আমরা অতীতে ফিরে গেলে দেখতে পাই ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যখন আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে তখন ফতোয়া বিরোধী হাই কোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ফুঁসে উঠেছিলেন। ইসলাম দরদী তৌহিদী জনতাকে থামাতে সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী মোতায়েন করে। আর এই পেটুয়া বাহিনীর হাতে ২০০১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহীদ বাড়িয়ায় (বি. বাড়িয়া) শহীদ হয়েছিলেন ছয় জন মাদ্রাসা ছাত্র। কিন্তু আন্দোলন চলতে থাকে আপন গতিতেই। পতন ঘটে আওয়ামী সরকারের।
কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড স্বীকৃতি দেবে না বলে ক্ষমতায় এসেও তারা জাতীয় নারী নীতিকে কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক করে সাজিয়েছে। শিক্ষা নীতিতে ধর্মীয় শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এসব বিষয়ে নানা ভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ এপ্রিল হরতালের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী ৩ এপ্রিল যশোরে হাফেজ হুসাইন আহমাদকে হাতে ধরে ইচ্ছাকৃত গুলি করে শহীদ (হত্যা) করেছে। সরকারের এই কর্ম দেখে কী মনে হয়? আওয়ামীলীগ সরকার কি সেই পুরনো পথেই হাটছে? আমরা কী ধরে নেবো আওয়ামী সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে? আওয়ামী সরকারও কি তাই মনে করে? সরকার যদি নিজের পতন রোধ করতে চায় তাহলে সরকারের উচিৎ উদ্বুত পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় নারী নীতি ও শিক্ষানীতির ইসলাম বিদ্বেষী ধারা সমূহ বাতিল করে হাফেজ হুসাইন আহমাদের খুনীদের বিচারের সম্মুখীন করা। নয়তো সরকারের ভাগ্যে করুণ কিছু ঘটতে পারে বলেই বর্তমান ঘটনা প্রবাহ ইঙ্গিত বহন করছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




