রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশকসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় অভিজিত রায়ের বইয়ের আরেক প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় আজিজ সুপার মার্কেটে হামলায় আহত জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার দীপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন বলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।
আমরা বিচার চাই না। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। আমরা মত প্রকাশ করতে চাই। এর আগে লেখক, এইবার প্রকাশক এরপরে কি পাঠকদের হত্যা করা হবে। তাদের বিচার চাই না। তারা ভালো থাকুক। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জানি, বিচার চেয়ে কোনো প্রতিকার হবে না। এখানে যে ধর্ম নিয়ে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া, একপক্ষ ধর্মের পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, আরেক পক্ষ ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এটা করে জাতিকে চরম বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে গেছেন। জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলন, মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন যত হবে, তত আরও ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম বা ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে যদি রাজনীতি করা যায়, তবেই মঙ্গল হবে।’উগ্রবাদীরা একর পর এক ব্লগারকে হত্যা করেও ব্লগারদের দমাতে পারেনি। ব্লগারদের লেখা ছাপানো বন্ধ করতে এখন তাই হামলার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন প্রকাশকেরা। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাজিব হায়দার মিরপুরে নিজ বাড়িতে খুন হন। কিন্তু সেই খুন নিয়ে নানা আলোচনা হলেও এ কোনো বিচার হয়নি। এই ঘটনার দুই বছর পর চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খুন হন ব্লগার অভিজিৎ রায়। এর পরের মাসে খুন হন আরেকজন। ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, ১২ মে অনন্ত বিজয় দাস এবং ৭ আগস্ট নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় খুন হন। হামলার শিকার হন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর ও হামলার বিচার কবে পাওয়া যাবে তা কেউই বলতে পারছে না।
শেষ একটা কথা বলতে হবে
লেখক হত্যাঃ Done
প্রকাশক হত্যাঃ Done
পাঠক হত্যাঃ loading please wait
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭