ঘুম ভেঙেছিলো হযবরলের ফোন পেয়ে, আসন্ন ঈদে সে আসছে এখানে, মনটা আনন্দে ভরপুর ছিলো। সারাদিন এলোমেলো ঘর গুছানোর একটা চেষ্টা করছিলাম, অনেক দিন কোনো কাপড় ধোয়া হয় না আলস্যে, সেই কাপড়ের পাহাড় আজকেই মনে হলো পরিস্কার করে ফেলা দরকার, অতিথি আসছে-
হযুর আসার কথা রাতে, ফোন ফ্রি রেখেছিলাম যদি মাঝরাস্তায় কোনো সমস্যা হয় যেনো ফোন করতে পারে।
ফিরলাম 10টার দিকে, ফিরেই শুনলাম হযুর বড় ভাই ফোন করেছিলো, হযুর গাড়ী দুমড়েমুচড়ে গেছে, ওআসতে পারবে না।
আমেরিকার হাইওয়ে চমৎকার জিনিষ, প্রশস্ত রাস্তা, কয়েকটা লেনও আছে, ও সবচেয়ে গতিশীল লেনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলো, হঠাৎ পেছনে গাড়ীকে সাইড দিতে গিয়ে রোড ব্যারিকেডের সাথে বাড়ি খেয়েছে, হার্ড ব্রেক কষার পর গাড়ী 180 ডিগ্রি ঘুরে আবার রোড ব্যারিকেডে বাড়ি খেয়েছে, গাড়ীর ভেতরে হযুর তেমন কোনো সমস্যা হয় নি, চোখে চশমা খুলে লেগেছিলো উইনস্ক্রিনে, সামান্য হাত-পা ছিলে গেছে, একটু ব্যাথাও পেয়েছে, তবে গাড়ীর দফারফা শেষ, ওটা আর ঠিক হবে না।
ওর মোটেলের নাম্বার দিছিলো ওর বড় ভাই, এখনই ফোন করে নিশ্চিত হলাম, মালের উপর গেছে যা চোটপাট, আপাতত ও এক জনবিচ্ছিন্ন মোটেলে আটকা পরে আছে, এমন এক এলাকা যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না,
আগামি কাল ও আসবে বিকালে, এত কিছু হয়ে গেলো এর একটা শেষ দেখার জন্য, আমি এখনও আনন্দিত, ঈদের সময়টাতে ও থাকছে বলে, খারাপ লাগছে ওর গাড়ীর জন্য, ও যেখানে থাকে ওখানে গাড়ী না থাকাটা অভিশাপের মতো, কি আর করার জানের সদকা গেছে গাড়ীর উপর দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত ভালো খবর-
ও যেই মোটেলে আছে, সেই মোটেলের রিসেপশনিস্টের ঘুম ঘুম হাস্কি ভয়েস। বেশ চনমনে- আমি হযুকে উপদেশ দিলাম কি আর করার যা যাওয়ার তা গেছে, আপাতত সেই হাস্কি ভয়েসের মেয়ের সাথে একটু আলাপন করে পয়সা উসুল কর।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



