রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রসহ দুই শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে মাদার বখ্শ ও সোহরাওয়াদর্ী হলে তল্লাশি চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র জানায়, মাদার বখশ হলের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের সমাপনী কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচনে ছাত্রলীগ প্যানেলে কাজী শাহনেওয়াজ টোকন এবং ছাত্রশিবির প্যানেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রতিদ্বন্দি্বতা করে। বুধবার রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত ১২টায় শেষ হয়। কিন্তু ভোট গণনার আগ মুহূর্তে পরাজয়ের আশঙ্কায় শিবির ক্যাডাররা নির্বাচন বানচাল করতে পুরো কমিটির নির্বাচন দাবি করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় অন্য হল থেকে শিবির ক্যাডাররা অস্ত্রসহ মাদার বখশ হলের চারপাশে অবস্থান নেয়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও হল গেটে পাল্টা অবস্থান নিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রক্টোরিয়াল বডি বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভোট গণনা স্থগিত করে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে রাত ১টার দিকে হলে তল্লাশি চালিয়ে পূর্ব ব্লকের ছাদ থেকে দুটি ককটেল, একটি লোহার পাইপ এবং তৃতীয় ব্লকের নিচতলার বাথরুম থেকে চাইনিজ কুড়ালসহ বহিরাগত শিবির ক্যাডার আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ওই হলের শিবির ক্যাডার আব্দুর রাজ্জাক ও মিজানকে আটক করলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। হলে তল্লাশি চলাকালে কক্ষে তালা দিয়ে বাইরে অবস্থান করায় হল শাখা শিবির সভাপতির ২২১ এবং শিবির নিয়ন্ত্রিত ১৭৩ ও ২৫৩ নম্বর কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়। ২৫৩ নম্বর কক্ষের জানালা ভেঙ্গে শিবির ক্যাডাররা অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মাদার বখস হলে তল্লাশির সময় সোহরাওয়াদর্ী হলের শিবির সভাপতির কক্ষে ১৫/২০ শিবির ক্যাডার বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে প্রক্টোরিয়াল বডি এবং পুলিশ সেখানে হানা দিলে শিবির ক্যাডাররা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদার বখশ হলের ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করেন, হলে তল্লাশি শুরু হলে শিবির ক্যাডাররা একটি কক্ষের জানালা ভেঙ্গে হল থেকে বের হয়ে যায়। টোকন দাবি করেন, নির্বাচনে পরাজয় জেনে শিবির ক্যাডাররা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে বহিরাগতদের নিয়ে অস্ত্রসহ হলে অবস্থান নেয়। প্রক্টর চেীধুরী মোঃ জাকারিয়া অস্ত্রসহ দুই শিবির ক্যাডারকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। মতিহার থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন আটকৃত দুই শিবির ক্যাডার থানা হাজতে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




