somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সত্যগোপন ও সম্পর্কের পরিণতি!

১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.
: কেমন আছ?
: হ্যাঁ। এইতো আছি।...দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলে উঠে, “যেরকম থাকি। তোমার খবর কি?”
: আমি বাড়ি এসেছি। তোমার সমস্যা কি মিটেছে?
: ন...নাহ! ও তো ডাক্তার দেখাতেই চায় না। বলে আগেও নাকি দেখিয়েছে।
: আগে মানে কবে?
: ঐযে যখন অস্ট্রেলিয়ায় ছিলো। তখন। থাক বাদ দাও ও কথা। ...বলে আবারো ছোট একটা শ্বাস গোপনের চেষ্টা!!
: তোমার কণ্ঠস্বর কেমন যেন শুনাচ্ছে। কি হয়েছে বলো তো আমাকে।
এরপরে কান্নার শব্দ শুনা যায় শুধু। অনেকক্ষণ ধরে কোন কথা নেই। মনার সমস্ত না বলা কথা যেন কান্না হয়ে বেরিয়ে আসছে। এবং স্রোতস্বীনি নদীর মত বয়ে চলল কিছুক্ষন।
ও দাঁড়িয়ে আছে উজ্জ্বল জ্যোতস্নালোকিত বারান্দার এক কোনে, ঘরের লাইট নেভানো। বারান্দার দরজাটা বাইরে থেকে সামান্য ভেজানো। দরজার সাথে ওর বেড রুম। কান্নার দমক কিছুটা হালকা হয়ে যাওয়ার পর ও খেয়াল করলো দরজার ফাঁকে একটা বিশাল ছায়া। ওই ছায়া কার তা না দেখেও ও বলে দিতে পারে।

২.
মোবাইলে ফোন এসেছে। মনা গোসল করতে করতে পানির শব্দ ছাপিয়ে শুনতে পেল। একবার। দুবার। তিনবার। বাজছে ওর নিজের ফোন। কে করছে এতবার! জরুরী কিছু?
অন্যদিনের তুলনায় তাড়াতাড়ি গোসলখানা হতে বের হয়ে আসলো মনা। তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হয়ে এসে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো, কোন মিসকল নেই। “কি ব্যাপার! আমি তো শুনলাম, আমার ফোন বাজছে।“ বলে কল হিসটরি চেক করে দেখতে পেল ঠিকই তিনবার ফোন করেছিল শিমুল।
“শিমুল ফোন করেছিল! কেন?”
ভাবতে ভাবতে দেখলো, সাজিদ বারান্দা থেকে ঘরে প্রবেশ করছে। চেহারায় কেমন যেন ভাব।
এসে বসতেই মনা জিজ্ঞেস করলো, “তুমি আমার ফোন ধরছিলা?”
-“হ্যাঁ। দেখলাম।“
-“কেন?”
-“দেখলাম, কে ফোন করছে তোমাকে।“
শুনে রাগে গা জ্বলে উঠলো মনার। ”অনুপস্থিতিতে কারো জিনিসে নজর বুলানো যে ঠিক না তা তুমি জানো না?”
সাজিদ কিছু না বলে উঠে চলে গেলো।
ও ঘরে শাশুড়ি আর সাজিদের কথোপকথনের শব্দ শুনতে পেল সে।
৩.
-তোমরা আগামীকাল মুক্তিসেনা কবিতাটি মুখস্ত করে আসবে।
- জ্বী, আপা।
ক্লাসের ঘন্টা পরলে মনা ব্যাগ গুছিয়ে হেঁটে টিচার কমন রুমে চলে আসলো।
-“কিরে মনা, মুখ শুকনো। কেমন আছিস?”
-“নাসিমা আপা, এভাবে আর চলে না।“
-“ তুই তোর হাজবেন্ডকে বুঝা। ভালো করে বুঝালে সে নিশ্চয়ই একসময় বুঝবে।
কিভাবে বুঝাবে? আর কতবার! কতভাবে! বিয়ের দু’বছর পেরিয়ে গেছে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানপিটে তুখোড় ছাত্রী ছিলো মিরা। অনার্স, মাস্টার্সে প্লেস নিয়ে পাশ করেছে। জীবনের কোন অধ্যায়ে সেকেন্ড ডিভিশন নেই। খুব সুন্দরী না হলেও নজরকাড়তো সবারই। সিনিয়র জুনিয়র অনেক ছেলেরই স্বপ্নে হানা দিতো। অনেকেরই ঘুম হারাম করে দেওয়া মনার ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবাসার বিশেষ একজন ছিলো। অন্য সব মেয়ের মতই বিশ্ববিদ্যালয় পাশের পর ঘর বাঁধার স্বপ্ন ছিলো ওরও। কিন্তু, কোন এক অজ্ঞাত কারণে হাসানের সাথে ওর বিয়েটা হলো না। বিয়ে করে হাসান খুশি থাকলেও মনা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলো। ওকে নিয়ে বাবা-মার চিন্তার শেষ ছিলো না। কি করবে, কোথায় বিয়ে দিয়ে মেয়েটার জন্য নিশ্চিন্ত হয়ে দুজনে পৃথিবী ছাড়তে পারবে সেই ভাবনা ছিলো সবসময়।
এর মধ্যে হালিম সাহেবের বড়ভাইয়ের বউ বড় ছেলেকে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য দেশে ফিরলে ওঁরা মিরাকে দেখে মুগ্ধ হয়। মনা তখন প্রেমের বেদনা ভুলে কিছুটা ধাতস্থ। বিয়ের ব্যাপারে নিজেও একটু আগ্রহী।
তারপর আর কি! ছেলে বাইরে থাকে, সেখানকার ওষুধ কম্পানীতে চাকরী করে, বছরে দুবার দেশে আসে। এমন পাত্র হাতছাড়া করা তো ভীষণ বোকামী। তার উপরে সবকিছু জেনেও যখন ওঁরা সব রাজী! দু’পক্ষের কেউই দেরী না করে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেললো।
৪.
বছর আটের বড় প্রবাসী আপন চাচাতো ভাই এর সাথে সম্পর্কটা ছিলো সবসময়েই গুরুজন সদৃশ। যে কারণে তার সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও সহজ হতে পারেনি। লোকটা সবসময়েই গম্ভীর। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের কয়েকদিনেও এতটুকু স্বাভাবিক হতে পারেনি মনা। আধুনিক মনমানসিকতা সম্পন্ন মনা ভেবেই নিয়েছে বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে ওটা ঠিক হয়ে যাবে।
বাসর রাত। দুজনে বসে আছে খাটের উপর। মনা কি করবে, কি বলবে ভেবে পেল না। তাই চুপ করে রইলো। এভাবে কেটে গেলো অনেকটা সময়।
একসময় ওর কাজিন প্লাস হাজবেন্ড সাজিদ বলে উঠলো, “মন, তুমি কি ভয় পাচ্ছ?”
মনা জড়ানো গলায় কি বলে উঠলো, ঠিক শুনা গেলো না।
- “ঠিক আছে। তুমি ঘুমিয়ে পরো।“
মনা বেশ হতাশ হলো। আহারে, কি এক নিরানন্দ বিবাহ বাসর। কোন কথা নেই। ভাব ভালোবাসার কথা না জানুক লোকটা, অন্তত টুকটাক কোন কথা বলে ওর সাথে ভাব জমাতে বা ওর লজ্জা কাটানোর চেষ্টা তো করতে পারতো। “তা নয়। ঘুমাও!”
মনা কি বলবে! ও কাত হয়ে এক পাশে ফিরে শুয়ে পরলো।
ঘুমিয়ে পরেছিলো নাকি জেগে থাকতেই! ওর মনে হলো ওর পোশাকের নিচের অংশে টানাটানি! ঘুমঘোরে বুঝতেই সময় লাগলো কিছুক্ষণ ও আছে কোথায়! সম্বিত ফিরে পেতেই হালকা আবছায়া অন্ধকারে ও যা দেখলো তাতে ওর বেহুঁশ হয়ে যাবার যোগাড়! প্রতিবাদের ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে! কিছুক্ষণ টানাটানি করেও সুবিধে করতে না পেরে ক্ষ্যান্ত দিল লোকটা।
সারা রাত্রী ভয়ে আর দু’চোখের পাতা এক করতে পারেনি মনা এতটুকু!!
আপন চাচা বাড়ি হলেও মনা এ বাড়ির সাথে ততটা আন্তরিক নয় যেখানে মনের আগল খুলে দিয়ে মনকে হালকা করা যায়।
সারাদিন আত্মীয় স্বজনের মাঝে যেমন করে হোক কেটে গেলো। রাতে ঘুমোবার আয়োজনে মনা কি বলবে ভেবে না পেয়ে বিছানা করে একপাশে শুয়ে পরলো আগের রাতের মতই। নতুন শশুড় বাড়ির সারাদিনের ব্যস্ততায় ও ভীষণ ক্লান্ত। ঘুমিয়ে পরলো সাথে সাথেই।
অনেক রাতে আগের রাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রথমে টের না পেলেও সামান্য পরেই বুঝতে পারলো। আজ কি করে লোকটা ওর দেখার ইচ্ছে। তাছাড়া, পুরুষের শরীরের ছোঁয়ায় নারীর একটু শিহরণ তো হবেই।
আজ ফিতে খুলে ফেলেছে। কিন্তু, পূর্ব প্রস্তুতি নেই। নেই কোন আনুষ্ঠানিক আহবান। অযথাই ঘষাঘষি করলো কিছুক্ষণ! যা করতে চেয়েছিল তা করতে পারলো না এমনকি নিজেও বোধহয় কোন সুখ পেলোনা। দৌঁড়ে বাথরুমে গিয়ে ঢুকলো।
মনা বিছানায় শুয়ে অবাক হয়ে ভাবতে থাকলো, “বান্ধবীদের বাসর রাতের সুন্দর সুন্দর কাহিনী শুনেছিলো। ওর জীবনে এইসব কি হচ্ছে! তাও কোন অবুঝ অবলা অশিক্ষিত মেয়ে নয়!”
সাজিদ বের হয়ে এলো কিছুক্ষণ বাদে বাথরুম থেকে। আর মনাকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠলো, “সরি মনা। এরকম আর হবে না।“
৫.
বিয়ের তিন দিন পরেই স্কুলে যেতে হয়েছে। ছুটি ম্যানেজ করা যায়নি।
অন্য কোন মধুময় বিয়ে হলে মনা আরো ছুটি দাবী করতো বা স্কুলের কামাই দিতো। কিন্তু, এখন বরং স্কুলের ছুটি না পেয়ে বেঁচেই গেছে সে। ঐ বাসা থেকে বেরিয়ে যতটা সময় ওকে বাইরে থাকতে হয় ততটা সময় ও শান্তিতে থাকে। যদিও শশুড় বাড়ির কারো প্রতি ও কোন বিরক্তি প্রকাশ করে না।
ডায়াবেটিকসের পেশেন্ট শাশুড়ির সার্বক্ষণিক সেবা করে যায়। মাঝে মাঝে পেসাব-পায়খানাও পরিস্কার করতে হয় ওকে শাশুড়ির। শশুড় বেঁচে নেই। বাড়ির কারো প্রতি ওর কোন বিরক্তি নেই। এমনকি ও সাজিদের সমস্যাটাও কাউকে বুঝতে দেয়না।
প্রতি রাতেই সাজিদের অন্যায্য ব্যবহারে মানসিক শারিরীক ক্ষতবিক্ষত মন নিয়ে ও দিন যাপন করে চলেছে।
৬.
লজ্জা শরম বাক্সে বন্দী করে বিয়ের তৃতীয় দিনেও যখন লোকটার কার্যক্রমে কোন পরিবর্তন পেলো না তখন ও বলে ফেলেছিলো, “তোমার এই বিষয়ে একটু আলোচনা করে নেওয়া উচিত। বিষয়টা ঠিক এইভাবেই করা উচিত নয়।“ এভাবে আরো কিছু পয়েন্ট দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলো।
কিন্তু, যে কে সেই। রাত হলেই লোকটার মাথা খারাপ হয়ে যায়।
বিয়ের দুই মাস এভাবেই কেটে গেলো। এরপরে লোকটা চলে গেলো অস্ট্রেলিয়ায়। এর পরের বার এসে নাকি মনাকে নিয়ে যাবে। আসবে আবার ৪মাস পর।
৬.
নামমাত্র এক বিয়ে হলো ওর। হাজবেন্ড থেকেও নেই। আর যে ক’মাস থাকে তখন মনা ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকে। তার চেয়ে যেন দূরে থাকে সেটাই কাম্য। মফস্বল শহরের এক মেয়ের জন্য বিয়েটা খুব জরুরী ছিলো। হয়েছে। ওর পরিবার বেঁচে গেছে!
বিয়ের দু’বছর পেরিয়ে যাবার পরেও লোকটার ভাবগতিক এতটুকু পাল্টাতে পারলো না। এইবার নিয়ে তৃতীয়বার এলো লোকটা দেশে। এখনও ওকে নিয়ে যাবার কোন ব্যবস্থা করতে পারলো না। এখন শোনা যাচ্ছে আর নাকি যাবেই না।
ইদানিং বাসায় বেকার বসে থেকে থেকে সাজিদের কাছে ওর স্কুলের চাকরীটাও চক্ষুশুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুল হতে ফিরতে একটু দেরী হলেই প্রচুর কথা শুনতে হয়। বাসায় ফেরার পর মোবাইলটা জোর করে নিয়ে চেক করে সারাদিনে কার কার সাথে কথা হয়েছিলো। কেউ ফোন করলেও আড়ালে লুকিয়ে ছাপিয়ে কথা শোনাটা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর, শারিরীক সমস্যার জন্য ডাক্তার দেখানোর কথা বললে তো যা ব্যবহার করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
৭.
মনা বাবার বাড়িতে এসেছে কয়েকদিন হলো। বড়দিকে খুলে বললো যতটা পারে। শুনে উনি বলে উঠলেন, “ নিজের সংসার এক সময় ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু। ধৈর্য্য ধরতে হয়! হাসানকে এখনও ভুলতে পারিসনি তাই এই রকম মনে হচ্ছে তোর কাছে!”
বুবুর কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলো মনা। যে লোকটা বাসর রাতেই তার উপর হামলে পরেছিলো, এ যুগের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মুক্তমনা দিদিও তার উপরেই সব দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। বিয়ে হয়ে গেলে সবাইই কি বদলে যায় এমন!
অল্প কদিন তো নয়! দুই দুইটা বছর সে সহ্য করলো সবকিছু! ও ওর কলিগ, কাছের বন্ধু-বান্ধবের সাথে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করলো। আসলে সবার বক্তব্যকে যতটা প্রাধান্য দিবে, তার চেয়ে ওর নিজের মনটা বিষিয়ে উঠেছে বেশি। ও এই লোকটার হাত থেকে মুক্তি চায়! একা থাকবে সেও ভালো। কিন্তু, শারিরীক কষ্টের সাথে ইদানিং মানসিক সন্দেহের মাত্রা বেড়েছে সাজিদের। বান্ধবীদের সাথে কথা বললেও আজেবাজে কথা বলে। ওর স্কুলের পুরুষ কলিগদের নিয়েও কুৎসিত কথা বলতে ওর এতটুকু বাঁধে না।
ওর মুক্তি নিতে চাওয়া নিয়ে দুই বাড়ি থেকেই অনেক আপত্তি উঠলো। সমস্যা থাকা সত্বেও আপন পরিবারের একটা মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিতে যাদের এতটুকু বিবেকে বাঁধেনি, মনা আর তাদের কথা ভাববে না। ইন্টার পাশ করা নিজের বয়সের চেয়েও অনেক বেশি বয়সী লোকটাকে বিশ্বাস করে সুন্দর সংসারের যে স্বপ্ন ও দেখেছিলো সেই সংসারের মাঝে কোন আনন্দই যেখানে ও পাচ্ছে না সেখানে এই দিনের পর দিন রাতের পর রাত এক ছাদের নিচে থাকার মাজেজা কি ভেবে পায়না মনা।
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×