আমার প্রিয় কিছু ওয়েস্টার্ন মুভির নাম এবং ঢাকার চায়নিজ রেস্টুরেন্টের নাম.....
কয়েক দিন আগে সুপ্রিয় ব্লগার মরুভূমির জলদস্যু তার কয়েকটা প্রিয় ওয়েস্টার্ন মুভি নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই ভাবছি- আমার প্রিয় মুভিগুলোর একটা তালিকা করা যায় কিনা। কিন্তু জীবনে এতো বেশী মুভি দেখেছি যা থেকে শর্ট লিষ্ট করা মোটেই সহজসাধ্য নয়। তারপরও ঝটপট যেসব মূভির কথা মনে পরেছে- সেগুলোর একটা তালিকা করে ফেললাম।
আমার প্রিয় কিছু ওয়েস্টার্ন মুভির নামঃ Sunflower "Summer holiday ", Birds are flying or crying "ভীষণ মনে দাগ কেটেছিলো যুদ্ধ শেষে সবাই ফিরে আসে কিন্তু ছবির নায়িকার প্রেমিক ফিরে আসেনা। আকাশটাতে অন্ধকার নেমে আসে আর একঝাক পাখি উড়ে যায়।'Summer Holiday', The Great Race (Jack Lemmon এবং Tony Curtis), The BlackBeard Ghost (Sir Peter Ustinov), In Search of Castaways (Maurice Chevalier এবং Hayley Mills), Genghis Khan (Omar Sharif এবং Stephen Boyd).
আমরা যখন দলবেঁধে ওয়েস্টার্ন মুভি দেখতে যেতাম তখন মুভি দেখার আগে পরে চায়নিজ রেস্টুরেন্টে নিদেন পক্ষে একটু স্যুপ খেতাম। প্রসঙ্গত তখনকার কয়েকটি বিখ্যাত চায়নিজ রেস্টুরেন্টের কথা স্মরণ করছি। আমার কৈশোর যৌবনের ঢাকার চীনা রেস্তোরাঁর কয়েকটি নাম:
ঢাকায় চাইনিজ আলিয়েনের পরিবার ১৯৫৭ সালে "ক্যাফে চায়না" নামে গুলিস্তানে একটি রেস্টুরেন্ট দেয়। অনেকের মতে, এটাই চায়নিজদের দ্বারা পরিচালিত ঢাকার প্রথম রেস্টুরেন্ট- যা আমি দেখিনি। অনেকের মতো আমারও দেখা এবং জানা ঢাকার প্রথম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট "চৌ চিন চৌ"(চৌ চিন চোং)- গুলিস্তান সিনেমা হলের তিন তলায়। দ্বিতীয় চায়নিজ রেস্টুরেন্ট বলাকা সিনেমা হলের তৃতীয় তলায়- 'বাং চিং'। "চৌ চিন চৌ" এবং "বাং চিং" চায়নিজ রেস্টুরেন্টের মালিক ছিলেন চায়নিজ।
গুলিস্তানের ঊল্টোদিকের 'লা সানি'। লা সানি' রেস্টুরেন্টের মালিক হচ্ছেন আমাদের দেশে সুপ্রসিদ্ধ
LIHUA CHINESE DRY CLEANERS, পরিবার, যেটাকে আমরা লীফা চাইনিজ ড্রাই ক্লিনার্স নামেই বেশী চিনি। ধানমন্ডি ২ নম্বর রাস্তার মুখের কাছাকাছি মীরপুর রোডের ওপরে এ্যালিয়ঁস ফ্রাসেঁর কাছে 'সাংহাই' এবং কাউলুন রেস্তোরাঁ, তোপখানা রোডের ওপরে 'ক্যান্টন রেস্তোরাঁ'। তোপখানা রোডে আরও কয়েকটা বিখ্যাত চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ছিল 'নানকিং', ম্যান্ডারিন' আর 'ক্যান্টনীজ'- সবগুলোই প্রথম দিকে চায়নিজ মালিকানায় থাকলেও পরবর্তীতে অর্থাৎ স্বাধীনতার পর বাংগালী মালিকানাধীন হয়ে যায়।
সরাসরি বাংগালী মালিকানায় 'টুংকিং,', 'চাংপাই', 'জিয়ান' যুক্ত হলো দেশ স্বাধীনতার পর।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


