“ভালো হয়ে যাও মাসুদ”………
মানুষ দেখে শেখে, ঠেকে শেখে। কিন্তু নিজের জীবনের উপলব্ধির থেকে শেখা পাঠ সব থেকে কার্যকরী পাঠ। তারপরও মাসুদ ভালো হয়ে যায়না।
নিজ উপলব্ধি থেকে বুঝেছি- সৎ থাকার বিকল্প নেই। প্রথমে মনে হবে এত অসতের ভিড়ে আমরা বোধ হয় নগণ্য, কিছু সময় জীবন এত কঠিন হবে মনে হবে আমরাই বোধ হয় এই সময়ের সব থেকে দুর্বল, অক্ষম। ঠিক এই সময়টাতে মানুষকে ধৈর্য্য ধরতে হয়। সময় ধীরে ধীরে বুঝিয়ে দেয় চাপের মুখে মাথা না নোয়াতে। অসৎতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে- সে যতই তুমি একা হও, সময় তোমাকে এগিয়ে রাখবেই। শিরদাঁড়া বিক্রি না করলে প্রথমে অনেক কষ্ট সাপের মত চেপে ধরবে কিন্তু সময় সেই বাঁধন, সেই জট নিজেই খুলে দেবে।
আগে যেখানে মনে হচ্ছিলো এই পৃথিবীতে যত নৈতিক পাঠ শিখেছিলাম সব ভুল, মিথ্যে। আজ বুঝছি যে তা নয়। সময় ধীরে ধীরে আপনাকে এগিয়ে দিচ্ছে, জিতিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বাস রাখুন। নিজের কর্মে, নিজের সততায়, নিজের নৈতিকতায় বিশ্বাস রাখুন। দশটা অসৎ লোকের ভিড়ের সামনে প্রাথমিক ভাবে নিজেকে সময়ের নিরিখে বোকা মনে হলেও নিজের শিরদাঁড়াকে শক্ত রাখুন, দেখবেন- সেই জিতে যাওয়ার সুখের কাছে পৃথিবীর সব ধন সম্পত্তি, প্রতিপত্তি তুচ্ছ।
এই যে উপলব্ধি যেখানে নিজেকে চিনতে পারবেন, জানতে পারবেন, বুঝতে পারবেন ঠিক কতটা চাপ আপনি সহ্য করেও নিজেকে বিকিয়ে দেন নি, সেই উপলব্ধি মৃত্যু অবধি নিজের জীবনকে মূল্যবান করে দেয়। তাই ১০০ তে ৯৯ বেইমান হলেও বাকি ১ নম্বর আলাদা মানুষটা হয়ে দেখুন, অপার সুখ। সব দলাদলির উর্দ্ধে, ফাঁকা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সে, গৃহহীন, ক্ষুধায় জর্জরিত হলেও নিজেকে রাজা মনে না হলে- ক্লেদমুক্ত মনে হবে। তারপরও যদি কেউ ভালো না হয়- তাহলে তার জন্য তুমি আর ভালো হবে না মাসুদ’ বলা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



