
ঢাকা - বরিশাল/বরিশাল - ঢাকা নৌপথে দিনের বেলা বিগত বছরগুলোতে শুধু মাত্র গ্রীন লাইন জাহাজ কোম্পানির দুটি জাহাজ চলাচল করতো। যাত্রী সল্পতায় একটা জাহাজ বন্ধ করে, এক জাহাজেই দৈনিক আপ-ডাউন করে চালাতে বাধ্য হয়(বরিশাল - ভোলা রুটেও এই কোম্পানির দুটি জাহাজ চলাচল করে)। মোটামুটি ভালোই চলছিলো। বর্তমানে কর্নফুলী নেভিগেশনও বিশাল আকৃতির একটা জাহাজ দিনের বেলা আপ-ডাউন সার্ভিস চালু করায় এক জাহাজের যাত্রী দুই ভাগ হয়ে ব্যবসায়ীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও যাত্রীদের কোনো উপকার হচ্ছেনা।
আমি সাধারণত গ্রীন লাইন জাহাজে যাতায়াত করি। গ্রীন লাইন জাহাজে নিচতলায় ৩৮০ সীট, দোতলায় ২২০ সীট। আমি যেদিন বরিশাল যাই- সেদিন যাত্রী পেয়েছে সাকুল্যে ১৯৫ জন!

জাহাজের সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলে জানলাম প্রতি ট্রিপে গড় লোকসান ৫০,০০০/-! তবুও জাহাজ চলছে। দুই ঈদের সময় জাহাজের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারে।

একনজরে গ্রীন লাইনঃ ঢাকা থেকে বরিশাল যাত্রার সময় সকাল ৮ টা, বরিশাল পৌঁছে দুপুর ২ টায়। আবার বরিশাল থেকে ছাড়ে বেলা ৩ টায়, ঢাকা পৌঁছে রাত নয়টায়। ঢাকা সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পূর্ব দিকে লালকুঠি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে গ্রীন লাইন জাহাজ যাতায়াত করে। ঢাকা বরিশাল নৌপথে দূরত্ব ১৪৯ কিলোমিটার। এই দূরত্ব পৌঁছাতে সময় লাগে ছয় ঘন্টা।
ঢাকা -বরিশাল উভয় পথে ভাড়া নিচ তলায় ৮০০/-, উপর তলায় ১১০০/-।
গোটা জাহাজ কেন্দ্রীয় ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। নিচ তলার সীটগুলো তুলনামূলক ছোট। অন্যদিকে দোতলার সীটগুলো অনেক বেশী প্রশস্ত এবং আরামদায়ক। নিচতলায় ইঞ্জিনের শব্দ আছে৷ দোতলায় ইঞ্জিনের শব্দ নাই।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



