সংখ্যাতত্বের বিচারে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় হল ইসলাম ধর্ম, তাহলে তো আপনার মত “শান্তি”প্রিয় ধর্মকারী এই মুহূর্তে এই বিশ্বে আর একটিও নেই। স্বীকার করুন আর নাই করুন এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ঘটে চলা ধর্মজনিত হত্যার বেশির ভাগই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা সংঘটিত এবং বেশিটাই পরিকল্পিত হত্যালীলা। মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, ছোটবেলায় পড়েছিলাম ইসলাম শব্দের অর্থ “শান্তি”, সেটা কি সত্যিই পড়েছিলাম? যদি না জানেন তাহলে উইকি থেকে জেনে নিতে পারেন। নাকি যাঁরা এই নাম দিয়েছিলেন তাঁরা শ্লেষার্থে এই নাম রেখেছিলেন। কেননা ইতিহাস ঘাঁটলেও দেখা যায় শুরুর থেকেই এই ধর্মের সাথে জড়িত নানা হত্যাকান্ড। এই অশান্তির ধর্ম শুধু অশান্তিতেই সীমায়িত নয়, নারীদের বোরখা পরিয়ে রাখতে বাধ্য করা, শিক্ষার থেকে সকলকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা এবং সংঘবদ্ধ ভাবে তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আটকে রাখার জন্যে মধ্যযুগীয় বর্বরচিত পন্থা অবলম্বন করা কোন কিছুতেই পিছু পা নয়। দেড় হাজার বছরের পুরনো একটা বইকে সর্বস্ব মেনে আজকের আধুনিক বিজ্ঞানমনস্কতাকে অস্ত্র নিয়ে মোকাবিলা করে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা এখনও ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা করে যাচ্ছে। আর সব থেকে আশ্চর্য লাগে, তথাকথিত মডারেট ইসলামীরা এর বিরুদ্ধে চুপ থাকে। আর তাই, যুগ যুগ ধরে নিজেদের ধর্মকে সংখ্যাতত্বের বিচারে (দশ বারোটা করে বাচ্চা পয়দা করে) বিশ্বে এক নম্বর করার চেষ্টা করে গেলেও ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলতে পারব না। আপনি বরং চাপাতি নিয়ে তৈরি হন আমাকে হত্যা করার, এর বেশি কিছু আপনার ধর্ম করতে পারেও নি, পারবেও না।
গত ৮ মাসে যখন ৪ জন ব্লগার কে হত্যা করা হল কই ছিল তখন আপনার শান্তিপ্রিয় ইসলাম ধর্ম। সবার শেষে যে শুক্রবারে যখন নিলয় ভাই রক্তাক্ত হয়ে পৃথিবী ছাড়লো, তার কাছাকাছি সময়ে সৌদি আরবে জুম্মার নামাজ আদায় করতে গিয়ে নামাজিরা বোমার আঘাতে মসজিদের ভেতরেই ছিন্নভিন্ন হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা তাদের রক্ষা করলেন না? তাদের কী অপরাধ ছিলো? নাকি সৃষ্টিকর্তাও অসহায় বোমাবাজদের কাছে? প্রকৃত ধর্ম ব্যাখ্যাকারীদের এই ব্যাপারে কোন ব্যখা যদি থাকে তাহলে শুনতে চাই, নাস্তিকদের শাস্তি তাহারা বুঝিয়া পাইলো কিন্তু নামাজিরা কিসের শাস্তি তবে পাইলো! আমরা অনলাইন এক্টিভিস্টরা প্রত্যেকটি মৃত্যুর নিন্দা করি, আস্তিক–নাস্তিক ভেদ করে নয়, কাউকে এ ধরনের শাস্তি দেয়ার অধিকার সভ্য পৃথিবীতে কারো নেই।
এখন মনে হচ্ছে ইসলাম কি আসলেই শান্তির ধর্ম? এই ধর্ম আগেও কোনদিন শান্তি দিতে পারে নাই, আর কোনদিন পারবে বলে মনেও হয় না। এরা নিজেরাই তো নিজেদের মধ্যে মারামারি, খুনাখুনি করে থাকে।
আমরা এদের কাছ থেকে কি আশা করতে পারি?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০৯