somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি হতাশাব্যঞ্জক পোষ্ট

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রীন রোডের এদিকটায় এসেছিলাম আজ থেকে পাচ বছর আগে। তখন বাসা থেকে কলেজে আসতাম যেতাম বিআরটিসির দোতলা বাসে করে অথবা মুড়ির টিন বাস গুলোতে। ভাঙ্গাচুরা বাসগুলোতে চড়লেই মনে হতো এই বুঝি সব খসে পড়লো।আজ আবার এতদিন পর সেই একই বাস আমার বাড়ি ফেরার ভরসা। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে একদিক আর জীর্ন খোলসটাকে যৌবনদানের জন্য সাটানো রয়েছে তারকা জগতের বেশ কিছু নারী মডেলের বিজ্ঞাপন।বাস চলতে শুরু করলে মনে হয় ইঞ্জিনটার প্রাণ আছে, জীবনের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে সে চিৎকার করছে একটু বিশ্রামের জন্য ঠিক যেন আমার মত।
তবুও এটাই আজ আমার একমাএ ভরসা।বিকেলে সূর্যসেন হলে এসেছিলাম একটা পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা করতে।দেখা শেষে ফিরতি সময় হল ঝামেলা, কেন জানি পকেটের শেষ কয়টা টাকা ফুরতে ইচ্ছা করছে না।মাঝে মাঝে কেন জানি কিছুই করতে ইচ্ছে করে না। ফুলার রোড় দিয়ে হাটতে হাটতে ছয় টাকা দিয়ে ২টা সিগারেট কিনতে দেখি বাদবাকি টাকায় বাস করে বাসায় যাওয়া যাবে।ঘন্টাখানের অপেক্ষার পর যখন দেহটাকে টেনে তুললাম দোতালার শেষ সিটটার জানালার ধারে। জানালা দিয়ে মুখ বের করে নিচে তাকিয়ে এখানে থেকে দুরত্বের হিসেব করছিলাম। ঝাকুনি দিয়ে বাস ছাড়তেই একরাস এলোমেলো বাতাসে স্বংবিত ফিরে পেলাম।
বছর খানেক আগে এমন কোন দিনেই নিজেকে ফিরে পেয়েছিলাম।আজ বাতাস সাক্ষী ছিল আর সেদিন ছিল তার এলোমেলো চুল।ওর নামটাই জিজ্ঞাসা করে হয়নি!কোনদিন হয়ত সুন্দরী কোন রমনী আমার পাশের সিটটাতে বসবে আমি স্বপ্ন দেখতাম।মিষ্টি একটা কন্ঠস্বর আর আলতো ধাক্কায় মেটালিকার মেমরী রিমেইনস থেকে বেরিয়ে এসে চোখ মেলতেই দেখি।একটা মেয়ে, হাসিহাসি মুখে তাকিয়ে আছে।মনে হয় আমার বসার ধরন দেখে হাসছে।বেশ আরামদায়ক ভঙ্গিতে পুরো সিটটা জুরে বসে ছিলাম।হাসলে দু-গালে ভাঁজ পড়ে মেয়েটার।এতে আরও সুন্দর দেখায়। আসলে এ টাইপের মেয়েরা দেখতে খুব সুশ্রী হয়।আমি কি জানালার ধারের সিটটাতে বসতে পারি?আমি সরে গিয়ে সিটটা ছেড়ে দিলাম। দুধসাদা শুভ্র রঙের সালোযার পড়া মেয়েটি পাশে গিয়ে বসল। মেয়েদের গা থেকে একটা গন্ধ পাওয়া যায় আমি সেদিন বুঝেছিলাম।হয়ত এমন কাউকে নি:স্বার্থভাবে ভালবাসা যায়। হঠাত এলোমেলো বাতাসে ওর খোলা চুলগুলো আচরে পড়তে লাগল আমার মুখে। লজ্জিত মুখে ও যখন আমার মুখ থেকে চুলগুলো সরাচ্ছিল।আমি মনেপ্রাণে প্রার্থনা করছি সময়টা থেমে যাক না!আরও কিছুক্ষনের জন্য নিজেকে হারাই।
কিন্তু না, যাব বলে থেমে থাকতে নেই তাই মেয়েটি হঠাত করে উঠে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে চলে গেল। কিছু একটা বলতে গিয়েও আমি বলতে পারিনি সেদিন।মেয়েটি ওর যৌবৈনের কিছুটা সুরভী দিয়ে গিয়েছিল,তার গন্ধ আমি আজও পাই।
আমি আজ অবদি কেন একা।আমি আজও এর কোন উওর খুজে পাইনি তবে কি সব হাল ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যাবার প্লানটাই কর্যকর করব।হিসেবে মেলাতে পারিনা।কেন থাকতে ইচ্ছে হবে?কি আছে এইদেশে?প্রতিহিংসার রাজনীতি।যেখানে আমাদের নেতারা দেশের বদলে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত।যেদেশে টাকার বিনিময়ে ভালবাসা বিক্রি হয়।সততা মানে যেথানে অবক্ষয়।ভালবাসা যেখানে উড়াল পক্ষী।হতাশা আর একাকিত্ব চেপে ধরেছে আমাকে।শুধুই হতাশ স্বপ্ন দেখতে কি আমি দেশে থাকব?আমি জানি কথাগুলো প্রচন্ড রকমের হতাশার।এইসব হতাশার কথা বলা একদম উচিত না।কোন লাভ নেই তবুও আমি চিৎকার করে যাই একাকি আমার বন্ধ রুমে বসে অথবা চিন্তার পাখা বিস্তৃত করি করি কোন জানালা ঘেষে বসে আর বারবার লজ্জিত হতে থাকি এমন একটা লেখা লিখে ফেলার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×