খুব আনন্দের একটা অনুভূতি জানাতে চাচ্ছি। কিন্তু কিভাবে আসলে বলা শুরু করব??? অনেক বার লেখা শুরু করে শুরুটাকে ঠিক ভাল মনে হয় নাই। বার বার কাটাকাটি করতে হচ্ছে!!!
যখন আমাকে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করানো হয়, তখনকার আবেগ তো আর খুব বেশি ছিল না। শুধু এই্ টুকুই জানতাম একটি মেয়ের পাশে বসলে আমার খুব ভাল লাগে। তার সাথে গল্প করতে তো মজা তো লাগতই, আরও কেমন কেমন জানি লাগত।:
ষষ্ঠ শ্রেণীতে আমার সেই ভাল লাগার মানুষটাও চলে আসল আমার নতুন স্কুলে। আমাদের স্কুল ছিল ২ শিফটের। সকালে মেয়েরা, দুপুর থেকে বিকালে ছেলেরা। মেয়েরা স্কুল ছুটি হয়ার পর আমাদের সামনে দিয়ে চলে যেত। কখনো কখনো হয়ত তাকে দেখতাম, আর একটু বাঁকা হয়ে দেখতাম কোনোভাবে ওর মুখের বাঁকা ২ টা দাত দেখা যায় কিনা !!! ও আচ্ছা আসল কথাই তো বলা হয় নাই, ওকে আমার ভাল লাগার অন্যতম কারনের একটি ছিল তার সেই বাঁকা দাঁত।
এইভাবে স্কুল জীবন শেষ হল। সে তার মত কোথায় জানি হারিয়ে গেল। কখনই আর তার দেখা পাই নাই। হয়ত তাকেই ভুলে যেতাম, কিন্তু কেন জানি ভুলতে পারি নাই। আমার ছোটোবেলার এক বন্ধুর সাথে আবার ওর খুব খাতির ছিল। ওর সাথেই ওর ভাল যোগাযোগ ছিল। ওই পোলারে আমি হিংসা করতাম, কারন ওই মেয়ে সারা দিন এ ওই পোলার সাথে থাকত। তবে ওই ছেলে আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল।এক সময় অরা এই এলাকা ছেড়ে চলে গেল।। আমাদের কাছে আর কোনো খুঁজ ই থাকল না !!! আরেকটা কথা প্রাইমারী স্কুল ছেড়ে আসার পর কিন্তু ওই মেয়ের সাথে আমার কন কথাই হয় নাই !!! আমার ওই বন্ধুর কাছে ও ওই মেয়ের আর কোনো খুঁজ থাকল না !!!
এই ভাবে অনেকটা সময় কেটে গেল। কখনো কখনো ওই পোলারে আমি ওর কথা জিজ্ঞেস করি। কিন্তু কোনও উত্তর পাই না। কারন আমরা কেউই তার কোনও খুঁজ জানতাম না। কিন্তু কেমন করে জানি তার খুঁজ পেয়ে গেলাম।ঈদের পরের দিন ওই মেয়ে তার পরিবারের সাথে আমার বন্ধুর বাসায় বেড়াতে আসল। আমার বন্ধুর সাথে তো ওর আগে থেকেই অনেক খাতির ছিল। আমার বন্ধু ওর ফেসবুক আইডি রাখল। তারপর আমাকে এসে দিল। আমিতো সাথে সাথেই রিকোয়েস্ট পাঠাইয়া দিলাম , আর সাথে নিজের পরিচয় দিয়ে একটি মেসেজ দিলাম। ওই মেয়ে আমার মেসেজ এর উত্তর দিল এবং আমার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করল। তারপর কথা হল। অনেক কথাই হল। কিছুক্ষন পর তার নাম্বার দিল।প্রতিদিন যোগাযোগ করার জন্য বলা হল। আমার মনটা যেন খুশিতে ভরে উঠল।
কিন্তু আমার সেই খুশি বেশিক্ষন স্থায়ী হল না। মেয়েটা কিছুক্ষন পরেই আমাকে জানাল তার বিয়ে হয়ে গেছে !!! তার স্বামীর কথা বলল। আমার বুকটা যেন চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কি আর বলব তোমায়??? এত দিন পরেও তোমাকে পেয়ে বলা হল না, আমার মনের কথা। বলতে পারলাম না, আমি তমার হাতটা ধরে ছির জীবন হাটতে চাই। যখন খুশি দেখে নিতে চাই তোমার বাঁকা ঠোঁটের হাসি।কিভাবে বলব??? আমার যে আর সেই অধিকারটুকু নেই !!! তুমি যে আজ অন্য কারো।
তবুও আমি অনেক খুশি। হয়ত তোমার হাত ধরতে পারব না। কিন্তু তাতে কি??? এখন তো তাও মাঝে মাঝে ফেসবুকে তোমার সাথে কথা বলতে পারব !!! কখনো হয়ত ফোনে তোমার সাথে কথা বলে শুনতে পারব তোমার একটু হাসি। তোমার বাঁকা দাঁত ২ টা হয়ত আমার দেখা হবে না। তাতে কি এসে যায়?? উপলব্ধি তো করতে পারব !!!! ১৩ বছর পর এইত আমার সব চেয়ে বড় পাওয়া।। এইটা তো কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আমি কাউকে কেড়ে নিতে দেব ও না !!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




