অনিক। বয়স ১২ বছর। পড়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে ঘাড় একদিকে বাঁকা হয়ে গেছে। অন্যদিকে নিতে পারে না। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে গেল। অনিকের বাবা ভাবলেন, হয়তো বা শোয়ার কারণে এ সমস্যা। অনিকের মা ইতোমধ্যে প্রতিবেশীকে নিয়ে এসেছেন মালিশ করার জন্য। কিন্তু মালিশ করার পরও কোনো কাজ হলো না। পরদিন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেন। চিকিৎসক সমস্যার কথা বিস্তারিত শুনে বললেন এটি একটি রোগ, যার নাম টরটিকোলিস।
রোগের নাম : আমাদের ঘাড়ের দুইপাশে দুইটি শক্ত মাংসপেশি থাকে, যাকে স্টারনোকাইডো মাস্টয়েড বলে। এ মাংসপেশির কাজ হলো ঘাড়ের মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা। অনেক সময় হঠাৎ করেই যে কোনো একপাশের স্টারনোকাইডো মাস্টয়েড মাংসপেশিটি টেনে আসে। একে বলে মাসল স্পাজম বা টাইটনেছ। এ সমস্যা হলে আক্রান্ত ব্যক্তির ঘাড় একপাশে বেঁকে যায়, অন্যদিকে ঘোরাতে পারে না।
চিকিৎসা : এক্ষেত্রে চিকিৎসা হলো আক্রান্ত মাংসপেশি রিলাক্স বা নরম করা। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে তাৎণিকভাবে ম্যাজিকের মতো এর উপকার পাওয়া যায়। পাশাপাশি কিছু ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। হঠাৎ ঘাড় বেঁকে গেলে দেরি না করে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। তিনিই দ্রুত সমস্যাটির সমাধান দিতে পারবেন।
(সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৪