মুখোশের মহাজাগতিক মেলা....
মুখ ঢাকা মুখোশের এই দুনিয়ায় এখন মানুষ চিনতে গেলে বোধহয় বিশেষ ডিপ্লোমা লাগবে- “মুখোশবিদ্যা ও চরিত্রতত্ত্বে স্নাতকোত্তর”!
কারণ, একই মানুষ সকালে ভদ্র, দুপুরে সাধু, বিকেলে বিপ্লবী, আর রাতে আবার হঠাৎ নৈতিকতার মহাগুরু!
একই অঙ্গে- চার রূপ, পাঁচ ভাষা, সাত চরিত্র!
বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত রোবট, রকেট, এআই- সবই বানালো…বিজ্ঞানীরা মংগল গ্রহে পানি খুঁজে পেলো-
কিন্তু মানুষের ভেতরের অরিজিনাল চরিত্র খুঁজে বের করার মতো একটা সস্তা স্ক্যানারও বানাতে পারলো না!
“আসল-নকল মানুষ চেনার মেশিন” এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। অবশ্য একটা মেশিন বানাতে গেলে আগে ‘নকল’ মানুষের স্যাম্পল লাগবে-
ওই জায়গাতেই গবেষণা ব্যর্থ হয়ে যায়। স্যাম্পল নিতে গেলেই সবাই বলে- “আমিই খাঁটি, অরিজিনাল! বাকি সবাই নকল!”
আর রাজনীতির বাজারে তো মুখোশের অফার চলছে-
“একটি কিনলে- চিন্তার খরচ ফ্রি!”
হাতুড়ি লীগ-হেলমেট লীগ, জা-শি, জামাত, এনসিপি, এবি- নাম পাল্টালেই মানুষ বদলে যায়না, স্বভাব চরিত্র বদলে যায় না! গায়ে নতুন লেবেল লাগালেই চরিত্র রিব্র্যান্ড হয়ে যায় না! একই মুখোশ শুধু রঙ বদলায়- পর্দার আড়ালে মানুষটা কিন্তু সেই একই ওল্ড স্টক।
অতএব, এ যুগে মানুষকে চিনতে চাইলে চেহারা দেখলে চলবে না- ধারণা ধরতে হবে, আচরণ বুঝতে হবে, আর কথা কম বিশ্বাস করতে হবে। কারণ সত্যিটা খুব সোজা-
নাম যা-ই হোক, ভিতরের মানুষটা যখন বের হয়,
সেই চরিত্র কিন্তু কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


