somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধু, তোমার বাড়িয়ে দেয়া হাতে ছড়াও উষ্ণতা

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা মানবিক ব্যক্তিত্ব। জেনে বুঝে কারও ক্ষতি করি না। ফাজলেমি করেও কারও সাথে মিথ্যাচার করি না। ঘরে কাজ করে যে গৃহকর্মী-রহিমা-ফাতেমা-আম্বিয়ার মা কিংবা জরিনা, তাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলেও মাঝেমাঝে চা-পানাহার নিজের হাতে তৈরি করে যত্নের সাথে তার হাতেও তুলে দেই এক কাপ গরম চা। অতিরিক্ত গরমে যেমন অধিক কাজের প্রেশার দিয়ে ঘর্মাক্ত করিনা, তেমনি এই যে শুরু হয়েছে শীত মৌসুম- অধিক ঠাণ্ডায় জর্জরিত হবে এমন কাজের প্রেশার দেই না। আর প্রত্যেক শীতে আমার গৃহকর্মী, তার বাচ্চা, তার পরিবার থেকে শুরু করে আমার গ্রামের দূর সম্পর্কের দুঃস্থ আত্মীয়-স্বজন সহ পরিচিত গণ্ডী ছাড়িয়ে আমার সাধ্য হতে অন্তত কিছু মানুষের দিকে হাত বাড়াতে চেষ্টা করি।

হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়েছে!!! উষ্ণ লেপের বাইরে মাথাটা বের করলেই গলা বুঁজে আসে, মনে হয় খুসখুসে কাশি শুরু হবে। ইস, যারা খোলা আকাশের নিচে অথবা ছনের বা টিনের ঘরে কাঁথাহীন - তাদের অবস্থাটা,ভাবা যায়?? লেপ-কম্বল তো তাদের জন্য সুদূর স্বপ্ন!!!
কিন্তু একটি লেপের খরচ সাধারণের নাগালের বাইরে হলেও বিভিন্ন দামে ও ধরনে পাইকারী মার্কেট থেকে কম্বল ক্রয় করা সম্ভব। আসুন না আমরা জনপ্রতি কমপক্ষে ১০০ টাকা সম্বল করেই এদের পাশে দাঁড়াই! আপনি কিংবা আমি একক চেষ্টায় হয়ত পারবোনা, কিন্তু দশে মিলে যদি করি কাজ, তাহলেও কি হবে না?
আর গাউছিয়া নিউমার্কেট, বংগবাজারে ঘুরার অভ্যাস আছে কারও? জানেন কি যে এইসব খুচরো মার্কেটের ফুটপাথে ৩০-৪০ টাকা মূল্যের মধ্যেই পাওয়া যায় সুন্দর ও উষ্ণ শীত পোশাক। আপনি শুধু নিজের পছন্দ ও মাপের কিনে নেবেন। আমি নিজে প্রতি বছর ডজনখানেক কিনে আমার আশেপাশের দু:স্থদের মাঝে বিলাই। এমনকি নিজেও ঘরে ব্যবহার করি। সেগুলো সেকেন্ড হ্যাণ্ড অবশ্যই, কিন্তু নাক সিঁটকানোর মত নয় মোটেই।

হতে পারে আপনি কর্মহীন, হতে পারে আপনি একজন ছাত্র। কিন্তু তাতে কি? আপনার কি পকেটমানি নেই? আপনি কি ধুমপান করেন না? অথবা আপনি কি বই ক্রয় করেন না? অনেকে বেড়াতে ভালোবাসেন। অনেকে বন্ধু আড্ডায় যোগ দেয়ার জন্য শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যান, যানবাহন ভাড়া খরচ করে। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন। একটু ভাবুন। কখনো কি আপনার যাত্রা পথে খালি গা কিংবা শীত পোশাকহীন কোন মানুষকে আপনার চোখে পরেছে? একমাসের একটি বই, এক প্যাকেট সিগারেট কিংবা একটি বন্ধু আড্ডাই না হয় বাদ দিয়ে বসুন না! খুব কি কষ্ট হবে? খুব কি ক্ষতি হবে? আপনার সেই সামান্য অর্থটিই যদি আপনি একজন শীতার্তের শীত নিবারণে সাহায্যের হাত হিসেবে দেন, ভেবে দেখেছেন কি সেই অবদানটি কতটা অমূল্য? আমি যখন চাকরি করেছি তখন ফেসবুক এর আমার চেনা কয়েক গ্রুপে আমার সামান্যটা দিয়ে যুক্ত থাকা সহ নিজের হাতে পাইকারী শীত পোশাক কিনে আমি বিলি করেছি। এখন আমি কর্মহীন, তবু চেষ্টা করি কিছু না কিছু করার। আর কিছু পারি বা না পারি আমি যদি ১০ টি বিবেক জাগ্রত করতে সক্ষম হই, সেটাই বা কম কী? ফেসবুক এ আছে মানবিক গ্রুপ; আছে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি গ্রুপ; আছে বিদ্যানন্দ গ্রুপ। আমি বিদ্যানন্দের পক্ষে আপনাকে আহ্বান করছি;---সম্ভব কি আপনার পকেট হতে কমপক্ষে ১০০টি টাকা উৎসর্গ করা? অথবা আপনি বিদ্যানন্দ প্রকাশনীর বইও অর্ডার করতে পারেন। আপনার পকেট থেকে টাকা গেলেও তার পরিবর্তে আপনার হাতে আসবে বই।

যেভাবে আপনারা শীতবস্ত্র বিতরণে অংশ নিতে পারেনঃ-
১. সরাসরিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন।
২. বিদ্যানন্দের আগামী বইমেলায় আসা দুইটি সংকলন অগ্রিম প্রি-অর্ডার করে টাকা পাঠিয়ে। ((বইগুলোতে পাঠক নন্দিত অনেক লেখকের লেখা থাকবে।) বই বিক্রির সমস্ত অর্থ শীতার্তদের উপকারে ব্যয় হবে।
৩. নিজেদের অব্যবহৃত শীত বস্ত্রগুলো (অবশ্যই ছেঁড়া দেবেন না!) আমাদের কাছে কুরিয়ার করে।

এই ইভেন্টটি চলবে আর দুদিন। তারপরেই আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করবো। আমরা ইতোমধ্যেই বেশ সাড়া পেয়েছি, আশা করি আগামী দুদিনও আপনাদের ব্যাপক সাড়া পাবো।

***১. যেভাবে আপনার অর্থ সহযোগীতা করবেনঃ
PayPal Account: [email protected]
BKash Account: 0176 668 5686 ( personal)
DBBL Mobile Banking: 0176 668 5686-9
Bank Account: Shipra Das, 148.151.36481, DUTCH-BANGLA BANK LTD, Ring Road Branch, Dhaka, Bangladesh, Swift code: DBBLBDDH).


***২. বই প্রি- অর্ডার করে টাকা পাঠানোর বিকাশ নাম্বারঃ
ফারুখ আহমেদঃ 01721932565
জাকির হোসেনঃ 01817769728


***৩. কাপড়-চোপড় কুরিয়ার করার ঠিকানাঃ
*ঢাকা বিদ্যানন্দঃ
এস এ পরিবহন ,মিরপুর-১০
সুন্দরবন কুরিয়ার ,মিরপুর- ১১
উর্মি লতা দাশ --০১৬৭০৬৩৭৮৬৩
দীপ্তি চৌধুরী --- ০১৮৭৮১১৬২৩২


*চট্রগ্রাম বিদ্যানন্দঃ
এস এ পরিবহন , নাসিরাবাদ শাখা / ২ নং গেট
সুন্দরবন কুরিয়ার ,নাসিরাবাদ শাখা / ২ নং গেট
আজওয়াদ --০১৬৭৪৬১০৫৫০
নাফিজ চৌধরী --০১৮১৮২১৬৬৮০
-
আমাদের এই ইভেন্টের শ্লোগান- "উষ্ণতায় ছড়িয়ে পড়ুক মানবতা।"

ইভেন্টের লিঙ্কঃ
https://www.facebook.com/events/1729688957264255/


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×