বাংলাদেশ তাদের প্রথম ২০/২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে ওয়েষ্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিল বিশাল ব্যবধানে। আজকের প্রথম আলোতে পড়েছিলাম রামনেশ সারোওয়ানের দম্ভের কথা। দম্ভচূর্ণ হতে সময় লাগেনি। অবশ্য বাংলাদেশের শক্তি নিয়ে যখনই কেউ সংশয় প্রকাশ করে তার ফলাফাল তারা সাথে সাথেই পেয়ে যায় (সাকলায়েন মুশতাক,রিকি পন্টিং, ভারতীয় মিডিয়া,স্মিথ)।
বাংলাদেশের কিছু খেলোয়াড় রয়েছে, যারা কখনই তাদের সামর্থ অনুযায়ী খেলতে পারেনি। তেমনি একটি জুটি যে জুটিকে অনেকেই এদেশের ক্রিকেটের একটি প্রাপ্তি বলেন, তারাও কখনো নিজেদেরকে একসাথে তুলে ধরতে পারেনি। সেই জুটিটির নাম আফতাব-আশরাফুল। প্রতিভাবান এই খেলোয়াড় দু'টি যেন তাদের মেধার অপচয় করতেই ব্যস্ত ছিল। কিন্তু আজ তারা প্রমাণ দিল তারা খেললে কি হতে পারে।
দুটি রেকর্ড হয়েছে এ ম্যাচে। রাসেলের করা প্রথম ওভারটি ছিল ২০/২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম উইকেট মেডেন। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আশরাফুলের দ্রুততম হাফ সেন্ঞুরি।
আমরা জিতেছি, খুবই আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত। বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন এমন একটি জায়গায় গিয়েছে, যেখানে শুধু জেতার আনন্দ করলেই চলবে না।
বাংলাদেশের বোলিং খুব ভাল হলেও আশরাফুল এর ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই। আশরাফুল প্রথম দিকে ভাল বল করার পরও ১৭তম ওভারে বল হাতে নিতে দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। কারন, ঐ মূহুর্তে আমাদের উইকেটের চেয়ে রান না দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর আশরাফুল যেহেতু লেগ স্পিনার, তাই এই সময়ে এসে সে মার খেতই। তাই হয়েছে। একটি উইকেটও পেয়েছে।ভাল কথা। কিন্তু আরো অবাক হয়েছি যখন ১৯ তম ওভারেও আশরাফুল নিজে বল করল। আগের ওভারটিতে উইকেট পাওয়াই কি এর কারন? কিন্তু ২০/২০ ক্রিকেটে উইকেটের চেয়েও বড় রান কম দেয়া। সেখানে এরকম একটি অবস্থায় কিভাবে আশরাফুল নিজে বল করল?
আরো অবাক ব্যাপার হচ্ছে দেশ সেরা স্ট্রাইক বোলার মাশরাফির ২ ওভার বল করানো হল না। প্রথমে মার খেয়েছে বলে এটা করানো ঠিক হয়নি। আমার মনে হয় আমরা ২৫ রান এখানে বেশি দিয়েছি ওদের।
ফিল্ডিং সাজানো, আশরাফুল - আফতাবের অসাধারান ব্যাটিং - সবকিছু উপরের ব্যাপারগুলোকে যেন আড়াল করে না দেয়। কারন, ওগুলো ভুল ছিল। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আশরাফুলকে আরো পরিপক্ক হতে হবে।