আমেরিকার হৃদয় রক্তাক্ত....
গোটা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষের হৃদয় স্পর্শ করলেন ওয়ান ম্যান আর্মী ইরান!
একই সময়ে আমেরিকা, ইসরাইল, বৃটেন, জার্মানি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সকল দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তিনি! ভাবা যায় এটা?
ইরানি জাতির শরীরে কোন ভয় নেই, বরং হৃদয় জুড়ে অগ্নি লাল উত্তপ্ত লাভা আর অদম্য সাহস। ইরানের মুসলমানদের বুকে কোন ভয় নেই এটা সত্যি প্রমাণিত। আছে শুধু সম্মান, আত্মসম্মান ও দৃঢ় অঙ্গীকার।
খামেনি আমেরিকাকে আঘাত করেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কেউ দেখার সাহস করেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার চোখে তাকানোর সাহস কারো হয়নি। ইরান শুধু তার দিকে তাকায়নি- চোখে চোখ রেখে ওদের চোখে-মুখে ঘুষি মেরেছে।
যখন খামেনি আদেশ দেন- মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান ঘাটি কাঁপিয়ে দিতে হবে, তখন তিনি শুধু নিজের নয়, সমগ্র মুসলিম জাতির ইতিহাসকে মৃত্যুর মুখে তুলে দেন এবং বলেন, চলো মরে গিয়ে বাঁচি। এ যুদ্ধ নয়, এ আত্মমর্যাদাবোধের মিছিল- একটি জাতির জাগরণ। আমরা কারো গোলামি করি না। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে কোন পরাজয় নেই, আর হবেও না। ফলাফল কি হবে, কে মরবে, কে বাঁচবে- সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল খামেনি ইতিমধ্যে জিতেছে। সে ভয়ের ভাবমূর্তি ধ্বংস করেছে, আত্মমর্যাদাবোধকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে।
এই যুদ্ধ থেকে ইরান অনেক কিছু শিখেছে, তাদের সক্ষমতা আর দূর্বলতা দুটোই। ইরান এখন থেকেই ইন্টারনাল গাদ্দার-কোলাবরেটর-ইজরায়েলি দালালদের চিনহিত করতে পেরেছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যা এখন ইরানের প্রায়রিটি নম্বর ওয়ান।
ইরান তাদের এয়ার ডিফেন্সের দিকে এখন মনোযোগ আরও বেশি দিবে। শিখেছে ইজরায়েল-আমেরিকা-বৃটেন-জার্মানি কতদূর যেতে পারে। ইরানের রেজিম এখন আরও পাওয়ারফুল হয়ে উঠবে, তাদের জনপ্রিয়তা এখন বেড়েছে। আগে না পারলে কিম্বা না করলেও এখন ইরান পারমাণবিক বোমা বানাবে।
চারপাশে স্বধর্মীদের মোনাফেকি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং দুশমনদের সরাসরি সহযোগিতার বিরুদ্ধে একাকী লড়াই ইতিহাস হয়ে গিয়েছে। এই সাহস, এই ত্যাগ জাতির অহংকার। এই সেই জিহাদী শক্তি, মুজাহিদিনের সম্মান।
স্যালুট খামেনী।
মুসলিম ইতিহাসের অনন্য লেখক।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯