somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

সিনেমা যখন বই হয়....

২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিনেমা যখন বই হয়....

ছোটবেলায় শুনতাম সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, "হলে কি বই চলছে?"
ছেলে বেলায় আমাদের বিভিন্ন শহরে যেসব সিনেমা হল ছিল, তখন প্রতিদিন সকালে মাইকিং করে সিনেমার বিজ্ঞাপন করতো কিম্বা খর্বাকৃতির একাধিক লোক পিঠে পোষ্টার ঝুলিয়ে চোঙে মুখ লাগিয়ে সুর করে বলতো, "বলাকা সিনেমা হলের রুপালী পর্দায় রাজ্জাক সুজাতা অভিনীত বাংলা ছবি, 'এতোটুকু আশা'। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় ও রাত্রি সাড়ে আটটায়"। কিম্বা নাজ সিনেমায় ইংলিশ মুভি ..... বিজ্ঞাপনে সিনেমা বললেও অনেক সাধারণ মানুষ 'বই' বলতো - তারা চলচ্চিত্র বা ছবি/ সিনেমা না বলে, বই ই বলতো। কোলকাতার সর্বস্তরের জনগণ এখনো সিনেমাকে বই বলে!

সিনেমা কে বই বলার চল বহুকালের। আশেপাশের মানুষজন যখন বাংলা সিনেমাকে বই বলতো, খানিকটা বিরক্ত হতাম। কিছু জনকে চেষ্টা করে বই বলা থেকে আটকাতে পেরেছিলাম বটে কিন্তু সবাই কে বলতে পারিনি। পরে ধীরে ধীরে উপলব্ধি করলাম বই এর মতো চোখের সামনে সিনেমা কখনো কখনো জীবন্ত হয়ে ওঠে। আর যখন বই এর সব জীবন্ত চরিত্রদের মতো কাল্পনিক হলেও তারা আর পর্দা আর কল্পনার জগতে থাকেনা, তখনই সিনেমা বই এর মতো জ্বলজ্বল করে ওঠে। যাকে একবার নয়, বার বার পড়তে ইচ্ছে করে।

সহজ করে বলতে গেল- সবাক সিনেমা থেকে পরীক্ষামূলক সিনেমাগুলি ছাড়াও, সিনেমা কিন্তু মূলত নানারকম বই থেকে প্রভাবিত করেছিল। মানে ইলিয়াড, ওডিসি, মহাভারত, গীতা বা অন্যানিও পৌরাণিক কাহিনী এবং শেক্সপিয়র বেশিরভাগই। এমনকি এখনো ১০০ বছরের সিনেমা ইতিহাস এবং পাঠ্য বইয়ের রূপান্তর এর সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি জনপ্রিয় সিনেমাতে। আবার তখন দর্শকদের কাছে সিনেমা যেহেতু ছিলো বইয়ের ভার্চুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন, তাই সেই সময়ে 'বই দেখা' টার্মটা প্রচলন হয়।
বই কেন বলতো, তা তখন ভাবিনি।

এখন ভাবছি এবং অনুমান করছি, বইয়ের গল্পে চলচ্চিত্র নির্মান হ'তো - সাধারণে তো বই পড়তে পারতো না, বই দেখতো। গ্রাম দেশে কি এখনও বই বলে, মনে হয় না। হয়তো সিনেমা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×