অবেলায় কোন এক প্রখর দুপুরে-
রূপকথার কিশোরী দেখেছিল
আকাশে এক টুকরো কালো মেঘ,
সেবার-
অবেলার মেঘ বাতাসের তোড়ে হারিয়েছিল
দক্ষিণের বুড়িগঙ্গায়।
গানে গানে বঙ্গাব্দের আহবানে
বাসন্তি রং দিয়ে সাজানো ঢাকার পথে
রূপসী তরুনী সত্বার সাথে দেখা হয়েছিল আবার,
কালো মেঘ - প্রবল বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছিল সেবার,
উলোট পালট ঝড়ে পলাশ বন মাতাল হয়েছিল,
লাল রংয়ে।
যুবতীর জলছবির মত মনে
সে ঝড়ের স্মৃতি গেঁথেছিল, চিরতরে।
ঐ দেখো-
আকাশে এখন আর মেঘ নেই,
মেঘ গড়িয়ে জল, নদী মিলিয়েছে মোহনায়,
চঞ্চলা যুবতী এখন নীড়া।
ওর ঝকঝকে মনের আকাশে ,
নেই একটু ও কালো মেঘের ঘনঘটা।
সাদা ভ্যানিলা ফুলমালা,
হেঁসে খোঁজে, শুণ্য খোলা আকাশে-
সোনালি বিকেলের আলো।
নীড়ার মনের গহীনে কি যেন ডেকে যায়- এ বিকেলের শূণ্যতা।
বন্ধু,
একটুও কি মনে পরে
সেই প্রাচীন দুপুরের কথা,
যেখানে একটুকরো কালো মেঘ ছিল
যেখানে আবদ্ধ হয়েছিলে,
প্রেমের অদৃশ্য বন্ধনে ।
ছবি ক্রেডিট: একজন নতুন প্রতিভাবান আমেরিকান ফটোগ্রাফার। তিনি আমাকে ছবিটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
আজকাল বৃষ্টি হচ্ছে কম। কেবল রোদ ও শুস্ক আবহাওয়া। পানি , জলের প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবে না। অথচ বৃস্টির দেখা নেই। বিধাতা যদি কিছু বৃস্টি দিতেন, তাহলে এই এলাকাতে ক্ষরা কমতো। আমাদের প্রাণ জুড়াতো,ও প্রয়োজন মিটতো। ৪ স্কেলে ক্ষরার মাত্রা এই এলাকাতে ৩। বেশ খারাপ অবস্থা। এরকম চলতে থাকলে , খাবার পানি পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ আছে। আমাদের পাশের শহরে নতুন বাড়ি বানানো আপাতত বন্ধ করা আছে, কারন পর্যাপ্ত সরবরাহের পানি নেই।
মাঝে মাঝে নদীতে সাঁতার দিতে ইচ্ছে করে। মনে হয় যদি একটি বাদল দিনে সারাদিন ভিজে, সন্ধ্যাবেলা মোটা কম্বল মুড়ে শুয়ে ঘুম দিতে পারতাম। সে উপায় নেই।
তাই আপাতত কোন এক আজানা কিশোরীর কবিতা দিয়েই শেষ করা যাক।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:২৯