যশোর-২ ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসন থেকে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে এমপি হয়েছেন মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পৈত্রিক সূত্রে যশোরের ঝিকরগাছার বাসিন্দা হলেও এখানে তার বসত ভিটা বলতে কিছুই নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন এবং এমপি হন। মেধাবী এ ব্যক্তি এমপি হওয়ার পর স্ত্রী মমতাজ ফারুকসহ নির্বাচনী এলাকায় যাতায়ত শুরু করেন। এরপর থেকে মন্দ লোকের নানা কথা বলতে থাকেন।
সরকারের এ তিন বছরে মমতাজ ফারুক নিজেকে ‘'পার্সেন্টিস’' নামে পরিচিত করতে পেরেছেন বলে দুষ্ঠু লোকেরা প্রচার করেন। তিনি অসহায় গরীবদের সহায়তার জন্য মমতাজ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান করেছেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি অনেক কাজও করেন বলে প্রচার করেন।
দুষ্ঠু লোকদের ভাষ্য মতে তিনি ফাউন্ডেশনের অর্থ জোগানের নামে চাকরি দেয়া, এমপিও করে দেয়া, ত্রান তহবিল, জেলা পরিষদের অনুদান থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়া সহ বিভিন্নভাবে টাকা সংগ্রহ করেন। দলীয় লোকদের মধ্যে কথিত আছে ঝিকরগাছা ও চৌগাছা উপজেলায় কোন কাজ হতে গেলে এমপির সনামধন্য এ স্ত্রীকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন দিতে হয়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তিনি তার প্রিয় এমপি স্বামীকে একা চলতে দেন না। যেখানে যে অনুষ্ঠাইে যান কেন সেখানে তিনি থাকবেন। মজার বিষয় হলো তাকে বিশেষ অতিথি না করলে এমপি মহোদয় সেই অনুষ্ঠানেই যান না। এতে করে সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের নাম মমতাজ ফারুকের নামের নিচে আসে।
এছাড়া এমপির পার্সেন্টিস ওয়াইফ যে সভাতেই যান কেন তার মূল উদ্দেশের বাইরে গিয়ে নিজের ফাউন্ডেশন সম্পর্কে নিজেই ক্যানভাসের কাজ শুরু করেন। এতে করেই অনেকেই বিব্রত ও ক্ষিপ্ত হলে কিছু বলতে পারেন না।
এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বৃহষ্পতিবার। ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন এসএসতিতে কৃতিত্ব অর্জনকারী উপজেলার শিক্ষার্থী ও তার মায়েদের সংবর্ধনার আয়োজন করে। এ অনুষ্ঠানেও তাকে অতিথি করা হয়। সকল প্রোটোকল ভেঙ্গে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তার আগে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়। উপজেলাবাসী দেখে অভ্যস্ত বলে কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না। কিন্তু মমতাজ ফারুক যখন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার ফাউন্ডেশনের পরিচিত শুরু করেন তখন বিব্রত হন সকলেই। মজার বিষয় হলো ফাউন্ডেশনের নামে পার্সেন্টিস নিয়ে হজম করলেও বলেন তিনি একক প্রচেষ্টায় ও ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে জনকল্যাণে কাজ করণেœ। এতে অনেকে ইশপিশ শুরু করেন। অনেক সংবাদকর্মী সেখান থেকে উঠে চলে যাবার চেষ্টা করলে আয়োজকরা তাদের অনুরোধ করে বসান।
এসময় অনুষ্ঠানে আগতদের মধ্য থেকে অনেককে বলতে শোনা যায় সুযোগ থাকলে এমপি মহোদয় স্ত্রীকে সংসদ চলাকালে নিজের পাশের আসনে বসাতেন।
প্রশ্ন হলো যে ব্যক্তি স্ত্রীর বাইরে কিছু করতে পারেন না তাকে দিয়ে দেশ ও জনগণের কি লাভ?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



