমির গল্প করে, সবাই একবার না একবার জীবনে শৈশবে ফিরে যেতে চায়, দেশ বদলে ফেলা মানুষগুলোও এমন ভাবেই শৈশবের সুতায় ফেলে আসা দেশযাপন করে, আমাদের বাঙাল বাংলা শুনে উৎফুল্ল হয়, উৎফুল্ল হয় সে জায়গা ভালো আছে বললে। এর পর রাজনীতি চলে আসে, দেশটা নষ্ট করে ফেললো, এই হলো সেই হলো। আমাদের রাজনীতি সচেতনতা অপরিসীম, আমরা দেশ-কালের সীমানা ছাড়িয়ে রাজনীতি ভাবি, বুশের কোন ইসু্যতে কি রকম আচরন করা উচিত ছিলো এটা আমাদের তুলনায় ভালো আর কেউ জানে না। ব্লেয়ার কি করলে ভালো হতো, এটা যদি সে আমাদের কাছে শুনে নিতো তাহলে কি আর এ সমস্যায় পড়ে ব্যাটা। নিশ্চিত ভাবে বাঙালি উপদেষ্টা পেলে রাশিয়ার পতন হতো না। গর্ভাচেভের পেরেস্তাইকা সফল হতো।
রাত আসে, আমাদের খাওয়ার পরে চা একটু পান, একটু সিগারেট দিয়ে আপ্যায়ন চলে, অতিথি সৎকারের দায় আসলে কার? আমরা ও তারা সহযাত্রি তাই দুজন দুজনকে আপ্যায়িত করি। আমাদের ভালো লাগে, মর্তুজার নামের সাথে লেগে থাকা হোগা সেনা সম্বোধন, আর তানভীরের নামের সাথে লেগে থাকা দারু সেনা, এই 2টাই হিট। সুপার হিট, অবশ্য মর্তুজার নাম আরও সংক্ষিপ্ত, হোগা বলেই পরিচিত। আমাদের বালিশ সেনা তখনও প্রেমকুঞ্জে ব্যাতিব্যাস্ত সেবাধর্মে।
রাত আসলো, ভোর হলো, ট্রনের কারাগার থেকে মুক্তি পেলাম সকালে। সেই আগের হোটেলে ট্যাক্সি নিয়ে, একই রুমে ঢুকে গেলাম, আজ আমাদের সত্যেন বোস রিসার্চ ফাউন্ডেশনে যাওয়ার কথা, এর আগে আই আই টির ল্যাবে যাই নি আমরা কেউই, প্রফেসরেরা খুবই মর্মাহত হয়েছেন, তারা প্রায় 1 মাস যাবত ই মেইলে যোগাযোগ করে এই দিনক্ষন ঠিক করেছিলেন, আমরা প্রথম বার যাই নি ওটা না হয় ক্লান্তির অজুহাতে, আজ কেনো যাবো না?
এসব জায়গায় সিরিয়াস আলোচনা অর্থহীন এ কথা কে বোঝাবে প্রফেসরকে। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে রওনা দিলেন, কাউকে না কাউকে যেতে হবে, আমাদের শিক্ষা ভ্রমনে আমরা বাজার শিক্ষা নিয়েছি এটাই যথেষ্ট, কত রকমের দরদাম করা সম্ভব তার হাতে কলমে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে, এত এত প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছি, এসব দেশভ্রমন শিক্ষার অঙ্গ বিবেচিত হলে আমরা যথেষ্ট শিক্ষিত নতুন করে রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ যেয়ে কেলেংকারি করার কোনো মানে হয় না।
আমরা বরং নিককো পার্ক যাবো, সায়েন্স সিটি যাবো। এবং গেলামও সায়েন্স সিটি। একেবারে বাচ্চাদের জিনিষ, আমাদের মতো বড়দের জন্য অবশ্য ভ্রমানার্থি এবং শিশুদের মায়েরা আছে, আমাদের কোলকাতার দিদিদের দেখে নয়ন জুড়ালাম, শাড়ী আসলেই ভয়ংকর একটা পোশাক, খাপ খোলা তলোয়ারের মতো ঝকঝকে শাড়ী পড়া তরুনী দেখে আর ছেলের আঙ্গুল ধরে হাঁটা দিদিমনিদের দেখে নতুন করে এই সত্য আবার উপলব্ধি করলাম, এমনিতেই দেশে পহেলা বৈশাখ আর পহেলা ফাল্গুন আমার ভালোই লাগে, বাসন্তি শাড়ী আর শাদা শাড়ী লাল পাড় দেখে হঠাৎ ইউনিভার্সিটির সব মেয়েদের কমনীয়- রমনীয় লাগে, এখানে উৎসবের মতো, শিফন, সিল্ক আর মুদা তসরের বাহার।
সেখান থেকে আবার হোটেলে ফিরে এসে গড়ের মাঠ। এই গড়ের মাঠ নিয়ে কত কত উপন্যাস, এখানেই কত নায়ক নায়কা বসে হাওয়া খেতে খেতে প্রেম জমিয়ে ফেললো। কোলকাতা আর্ট কলেজে এক্সিবিশন হচ্ছে, কিসের এক্সিবিশন কে জানে, ঢুকে পড়লাম, কিছু একটা করতে হয় বলেই ঢুকে পড়া, বিভিন্ন ছবি দেখলাম, যেই চিরচারিত বাঙ্গালি ধাঁচ, সেই যামিনী রায়, সেই স্বপন বসু, সেই সাওতালী ফর্ম আসলে কোলকাতার ছবিগুলোর যতটুকু দেখলাম ছাঁচ ভেঙে বেড়িয়ে যাওয়ার আগ্রহ কম, বাংলাদেশের প্রদর্শনীতে অনেক ধাঁচের কাজ দেখা যায়, এখানে এখনও সেই হাজার রকম নিরীক্ষা শুরু হয় নি প্রবল ভাবে। এটা একটা প্রদর্শনী দেখে বলা অভিজ্ঞতা বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। একটা ভাস্কর্য দেখে মুগ্ধ হলাম, অবশ্য খুবই সাদামাটা জিনিষ, বুঝতে পারলাম বলেই ভালো লাগলো হয়তো।
একজন সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠছে, ক্রমশ সংকীর্ন হয়ে যাচ্ছে জায়গাটা। শীর্ষে মাত্র একজনই উঠতে পারে। সবাই সব দিক থেকে উঠার চেষ্টা করে তবে যেকোনো এক সময়ে, যেকোনো এক বিষয়ে সেরা হয় একজনই, তাকেই সবাই মান্যগন্য করে।
সেখান থেকে মিউজিক্যাল ফাউন্টেইনে গেলাম, সাঁঝের অন্ধকারে, হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা না জানে কিস পে আয়ে গা
রাজকাপুর নাইট মনে হয়, সবই রাজকাপুরের ছবির গান, ভীষন রকম সেন্টিমেন্টাল আর নস্টালজিক আবহ, চারপাশে মানুষ বসে আছে, হাতে হাত ধরে হাঁটছে, প্রেম করছে নিভৃতে, একটু খাঁ খাঁ করে ভেতরটা, এত প্রেমের ভেতরে কেউ নেই সাথে, কারো ঠোঁটে ঠোঁট মেলাতে ইচ্ছা হয়, ইচ্ছা হয় সবটুকু সুখ শুষে নিতে এক চুমুকে, আর দুঃখ ভাগাভাগি করতে।
যখন কথা ফুরিয়ে যায় তখন অধর অধরের সাথে কথা বলে। এমন সময় কামনা বাড়তে থাকে।
আমরা অন্ধকারে সরে যাই, এখানে আমরা মাত্র 5 জন, সোনিয়া রিম্পি, যুঁথি শমিক আর আমি। আর কেউ আসে নি, সবাই নিউ মার্কেটে শেষ সময়ের কেনাকাটায় ব্যাস্ত। আমরা রাতের কোলকাতায় ঘুরবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ, যতটুকু পারা যায় দেখবো। শমিকের ছোটো ভাইয়ের হট হুইলজ কেনা হয় নি, আমরা গড়ের মাঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হলাম, শমিক, রিম্পি আর সোনিয়া গেলো শমিকের ছোটো ভাইয়ের হট হুইলজ কিনতে, আমার ঘাড়ে ক্যামেরা আর ট্রাইপড। শমিক রাতের নিষেধ এড়িয়ে চুরি করে ঢুকেছিলো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, সেখানের পুকুরে রাতের লাইট শোর আলোর প্রতিফলনের চমৎকার দৃশ্য ভাসে, পুকুরের এক পাশ থেকে এই সম্পুর্ন ভিউটাই তোলা যায়, উপরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নীচে তার প্রতিবিম্ব, অনেক সময় নিয়ে বার কয়েক এপারেচার ঠিক করে, শাটার স্প ীড কমিয়ে কয়েকটা স্ন্যাপ তোলা হলো। অদ্ভুত সুন্দর হয়েছিলো, যেকোনো নামী ভিউকার্ডের তুলনায় ভালো। ফ্রেমিং সুন্দর ছিলো তাছাড়া ঝকঝকে, ডিভিডি প্রিন্ট ছবি এসেছিলো একবারে।
সেই কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর আর কিছু করার নেই, শমিক ওদের নিয়ে হট হুইলজ খুঁজতে গেলো, আমি আর যুঁথি নস্টালজিক এবং প্রেমময় একটা অনুভুতি নিয়ে পাশাপাশি হাঁটছি, এমন পরিবেশে গান গাওয়ার নিয়ম, আমরা গান গাইছি, নীচু গলায় গাইছি, হাসছি, চমৎকার আবহ, মৃদু শীত, তবে সেটা শরীরে কাঁটা দেয়, আমরা পরস্পরের দিকে তাকাই, অকারনে হাসি।
এভাবেই পুরুষ রমনীর চোখে খুঁজে পায় ভবিষ্যত হয়তো বা, আমরা কেঁপে উঠি, শীতে কিংবা কামনায়। যে কারনেই হোক আমি জ্যাকেট জড়িয়ে নেই, যুঁথিও সদ্য কেনা শালটাকে জড়িয়ে নেয় গায়ে। আমরা আবারও তাকাই, চোখ নীচু করি, অকারনে কথা থেমে যায়। সেসব সময়ে আমাদের চারপাশের বাতাসে অকথিত কথারা পরস্পর আলিঙ্গন করে। আমরা কোলকাতায় রাত 9টার নির্জনতার হঠাৎ করেই পৃথিবী বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য কোনো এক বিচ্ছিন্ন দ্্ব ীপে নির্বাসিত হই।
আমরা পথ হারাই। এটাই সম্ভবত স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। আমরা কোলকাতার গলি উপগলি চৌরাস্তা, রাজপথে অকারনে হাঁটি আর হাসি, আমাদের ফেরার তাড়া, আমাদের জন্য বন্ধুরা অপেক্ষায়, আমাদের এই সাময়িক অন্ধত্ব আমরা উপভোগ করি। আমরা দিকভ্রান্ত হয়ে কোলকাতার রাতের আলোয় হোটেলের রাস্তা খুঁজি, এখানেই এর আশে পাশেই কোথাও হবে, সঠিক রাস্তার দিশা জানি না, একটা গোলক ধাঁধায় ঘুরছি।
আমাদের নিঃশ্বাস ভারি হচ্ছে, আমরা নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছি, এমন একটা আশংকা চেপে ধরে আমাদের। আমরা লজ্জায় মাথা নীচু করে থাকি, পরস্পরের দিকে তাকাতে চাই না, হঠাৎ চোখ পড়লেই চোখ সরিয়ে নেই। আমরা রাত 11টায় একটা দোকানে সামনে দাঁড়াই, শমিকরা গেছে তাও 2 ঘন্টা হলো, এখন কোনো এক দিকশুন্যপুরে আমরা বন্দি, তবে আমাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা হয় না, আমাদের ভয় হয় না, আগামি কালের চিন্তা আমার সন্ত্রস্ত করে না এই মুহূর্তটাকেই চিরকালীন ধরে নিয়ে সেই 11টায় আমরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দেখি সেখানে যৌনউত্তজক চুইংগাম বিক্রি হচ্ছে, সেই চুইংগামের প্যাকেটে বেশ খোলামেলা ছবি। সিগারেটের দাম শুধে আবারও তাকাই, অকারনে হাসি।
এভাবে আরও 2 ঘন্টা কাটে, বিচ্ছিন্নতা বড় পীড়াদায়ক, ঘাড়ের উপর ট্রাইপড পর্বতের মতো চেপে বসে আছে, বন্ধুর নিদর্শন, সমাজের নিদর্শনে হয়ে ঝুলে আছে কাঁধে, সেই সমাজকে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করছে, ইচ্ছা করছে হাত ধরতে,
আমাদের পেছনে কয়েকজন ছেলে হাঁটছে, মাতাল, এবং অসতর্ক উচ্চকিত হাসি। সুমনের গান মাথায় চলে আসে, সেই রেল স্টেশনে ধর্ষিত মেয়েটার জন্য অনুশোচনা জাগে, কোলকাতার ঝকঝকে রাতের আলো, মিউনিসিপ্যালটির ট্রাক রাস্তা ধুচ্ছে, এই সচ্ছ রাতে একটা ভয় পেছনে হাঁটছে মাতালের বেশে। অবশেষে আমরা রাত 1.30 এ ট্রাফিক পুলিশের কাছে গিয়ে রাস্তা জিজ্ঞাসা করি। গন্তব্য ছিলো পাশের রাস্তায়, আমরা সমান্তরালে হেঁটেছি অনেকক্ষন, শুধু একটা রাস্তা পেরুলেই আমরা হোটেলে পৌঁছে যেতাম। ভীষন আক্ষেপ লাগে, আমরা ধীরে ধীরে হোটেলের দিকে পায়ে পায়ে হাঁটি, অযথাই দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করি, অনিবার্যতাকে অস্ব ীকার কে করবে, এই কোলকাতায় এই একটা রাতে আমরা যা পেলাম তা হয়তো আর কখনই উপলব্ধি করা হবে না। আমরা পরস্পরকে আলতো গলায় বলি যদি এই রাতটা শেষ না হতো, যদি আমরা এভাবেই সারা রাত সব ভুলে শুধু পাশাপাশি হাঁটতে পারতাম তাহলে বেশ হতো,
হঠাৎ হোটেল পেয়ে যাওয়ায় আমাদের আক্ষেপ অনুদিত হয় এভাবেই।
যুঁথিও বলে উঠে আসলে এই রাতটা যদি শেষ না হতো, আমরা যদি এভাবে পরস্পর পাশাপাশি হাঁটতে পারতাম অনন্ত কাল ভালোই হতো, আমাদের হোটেলে ফিরতে ইচ্ছা করে না। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলো তো, তুমিই বলো এইসব ন্যাকামি, প্যানপ্যানানি ভীষন রকম মুহূর্তপ্রবন বিষয়, এই মুহূর্তটাকে সেই পথ শেষ না হওয়ার আক্ষেপ দিয়েই বিদায় জানাতে হয়। আমরা হোটেলের কাছে গিয়ে বলি, আমরা ভুলবো না এই রাতের কথা, এই এক রাতে আমরা যা পেলাম সেটা আর কখনও হয়তো পাওয়া হবে না।
হোটেলের সামনে তানভীরের খর চোখ অভ্যর্থনা করে আমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



