দু চোখে তোমার এখনো আঁধার –
সমুদ্রের গভীর গাঢ় নীল জলের মত কালো
তোমার মাথার ওপর শোকার্ত বৃক্ষের ছায়া
ঝরা পাতার রঙের মতো বিবর্ন আজ দিন,
চারপাশের ঘন সবুজে অরন্যের কোলাহল
বৃক্ষের কান্না আজ কানে পৌছে না আর
নিশিদিন বাতাসের হাহাকার-- হু হু শব্দে
ঢেঊ গুলো আছড়ে পড়ে তীর ঘেঁষে
তবুও তোমার চোখ মেলে না,
বন্ধ মনের দ্বার –
তবে কি আজ রক্তের কোষে ঘু্ণ ধরেছে
পরাজিত লাঞ্চিত, ভীরু কাপুরুষের মত তুমি অসাড়,
চেয়ে দেখ ঐ শকুনেরা বসে থাকে প্রবল প্রতাপে
সমাজপতি, অধিপতি আরো কত কি -
কালো হাতে চেপে সমাজের টুটি শাসায় তোমায়,
তবুও তোমার মাথায় মনে শুধুই মাতাল অন্ধকার
মিষ্টি আলোয় ফাগুনকে ডাকো তুমি অনির্বার
বৃষ্টির মাঝে নির্বাসিত প্রেম খুজে মরো,
মাটির সোদা গন্ধে ভুলতে চাও দৃপ্ত শপথ
চোখ তুলে তাকাও –
দেখে নাও ক্ষয়িঞ্চু সময়ে একা নও তুমি
মাথার নিঊরনে ছড়িয়ে দাও যত হিংসা
সূর্যের দিকে তাকিয়ে দিব্যি করে বলো
‘ আমার আলো নয় নিষ্ঠুরতা চাই-
অস্থি মজ্জা হাড়ে চাই শুধুই ক্রোধ ‘
চেনা অস্ত্রের গায়ে চেপে বসে পাচটি আঙ্গুল
পাথরে খোদাই করা মুখ, চোখ, চোয়াল
অপলক দৃষ্টিতে দূরে সবুজ বাংলাদেশ
লোমকুপ বেয়ে গড়িয়ে পরে রক্ত
শত্রুর হিংস্র সাদা দাত চকচক করে ওঠে
পায়ের আঙ্গুলের ফাকে জমে থাকা লাঞ্চনা
চোখ বেয়ে স্মৃতিরা নামে –
মায়ের স্মৃতি, ভাই বোন বন্ধুর স্মৃতি
- বিভৎস নরহত্যার স্মৃতির
- গলিত লাশের গন্ধের স্মৃতি
দ্বিধাহীন জমে থাকে হৃৎপিন্ডের মাঝে ।
আর কত সহ্য করবে তুমি -
মাথা নিচু করে হেঁটে যাবে ফুটপাথ দিয়ে
গা বাচিয়ে মানুষের ভিড়ে আর কতদিন -
চোখ বুঝে থাকবে শত্রুদের হিংস্রতায়।
বাতাসে দেখো আজ শুধুই দ্রোহের গান
তোমার দেশ আজতোমায় ডাকছে,
তোমার মা আজ তোমায় ডাকছে
চলে এসো বন্ধু এই মিছিলের ভীড়ে
চিৎকার করে বলো-
‘আমি প্রতিশোধ চাই, প্রতিশোধ
রক্তের ঋন, রক্তে মেটাতে চাই’
জেগে ওঠো হে বাঙ্গালী-
তুমি কি ভুলে গেছ বাহান্ন -
তুমি কি ভুলে গেছ একাত্তর –
নতুন যুদ্ধের দামামা শুনেছ ঐ
এসো, জড়ো হও ‘প্রজন্ম চত্তর’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





