somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Breakthrough Infection: টিকা নিয়েও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত!!!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ভ্যাকসিন আপনাকে সুরক্ষা দিবে সিরিয়াসলি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হাত থেকে। কিন্তু
ভ্যাকসিন আসার আগে যত লোক করোনা ভাইরাস এ মারা যেত, বিশ্বব্যাপি/ধনী দেশগুলি সহ অনেক দেশে ৫০% এর বেশী লোকজন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও,মারা যাওয়ার হার কিন্তু সে অনুপাতে কমছে না...। আমি জোর দিচ্ছি অনুপাত শব্দটার উপর। এর কারন হল করোনা আক্রান্ত এর হার কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আসার পর থেকে বেড়ে চলছে। বেশী নাম্বারে আক্রান্ত হলে তার ১-২% তো মারা যাবেই। অবশ্য ভ্যাকসিন না থাকলে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা যে অনেক বেশী লোক মারা যেত, সেটা বুঝা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন ডেল্টা দ্বারা মারা যাওয়া থেকে রক্ষা করছে কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার হার কমাতে পারছে না...। বেশী আক্রান্ত মানে মৃত্যু এর সংখ্যা ও তেমন কমছে না। ভ্যাকসিন না থাকলে, এখন মৃত্যুর হার সামাল দেওয়া যেত না।

এর থেকে মুক্তি পেতে হলে সংক্রমন কমাতে হবে কিন্তু কেন ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও সংক্রমন কমছে না???? এর কারন হচ্ছে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ইনজেকসন দিয়ে যেটা আপনার ফুসফুস কে রক্ষা করবে কেননা যে এন্টিবডি তৈরী হয় সেটা শরীরে সার্কুলেট করে আপনার ইন্টারনাল অর্গান গুলিকে সুরক্ষা দিচ্ছে কিন্তু প্রবলেম হল যে করোনা ভাইরাস এর মেইন প্রবেশ দ্বার হল আপনার শ্বাসনালি। শ্বাসনালী তে Mucus নির্গত করার টিস্যু তেই ভাইরাস বসবাস করা আরম্ভ করে কিন্তু যেহেতু ইনজেকশান দ্বারা যে এন্টিবডি তৈরি হয় সেগুলি কে বলে IgG/IgM type, সেগুলি শ্বাসনালিতে যায় না, তাই ভাইরাস ফুসফুসে আক্রান্ত করতে পারে না কিন্তু শ্বাসনালীতে বহাল তবিয়তে বংশবিস্তার করতে থাকে- ফলাফল asymptomatic infection. যেহেতু ভ্যাকসিন নেওয়া লোকজন এর কোন সিম্পটম নাই কিন্তু তার শ্বাসনালীতে থাকা ভাইরাস খুব সহজেই অন্যদের কে ও আক্রান্ত করছে কেননা ভাইরাস এ আক্রান্ত ব্যাক্তি জানেই না যে সে আক্রান্ত।

শ্বাসনালিতে যে এন্টিবডি থাকে তা হল IgA type. এখন এই IgA type এন্টিবডি শ্বাসনালীতে বানাতে হলে আপনার ভ্যাকসিন টা দিতে হবে নাকে স্প্রে করে..। ইনজেকশন দিয়ে না। আপনি দেখবেন যে পলিও টিকা খাওয়ানো হয়...পলিও যদি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হত তাহলে খুব একটা ইফেক্টিভ হত না। কেননা পলিও ভাইরাস পানি বাহিত হয়ে পেটের ভিতর Mucus টিস্যু (mucosa) দিয়ে নার্ভাস সিস্টেমে পৌছে গিয়ে প্যারালাইসিস করে। তাই টিকা খাওয়ানো হলে ই ভ্যাকসিন সরাসরি পেটের ভিতর এর Mucus টিস্যু (mucosa) পৌছে যায় আর সরাসরি ভাইরাস কে নির্মুল করে।

বাচ্চা/টিন এজদের নাকের অনেক গভীরে (nasopharynx) Bronchus-associated lymphoid tissue থাকে যেটা এডাল্টদের মাঝে নাই, এই lymphoid tissue গুলি থেকে ভাইরাস এ আক্রান্ত হলে ইমিউন রেসপন্স এর দ্বারা প্রচুর পরিমানে IgA type এন্টিবডি তৈরী করতে পারে (mucosal immune system) এবং সেই জন্যই এখন মনে করা হচ্ছে যে বাচ্চা/টিনএজ রা হয়ত এই কারনেই বয়স্কদের থেকে বেশী সুরক্ষিত করোনা ভাইরাস থেকে। এ ব্যাপারে সিএনএন এর এই News Report টা দেখতে পারেন।

উপর এর ছবিতে ই দেখুন স্প্রে ভ্যাকসিন কিভাবে ভাইরাস এর বংশবৃদ্ধি কমাতে পারে নাকের মাঝে কেননা নাকে স্প্রে করলে, নাকের Mucus নির্গত করার টিস্যু থেকে প্রচুরপরিমানে এন্টিবডি তৈরী হবে (IgA type) যেটা ভাইরাস কে নির্মুল করতে সাহায্য করে।

কিন্তু ইনজেকশন দিয়ে ভ্যাকসিন নিলেও নাকের মাঝে ভাইরাস পরিমান অনেক বেশী থাকবে কেননা ইনজেকশন দ্বারা তৈরী IgG/IgM type এন্টিবডি নাকের মাঝে যায় না বললেও চলে।

জনমত গড়ে না উঠলে স্প্রে ভ্যাকসিন তৈরী হবে না....

আমার মতে সবাই কে বুস্টার শট দেওয়া হোক নাকে স্প্রে ভ্যাকসিন দিয়ে, তাহলে ইনজেকশন টিকা রক্ষা করবে ফুসফুস আর স্প্রে টিকা বন্ধ করবে সিম্পটম ছাড়া ভাইরাস এর বংশবৃদ্ধি।


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
৩১টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×