বাংলাদেশে কিছু লোকজন আর ভারতে অনেকেই দেখি মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়াতে একটু নাখোশ। তারউপর পর পর ৩-৪ জন মেয়ে জন্ম নিলেই সব দোষ স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয়। ভারতে মেয়ে ভ্রুন ধ্বংস করা এখন প্রায় শিল্প পর্যায়ে চলে গেছে... আশপাশের লোকজন, আত্মীয় স্বজন স্বামীকে আবার বিবাহ করার তাগিদ দেয় ছেলে সন্তান পাওয়ার আশায়। কিন্তু এটা কেন কেউ বলে না যে মেয়ে বা ছেলে হওয়ার জন্য মায়ের তেমন কোন রোল নাই লিংগ নির্ধারনে... ডিম্বানু এবং শুক্রানুর মিলন এর পর যে কোষ হয় তাতে বাচ্চার সেক্স নির্ধারন তো হয় সেখানে কি দুটা এক্স ক্রমোজম (একটা বাবা থেকে একটা মায়ের থেকে) আছে, তাহলে মেয়ে হবে; নাকি সেখানে একটা এক্স ক্রমোজম (অবশ্যই মায়ের থেকে) আর একটা ওয়াই ক্রমোজম (অবশ্যই বাবার থেকে) এসেছে, তাহলেই ছেলে হবে। মায়ের থেকে ছেলে বা মেয়ে যাই হোক একই রকমের ক্রমোজম (এক্স ক্রমোজম) আসতেছে। কিন্তু শুক্রানুর মাঝে কি পুরুষের এক্স ক্রমোজম আছে (থাকলেই মেয়ে) নাকি ওয়াই ক্রমোজম (থাকলেই ছেলে) আছে সেটাই নির্ধারন করে ছেলে হবে কিনা। এখন পুরুষ এর যৌবন কালে কোন 'অনাচারে' বা রোগে যদি বেশী বেশী এক্স ক্রমোজম ওয়ালা শুক্রানু উৎপাদন হয়, তাহলে তো মেয়েই জন্ম গ্রহন করবে.। সেখানে তো মেয়ে মানুষের কোন রোল নাই...পুরুষের শুক্রানুই তো নির্ধারন করছে ছেলে হবে না মেয়ে হবে কেননা মেয়ে মানুষ যে এক্স ক্রমোজম ডোনেট করে সেটা ছেলে/মেয়ে তে একই সুতারাং তার কোন লিংগ নির্ধারন করার রোল নাই। পুরূষ এর শুক্রানু ই ঠিক করে মেয়ে হবে না ছেলে হবে।
সুতারাং মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া একটা কাপুরূষতার ই নামান্তার..কথায় বলে ভাত দেওয়ার মুরোদ নাই কিন্তু কিল.....।