ডাকসু নির্বাচনঃ ন্যায়সংগত আন্দোলনের ঐতিহ্য ও আজকের প্রজন্মের দায়িত্ব
বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি ন্যায়সংগত আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার সংগ্রাম, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণআন্দোলন কিংবা ২০০৭-০৮ সালে সেনা-তত্ত্বাবধায়ক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিটি অপশক্তি বিরোধী আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রদল। তাঁদের ত্যাগ, রক্ত ও আত্মদানেই আজকের স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ।

গত ষোলো বছরের বাস্তবতাঃ
গত ষোলো বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের আন্দোলনে তাঁরা ছিল অগ্রভাগে। তাদেরকে সামনে রেখে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে কখনোই গ্রহণ করেনি। কিন্তু শিবির ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় ঢুকে গত ষোলো বছর ধরে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন আর গুপ্ত হামলার রাজনীতি চালিয়েছে।
আজ সেই নীতি নৈতিকতা ভ্রষ্ট 'শিবির-ছাত্রলীগের আঁতাতের দল' আবার ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কখনো অন্যায়ের পাশে দাঁড়ায়নি।
ডাকসু নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ডাকসু শুধু একটি ছাত্র সংসদ নয়, বরং এটি হলো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চার প্রতীক। এখানে যে দল নেতৃত্ব পায়, তারা ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখে। তাই ডাকসু নির্বাচন মানেই নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব-
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া।
নির্যাতনকারীদের প্রত্যাখ্যান করা।
মেধাবী, বিবেকবান নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা
আজকের দায়িত্ব।
যারা গত ষোলো বছর নির্যাতিত হয়েছে, তারাই আজ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যারা সন্ত্রাস করেছে, তারা আবার ভুয়া গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ভোট চাইছে।
এখন সময় এসেছে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
সন্তানসম মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন;
আগামীকাল নির্ভয়ে ভোট দিন।
জয়যুক্ত করুন ছাত্রদলের প্যানেলকে।
মনে রাখবেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষাঙ্গন নয়- এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের দিশারী। এই বিশ্ববিদ্যালয় আবার নেতৃত্ব দিক ন্যায়, অধিকার ও গণতন্ত্রের।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



