পৃথিবীর কথা।
আমাদের এই পৃথিবী মানুষ ও উদ্ভিদ সহ কোটি কোটি প্র্রাণীর আবাস ভূমি, যার বয়স বৈজ্ঞানিক হিসাব মতে প্রায় ৪৫০ কোটি বছর। যা মহা শুন্যের বুকে ভাসমান পৌর সংসারের অন্যতম সদস্য। এর আয়তন ৫১,০১,০০,৫০০,বর্গ কি.মি.। পরিধি-নিরক্ষীয় – ৪০,০৭৫কি.মি. মেরু - ৪০,০২৪কি.মি.। নিরক্ষীয় ব্যাখ্যা ১২,৭৫৬কি.মি.। মেরু ব্যাখ্যা-১২,৭১৪ কি.মি.। ভর-৫৮৮-১০২১টন। উচ্চতম স্থান- এভারেষ্ট শৃঙ্গ। নিম্নতম স্থান- ডেডসি উপকূল তটভূমি। এই পৃথিবী এবং তার প্রাণময় অস্তিত্বের সচল, সবল ও গতিময় করে রাখবার প্রয়োজনে পৃথিবী আবার আলো এবং তাপ, পানি, মাটি ও বাতাস (অ্যাটমেস্ফিয়ার) দ্বারা পরিবেষ্টিত। কারণ আজকের আধুনিক বিজ্ঞানের বদৌলতে প্রমানিত পৃথিবী সচল ও গতিময় এক প্রাণ সত্তা। আমাদের আজকের এই পৃথিবী কোটি কোটি প্রাণীর বাসভূমি। পৃথিবীর এই বাসযোগ্য অবস্থান কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছে বহুলক্ষ কোটি বছরের বিবর্তনের ধারা অনূসরণ করে। সৃষ্টির সময় পৃথিবী ছিল এক জলন্ত গ্যাসীয় পিন্ড।
একে একে ঠান্ডা হতে হতে প্রথমে তরল অবস্থায় পরিনত হয়। আজও ২০৮০ কি.মি. চওড়া অঞ্চল জুড়ে এই তরল অবস্থা রয়েছে সমস্ত পৃথিবীর অভ্যান্তরে। পরবর্তীকালে জমাট বেঁধে পৃথিবীর উপরিভাগে তৈরি হয়েছে ভূ-ত্বক। যার একদিকে স্থলভূমি।বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম লিথোস্ফিয়ার। আয়তন প্রায়-১৪,৮৯,৫০,৮০০ বর্গ কি.মি.। অন্যদিকে জলভূমি, বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম হাইড্রোস্ফিয়ার। আয়তন প্রায়-৩৬,১১,৪৯,৭০০ বর্গ কি.মি.। আদীম কালে অর্থাৎ শিলুরিয়ান যুগ থেকে যাযাবর যুগ, যখন পৃথিবীর সমগ্র স্থলভাগ নিয়েছিল একটি মহাদেশ প্যানজিয়া, তার সমগ্র জলভাগ নিয়ে ছিল একটি মহাসমূদ্র প্যানথালনা। কিন্তু পরবর্তিকালে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনূসারে মানুষ তার বসবাসের পয়োজনে ও কর্তৃত্ব কায়েমের উদ্রেশ্যে জলভাগ ও স্থলভাগ নিয়ে গঠিত পৃথিবীর উপরি ভাগকে নানা নামে ও নানা ভাগে ভাগ করে। স্থলভাগ ভেঙ্গে তৈরি হয় ৭টি মহাদেশ যথা- এশিয়া, আর্ফিকা, উঃ আমেরিকা, দঃ আমেরিকা, আন্টার্কটিকা, ইউরোপ ও ওশিয়ানিয়া। এই মহাদেশ গুলি ভেঙ্গে তৈরি হয়েছে দেশ ও প্রদেশ। জলভাগকে ভেঙ্গে তৈরি হয়েছে ৫টি মহাসাগর যথা-প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আর্কটিক (সুমেরু) ও আন্টার্কটিকা (কুমেরু) মহাসাগর পৃথিবীর উত্তর প্রান্তে বরফের শীতলতা আর দক্ষিন সমূদ্রের হাতছানি । মধ্যভাগে মরুভূমির উত্তপ্ততা । এই পৃথিবীতে শুধু প্রাকৃতিক ও পরিবেশ বৈচিত্র রয়েছে বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে, তাদের ভাষার মধ্যে বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষ কথা বলে ৫০০০ হাজার রকম ভাষা তারমধ্যে ২০০০ হাজার স্বীকৃত। ইংরাজী যদিও আন্তর্জাতিক ভাষা তা হলেও সব থেকে বেশি মানুষের ব্যবহূত ভাষা হচ্ছে- গন্ডারিয়া (চীন) ব্যবহূতের সংখ্যা প্রায় ৯৫.২ কোটি। ইংরাজী-৪৭.০ কোটি। হিন্দি-৪১.৮ কোটি। রাশিয়ান-২৮.৮ কোটি। পর্তুগীজ-১৮.২ কোটি। বাংলা-১৯.৬কোটি। জাপাী-১২.৬কোটি। ফ্রেঞ্চ—১২.৮কোটি। জার্মান ১২.১ কোটি ও উর্দু-১০.০০ কোটি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




