মন খারাপ করে বইমেলায় হাঁটছিলাম।
সাথে সতীর্থ শাকিল ভাই।
অন্যপ্রকাশের স্টলের আশেপাশেও যাচ্ছিলাম না।
কাকে যেন ফোন করার জন্য মুঠোফোনটা বের করতে দেখি ইমতিয়াজ ভাইয়ের ম্যাসেজ- অনেক কষ্টে কিছু বই করিয়ে এনেছি। দেখে যান যদিও বাইন্ডিং এখনও কাঁচা।
পলক ফেলারও কম সময়ে হাজির হলাম অন্যপ্রকাশের স্টলে।
প্রথম স্পর্শের অনুভূতি কী করে বোঝাবো?
মান্নান স্যারকে দেখলাম মেলায়। প্রিয় একজন মানুষ।
আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ ছিলেন বাবা, কিন্তু তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেও একটা ভয় কাজ করতো সবসময়। অন্য শ্রদ্ধেয়দের বেলায়ও সে ভয়টা কাজ করে।
আমি আর শাকিল ভাই স্যারের অজান্তে অনেকক্ষণ ঘুরলাম স্যারের পেছনে। স্যারের হাতে তুলে দিবো প্রথম বই।
আমার গায়ে কটকটে হলুদ রংয়ের একটা গেন্জি।
আর বইতে কিছু একটাতো লিখতে হবে। কিছুই মনে আসছিলো না।
আজ তবে থাক।
সাহস আর না করতে পেরে আমরা বসেছিলাম লেকের পাড়ের দেয়ালে।
বইপ্রিয়, লেখক মান্নান স্যারকে নিশ্চয়ই আরেকদিন মেলায় পাওয়া যাবে।
হঠাৎ স্যার আমাদের সামনে দিয়েই যাচ্ছিলেন- দাঁড়িয়ে পড়লাম আমরা। শাকিলই জানালো বই তুলে দিতে চাই স্যারের হাতে।
আমার হাত কাঁপছিল।
চোখের আর্দ্রতা বেড়ে যাচ্ছিল।
স্যার বললেন, কিছু লিখে দাও।
লিখবো, কলম কই?
শাকিল ভাইয়ের কাছেও কলম নেই।
আশেপাশের সবার কাছে চাইলাম, কারও কাছে নেই।
কাছেই অন্যপ্রকাশের স্টলে অনেক ভিড়, সেখানে কি যাওয়া যায়?
অবশেষে একজন তরুণী এগিয়ে দিলো কলম।
লিখলাম। কী লিখলাম জানিনা। প্রথম বই তুলে দিলাম শ্রদ্ধার একজন মানুষের হাতে।
সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
ঢাকায় অমর একুশে বই মেলায় অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়ন।
চট্টগ্রামে বাতিঘর।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫০