
শিশুদের সাথে কথা বলা আমি খুব উপভোগ করি, তাই সু্যোগ পেলেই কথা বলি। দেশের সর্বত্র যেমন মসজিদের ছড়াছড়ি তেমনি সংখ্যানুপাতিক ধর্মীয় জনগোষ্ঠী অনুযায়ী মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা/ক্যাংঘরও আছে। আমাদের বিল্ডিংয়ে আমাদের নাতনির সহপাঠী সনাতণ ধর্মাবলম্বী হলিক্রস স্কুলে পড়ুয়া দ্বিতীয় শ্রেণীর এক মেয়ে শিশুর সাথে কথা বলছিলাম....
* 'কি এতো সেজেগুজে ফুলপরি হয়ে কোথায় গিয়েছিলে?'
** আজ (২৫ ডিসেম্বর) চার্চে গিয়ে আমিও আমার খৃষ্টান ফ্রেন্ডদের সাথে প্রে করে এসেছে।
* তু্মি বাড়িতে পূজো হলে ঠাকুর কে কতকিছু দাও, যিশুকে কি দিয়েছো? তাছাড়া যিশু তো তোমাদের ঠাকুর না, তাহলে? তোমার প্রেয়ার যিশু শুনবে কেন?
** "আংকেল, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমার ঠাকুর না তো কি হয়েছে আমার খৃষ্টান বন্ধুদের তো ঠাকুর।"
* 'তাহলে তুমিও ঈদে ঈদগা / মসজিদেও গিয়েও প্রে করো?'
এবার ও জিভ দাঁতে কেটে বলল, "ছিঃ ছিঃ, এসব কি বলছেন আঙ্কেল, ওটা করা যাবেনা।"
আমি জিজ্ঞেস করি- 'কেনো করা যাবেনা?'
উত্তরে বললো- "গরু হলো গো-মাতা, দেবতা, মুসলমানরা গো-হত্যা করে খায়।"
আমি বললাম- 'তোমার খৃষ্টান বন্ধুরাওতো গরু খায়....'
"....না না না ওরা গরু খায় না..."!
এই উত্তরে অবাক হইনি, আবার এতে মেয়েটির অন্যায়ও দেখিনি। এই রকম হিপোক্রেসিতে এই ছোট্ট মেয়েটির সত্যি তো কোন দোষ নেই। এই হিপোক্রেসিটা আমদের সমাজ ধারন করেই আছে, আমিও আছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

