বিপ্রতীপ
একটু গড়িয়ে নাও; বিছানায় মধ্য দুপুর।
জড়িয়ে নাও নকশী কাঁথা; তোমার আনন্দপুর।
শুনি, প্রয়াত ধ্বনি; - কাচের চুড়ির এবং
বিগত ইচ্ছেকালের একটি নিহত স্লোগান।
গোলাপের সুগন্ধিকাল চেপে রাখা বইটি জানে
কতটা বিখ্যাত এই স্মৃতির... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটু গড়িয়ে নাও; বিছানায় মধ্য দুপুর।
জড়িয়ে নাও নকশী কাঁথা; তোমার আনন্দপুর।
শুনি, প্রয়াত ধ্বনি; - কাচের চুড়ির এবং
বিগত ইচ্ছেকালের একটি নিহত স্লোগান।
গোলাপের সুগন্ধিকাল চেপে রাখা বইটি জানে
কতটা বিখ্যাত এই স্মৃতির... ...বাকিটুকু পড়ুন
জন্মক্ষণঃ
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে কোন এক শীতের বিকেলে অগ্রহায়ণের শেষ দিনটিতে আমার জন্ম হয়েছিল সায়াহ্নের প্রাক্কালে । পৃথিবীর বুকে আমার আসার সেই সময়টা ছিল পাখিদের নীড়ে ফেরার সময়। ছোটবেলা থেকে আজ অবধি আমার এ সময়টাকে খুব ভালো লাগে। সুযোগ পেলেই এ সময়টাতে একটু থেমে নীড়ে ফেরা পাখিদের কলকাকলি শুনি। বাসার কাছেই বড় বড় কিছু গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পাখিদের ঘরে ফেরা দেখি। সম্প্রতি হাকালুকি হাওড়ের একটি জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে সহস্র পাখির সুশৃঙ্খল সারি বেঁধে উড়ে এসে যার যার নির্দিষ্ট বৃক্ষশাখায় বসে পড়ার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাদের কলকাকলিতে এলাকাটি কিছুক্ষণ মুখরিত ছিল। ঠিক মাগরিবের আযানের আগে আগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ময়না পাখিটার একটা সুন্দর বাংলা নাম রাখতে চেয়েছিলেন আবিদা, কিন্তু তার বর ইমতিয়াজ দ্বিমত পোষণ করেন, ইমতিয়াজের বক্তব্য এই যে- ময়না পাখির আবার গালভরা একটা মনুষ্য নাম দেবার দরকার কী! পাখিটা যখন ময়নাসমাজে ছিল তখন নিশ্চয় ওদের ভাষায় একটা নাম রেখেছিল ওর বাবা-মা, কিন্তু সেটা তো আর আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, ওর নাম ময়নাই থাকুক। যদিও এই নামটাও মানুষেরই দেওয়া, ময়নাপাখিরা হয়ত জানেই না যে মানুষ ওদের নাম রেখেছে- ময়না!
সেই থেকে ময়না পাখিটার নাম- ময়না। খাঁচাবন্দী ময়নাকে বারান্দায় রাখা হয় সারাদিন, সন্ধ্যার পূর্বে বারান্দা থেকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে রাখা হয়। ময়না একটু বড়ো হয়ে প্রথম যে শব্দটা শেখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
খাঁ-খাঁ ফেটে যাচ্ছে অনিকেত শহর। আমার দু চোখে
গনগনে সূর্য আর বিরান পা জুড়ে হাজারমণী পাথর।
ভেঙে ভেঙে হাঁটছি, ঐ তো ওখানে পুরোনো কবিতাঘর
ওখানে আমার হৃদয় পুড়েছিল। ওখানে আমায়
শান্তি দেবে কাজল-পরা কবিতার মেয়ে।
সে আমায় কবিতা শুনিয়েছিল
অধীত অতীতের হেমখনি খুঁড়ে
আজও সেই পঙ্ক্তির ভেতর থেকে
স্রোতস্বিনীরা স্নিগ্ধ ভিজিয়ে দেবে
দগদগে, গুচ্ছ গুচ্ছ ঘা।
হয়ত আমারে সে আজও ভালোবাসে
হয়ত আমারে সে আগেও বাসতো ভালো
যেমন সে কবিতা ভালোবাসে
কত না নিটোল, কত না নিবিড় সেই ভালোবাসা
কতদিন দেখি না মেয়েকে। তৃষ্ণায় চৌচির
নিগূঢ় বাসনায় উদ্ভ্রান্ত হেঁটে চলি, কবিতার অন্বেষণে।
কড়া নাড়তেই আঁতকে উঠি, ধু-ধু
ঝাপসা হয়ে আসে চোখ - দরজা বন্ধ।
কে জানে, কতকাল আগে
স্ব-ভূমে ফিরে গেছে কবিতার মেয়ে
আর কোনোদিনই... ...বাকিটুকু পড়ুন