চলচ্চিত্র- পুনশ্চ।
পরিচালক- সৌভিক মিত্র।
(মোবাইল ফোনে ছবি আপ করতার্লাম্না।)
'পুনশ্চ' সিনামাটা দেখলাম। অসাধারণ বলার আগে আরও কয়েকবার দেখতে হবে। বুড়া নায়ক নায়িকা। ভাবতেছিলাম জুয়ান কালের দাঁতের ধার নিয়া কামড়া কামড়ি। কিন্তু না। শুরুতে রূপা গাঙ্গুলিরে দেইখ্যা বেশ ধাক্কা খাইসি। নারী হবি তো এমন নির্মেদ নিষ্কাম সুরতের হ। তাইলে আর তরে দেইখ্যা কু বাসনা মনে জাগবে না। কী দারুণ সৌন্দর্য!
পাঠক, আমারে দোষ দিয়েন না কইলাম। পুরুষ হইয়া জন্ম নিসি, নারী দেইখ্যা উঁ উঁ হবে না, তা অস্বীকার করলে আমার অপৌরুষকে স্বীকার কইরা নেওয়া হয়। অবশ্য অনেক কাল অগে আমার এক স্ত্রী (সাবেক) আমার পৌরুষের খতনা করাইয়া ফেলছিল প্রায়। খালি মুখ ফুইট্যা বলতে হয়তো পারে নাই- ব্যাটায় খোঁজা। অবশ্য ঘরের কথা পরে বেশি না জানাই আমার জন্য নিরাপদ। তো যেইটা বলছিলাম, নারী দেইখ্যা উঁ উঁ করা আসল পুরুষের স্বভাব। তেতুল হুজুর অবশ্য বাছ-বিচার না কইরাই নারীদের গুলাইয়া খাইয়া ফেলছেন এবং অনুসারীদেরও গিলাইতেসেন। আমার আবার এদিক দিয়া টনটনানির ক্ষেত্রে বাছ-বিচার আছে। খুব বেশি নারী আমারে মুগ্ধ করতে পারে নাই। (শুধু নারী না, আরো বেশি কিছু অর্থে। বেশি আরো কী কী জিগাইলে উত্তর দিতে পারবো না। তাই এই প্রসংগে কিছু জিগাইয়েন না কেউ।)
আমি মুগ্ধ রূপা গাংগুলীতে। 'পদ্মানদীর মাঝি'তে তারে মোটেও ভালো লাগে নাই। যদিও তখন যৌবনে ছবিটা দেখসি। ইট্টু সুড়সুড়িও আছিল। কিন্তু আমি তো আমিই। নিরস মানুষ। রূপাতে অনেক খাদ দেখতে পাইয়া সেইটা সেখানেই ফালাইয়া আসছি। কিন্তু এই রূপাটা মন হইসে নিখাদ। আর সৌমিত্র-রূপা জুটি মনে হইসে পারফেক্ট।
পুনশ্চ সিনামার শুরুটা ভালো লাগসে। যেমন পথের পাঁচালী সিনামাটার শুরু। দুইটার মাঝে কেমন একটা মিল খুইজা পাইতেসিলাম। সেইটা পাঠক নাও বুঝতে পারেন। আমিই বলি, তা হইল একটা স্নিগ্ধ আবহ। ইংরাজি হইলে শব্দটা চমত্কার হইত মনে হয়। কিন্তু আপচুচ, সেই শব্দটা আমার জানার বাইরে।
কাহিনী তেমন আহামরি না। কিন্তু অভিনয় বুঝলে সিনামাটা দারুণ! অন্তত আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যদ্দুর কুলাইতে পারসি আর কি! বন্ধু যে কী আর সম্পর্কটা যে কী রাম সেইটা সবে বুঝে না। যারা ধান্দাবাজ তারা তো আলাদা। তারা বুঝাবুঝিতে নাই। কাজেই তারা বাদ। যারা বোঝে আর যারা বুঝতে চেষ্টা করে। অন্তত বন্ধুত্বের মর্যাদা পুরা দিতে না পারলেও সম্মানটা রাখতে চেষ্টা করে, তারা সেই সুবাসটা টের পাবে।
আজ আর কিছু বলি না। ফোন গুতাইয়া লিখতে বড্ড বিরক্ত লাগে। তবে শেষ কথা এই যে, অনেক বছর পর আরেকটা সিনামা দেখলাম, যেইটা কয়েকবার দেখার মতন।