(১) উচ্চশিক্ষা মানুষকে করে বিনয়ী আর কিছু বাঙ্গালিকে করে অহংকারী।
ইউরোপ/আমেরিকাতে আসার পর এরা আর বাকিদের মানুষ মনে করে না। এমন একটা ভাব ধরবে যে বাংলাদেশ একটা nasty দেশ। এই দেশের কিছুই হবে না। এমন দেশে কি করে মানুষ থাকে। কিন্তু সে নিজে বাসের লেঞ্জা ধইরা ধইরা হয়তো তার গোটা কলেজ, ভার্সিটি লাইফ পার করছে।
(২) টপ স্কুল, টপ অ্যাওয়ার্ড ছাড়া কোনো কথা নাই দেশে থাকতে ধরেন কেউ যদি একটা চকলেট গিফট করতো ওইটাও ফেসবুকে পোস্টাইতো। কিন্তু এখন তো USA-তে আসছে তাই MIT, Harvard আর নোবেল ছাড়া কোনো অ্যাওয়ার্ডরে অ্যাওয়ার্ড মনে করে না।
(৩) অন্যকে ছোট করাঃ উচ্চশিক্ষিত বাঙ্গালি খুব সুন্দরভাবে অন্যকে ছোট করতে পারে। আর এদের মতো হিংসুক আপনি দুনিয়ার কোথাও পাবেন না।
Example: Stanford-Elsevier-এর টপ ২% সায়েন্টিস্টের একটা লিস্ট দিসে। ওইটায় কিন্তু শুধু বাঙ্গালি না USA, Europe, even MIT, Harvard, Oxford-এর প্রফেসররাও আছে। তো এই লিস্টে যে বাংলাদেশি কিছু মানুষের নাম ঢুকছে, যেইভাবেই ঢুকুক না কেন এইটা কি সম্মানের না?
এখন কিছু শিক্ষিত বাঙ্গালির কিন্তু এইটা গায়ে লাগছে। Maybe কেউ একজন এটা নিয়া মক পোস্টও করছে বাংলাদেশের মানুষের যোগ্যতা নিয়ে যে তারা নোবেল কেন পায় না। কিন্তু এরা এত স্টুপিড এইটা বুঝে না যে এই সম্মানটা নিয়ে একচুয়ালি ক্রিটিসাইজ না করে বরং সেলিব্রেট করা উচিত, যে হাজার লিমিটেশনস, ফান্ডিং লিমিটেশনস থাকার পরও আমাদের দেশের স্টুডেন্ট, বা ফ্যাকাল্টিরা ওয়ার্ল্ডের কোথাও নাম তো এনলিস্ট করতে পারতেসে।
(৪) গুটিবাজির বসঃ USA/Europe-এ ওই দেশের ফান্ডিং-এ পড়াশুনা করবে। উইকলি এক একটা বাসায় খাওয়া দাওয়া হবে। আর পুরাটা সময় ম্যাক্সিমাম টাইম একজন আরেকজনের বদনাম করবে। দেশের মানুষদেরকে নিয়ে মক করবে। দেশ যে নিপাতে যাচ্ছে আর তারা যে কিছু ছিঁড়তে পারতেসে না এইটা নিয়ে অনেক প্রব্লেম। আমি এইটা এড়ায়ে চলি... কারণ সুযোগ পাইলে এরা আমার সাথেও খোঁচাখুঁচি করে। যদিও I don’t give a damn shit.
(৫) আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগেঃ
এদের প্রচুর আইডেন্টিটি ক্রাইসিস থাকে। এরা প্রাণপণ ফরেনার হওয়ার ট্রাই করে। কিন্তু এইটা বুঝে না যে কাওয়া যদি তার পিছনে পেখম লাগায় সে কখনো ময়ূর হয় না। আমি যে মহান ভালো মানুষ তা না। কিন্তু আমি মনে করি যেই দেশে খাইসি, যেই দেশের মানুষের মধ্যে আমি থাকসি, ওই দেশের মানুষকে বা দেশকে ছোট করার কোনো রাইট আমার নাই। দিন শেষে আমি বাঙ্গালি।
হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক অনেক ভালো করতেসে। আমার দেশে enough জব নাই। একটা ছেলের ৩০ বছর পর্যন্ত wait করা লাগে একটা decent জব পাইতে।
কোয়ালিফিকেশন থাকলেও effort দিয়েও ছেলেমেয়েরা তাদের ট্যালেন্টের enough রিকগনিশন পাচ্ছে না। আন্ডারগ্র্যাডের ছোট ছোট বাচ্চারা নিজের টাকা দিয়ে রিসার্চ করতেসে। NeurIPS-এর মতো টপ কনফারেন্সে, যেইটাকে “অলিম্পিক অফ কনফারেন্স” বলে, আমার SUST-এর-ই CIOL Lab-এর আন্ডারগ্র্যাডের ছেলেদের একটা না ছয়টা পেপার অ্যাক্সেপ্ট হইসে।
আমার কাছে ম্যানহোলে কাজ করা মেথর, ক্ষেতে কাজ করা কৃষক, কিংবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা যে নাকি এখনো দেশে আছে। বা যারা জেনুইনলি দেশে থাকতেসে, দেশে কন্ট্রিবিউশন রাখতেসে, আমার কোনো রাইট নাই তাদেরকে ক্রিটিসাইজ করার। আমার কোনো যোগ্যতা নাই তাদের অ্যাচিভমেন্টকে ছোট করার।
(প্রবাসী ফেসবুক বন্ধু মঞ্জুরুল আহসান এর পোস্ট)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


