আমাদের এলাকায় একটু আগে-পিছে করে পরপর দুইটা মসজিদ আছে (পুরাতন ঢাকায় ঘনবসতির কারনে একটা মসজিদে সংকুলান হয়না, শুধুমাত্র জুমুআর সময়) । তো এক মাসজিদের মুতাওয়াল্লিরা সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই বছর এই মাসজিদে সিরনি বিতরণ করবেননা, কারন এতে অনেক অনিয়ম ও চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। তাছারা প্রকৃত মুসল্লিরা খুব দুর্ভোগ পোহায় মৌসুমি মুসল্লিদের কারনে। যাকগে, অন্য মাসজিদের মুতাওয়াল্লিরা সিদ্ধান্ত নিলো যে বরাবরের ন্যায় এইবারও সিরনি করবে। এইবার দুই মসজিদের বিবরণ দিচ্ছি: ১ম মাসজিদে প্রতিদিনের ন্যায় যতটুকু মুসল্লি থাকার কথা ঠিক ততজন মুসল্লি তারাবীতে উপস্থিত থেকে দুয়া ও খতমে শরীক হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় মাসজিদে এতই উপচে পড়া ভিড় হয়েছে যে বাধ্য হয়ে বংশাল রোড ও কাজী আলাউদ্দীন রোডের মত উভয় রোড বন্ধ করে দিতে হয়েছে। অথচ প্রথম মসজিদের ছোট বারান্দা ও বাইরের প্রশস্ত বারান্দা ও তার পিছনের খালি জায়গায় কোন নামাজি নাই, শুধুমাত্র মূল ঘর পুরোটা ভর্তি বরাবরের মত। আমি এতদিন মনে করতাম শুধুমাত্র ক্বদরের রাতের কারনেই এত মানুষের উপস্থিতি হতো। কিন্তু গতকাল আমার এত বছরের ভুল চায়ের কাপের মত টুং করে ভেংগে গেলো। কারন আমার দাদি প্রায়ই বলতো আমাদের মধ্যে বেশির ভাগই নাকি শিরনি মুসলমান। আরো বলতো কিসের পরকালের চর্চা, সবাই নগদে বিশ্বাসি, তাই সিরনিতে উপস্থিত হয়ে যা নগদে পায় তাই নিয়ে চলে যায়, পরকালের পুরস্কারের অপেক্ষা করার মত সময় ও বিশ্বাস তাদের নাই। দাদির এই কথার সাথে আমি প্রায়ই তর্ক করতাম। কিন্তু এখন কেন জানি মনে হচ্ছে দাদি রাইট ছিলো আর আমি রং। আপনারা কি মনে করেন?
বিঃদ্র: দাদি এখন আর বেচে নাই, আল্লাহ-তায়ালা আমার দাদিকে বেহেস্ত নসীব করুক। আমিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




