"গণভোটে’র চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ"- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের এই বক্তব্যের যথার্থ। কারণ, গণভোটের আগে মানুষের জীবন!
★ ১ কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদন, কিন্তু কৃষক পাচ্ছেন অর্ধেক দামও না।
★ ৩৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ, ১.২ লাখ শ্রমিক বেকার।
শিক্ষার্থীর এক-তৃতীয়াংশ ইংরেজি ও আইসিটি-তে অকৃতকার্য।
★ ২৪টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে, অর্থনীতি নাজুক।
এই সব বাস্তবতার মাঝে কথিত “গণভোট” কেনো বেশি জরুরি হতে পারে তা 'হাংকিপাংকি রাজনৈতিক নেতা', 'আংগুল ঢুকানো' নেতারা বুঝবে না।
তারেক রহমান বলেছেনঃ
“আলুর ন্যায্যমূল্য, পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, চাকরি, শিক্ষা সংস্কার- এগুলো মানুষের জন্য জরুরি, গণভোট নয়।”- এটা রাজনীতি নয়- এটা মাটির টান, মানুষের দুঃখের টান।
রাষ্ট্রের সামনে যখন অর্থনৈতিক সংকট, কৃষকের হাহাকার, শ্রমিকের আর্তনাদ, শিক্ষার মানের অবনতি আর ব্যাংকিং খাতের চরম অস্থিরতা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে- তখন কথিত ‘গণভোট’কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কৃত্রিম উত্তেজনার মধ্যে একটা সত্য যেন বারবার হারিয়ে যাচ্ছে।
মানুষ আজ ন্যূনতম জীবনের নিরাপত্তা চায়। ঠিক এই জায়গাটিতেই তারেক রহমানের বক্তব্য দেশবাসীর অন্তরের ক্ষতকে স্পর্শ করেছে। এই বাস্তবতার মুখে তারেক রহমানের প্রশ্ন নিছক রাজনৈতিক নয়- এটা মানবিক প্রশ্ন
“চাকরি ছাড়া হাজার কোটি টাকার গণভোট কার জন্য?”
তারেক রহমান যখন বলেন- “আলু উৎপাদন করে কৃষকরা অর্ধেক দামে বিক্রি করতে পারছেন না"- তখন সেটা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটা একেকটি মানুষের ঘামঝরা শ্রমের বেদনা। একদিকে কৃষকের ঘরে লোকসান,
অন্যদিকে রাষ্ট্রের টাকা ব্যয় করে কথিত গণভোটের আয়োজন- এই তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই তারেক রহমানের প্রশ্ন- “গণভোটের চেয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য কি বেশি জরুরি নয়?”
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


