তুমি থাকলে কেমন হত বলতো?
তুমি থাকলে আজো বুঝি পূর্নিমাই হত
সফেদ আলোয় ভেসে যেত গলি, রাস্তা সব
দখিনের বারান্দায় বসে চা খেতাম দুজনে
তর্ক হত ভালবাসা নিয়ে-শুরুটা কোথায়
আমি বলতাম ফরাসীতে আর তুমি পূবে
বলতাম শোন মেয়ে-ভালবাসা থাকে
বেগুনী রঙ এর ফুলে, এক বিন্দু শিশির
অথবা রক্তে আগুন ঝরা মাদকতায়;
তুমি বলতে না-সে থাকে জনপদে,নগরে
যেখানে মানুষ মানুষ্কে টানে আত্মার সন্ধানে
কত কি যে কথা হত আমাদের..
রাত বাড়লে চায়ের কাপে ধোয়া ঘনীভুত হয়
তোমার দৃষ্টি তখন মন্দির বাড়ির ওপারে,
মাথাভাঙ্গার তীরে ঝলমলে বালিয়াড়িতে
আমিও চেয়ে থাকি- শুধুই তোমার পানে
মুচকি হেসে বল,কি দেখ অমন করে?
ওদিখে দেখ কি অদ্ভুত জোছনা আজ।
আমি সম্বিত ফিরে বলি, তাই তো-
আজ হাসনুহেনা ফুটেছে বুঝি রাতে...
হঠা্ৎ অদুরে ট্রেনের হুইসেল,’ঢাকার গাড়ি”
জেগে ওঠে ঘুমন্ত স্টেশন, রাত সাড়ে তিনটা
:কাল অফিস যাবেনা বুঝি?
ঘড়ি দেখে বলি, কখন যে এত রাত হল!
১৫ বছর পর..
তুমি নেই, তবুও তেমনি আছে যা ছিল আগে
আজো চাঁদের কান্নায় জেগে ওঠে নদী
নর্তকীর ঘুঙ্গুর পায়ে ছুটে চলে সুদুরে,
ঢেউয়ের মাথায় খেলা করে কিশোর স্বপ্ন
শেষ রাতের হুইসেল আজো ডাকে আমায়
ছাতিয়ানের মাতাল গন্ধে উদাস হয় মন।
তুমি না থাকায় সুবিধা হয়েছে বেশ-
এখন আমি চোখ বুজলেই জোছনা দেখি
অন্ধকারে তোমার গায়ের গন্ধ পাই
অশরীরী ছায়াদের খুজি ঘরময়,
ঠিক যেন মুঠো ভর্তি চাদের আলো
নাহঃ বেশ সুখেই আছি আজকাল
তুমি থাকলে অযথাই একটা প্রজাপতি কষ্ট পেত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





