somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রামু, টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির ও বাড়ি ঘরে হামলায় রাজনীতি করার সুযোগ নেই

০১ লা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটা অত্যন্ত দু:খের বিষয় যে, ইসলামকে অবমাননা করার অভিযোগ এনে রামু, টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির পোড়ানো এবং বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়েছে।
ইসলাম কখনো এটা সমর্থন করে না। ইসলাম জোরালো প্রতিবাদ পর্যন্ত সমর্থন করে। তার মানে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুরিয়ে দেয়া কিংবা কোন ধর্মীয় মন্দির পোড়ানোর কথা ইসলামে চিন্তাই করা যায় না।
এবং বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশে যে সমস্তৃ ইসলামিক দলগুলো ইসলামের কথা বলছে তাদের দ্বারা কখনই বাংলাদেশের কোথাও কোন ধর্মীয় হামলা পরিচালিত হয়নি।
যদি হয়ে থাকে তাহলে সন তারিখ উল্লেখ করে প্রমাণ পেশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এখান থেকে আমি শিক্ষা নেব।
বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহল কিংবা ইসলাম সম্পর্কে যাদের নূন্যতম জ্ঞান নেই তারাই এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারে। কিন্তু এই হামলা নিয়ে বাংলাদেশে এখন চলছে রাজনীতি।
সরকারী দল বলছে, ইসলামী মৌলবাদী ও বিরোধী দল একাজ করেছে।
আর বিরোধী দল বলছে সরকারী দল এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
তাহলে ঘটনাটা ঘটালো কে?
তাহলে কি আমরা বলব বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সবাই এই হামলায় জড়িত ছিলো?
বৃহত দুই দলের কথায় কিন্তু তারই প্রমাণ পাওয়া যায়।
তার মানে এই ঘটনা নিয়ে চলছে ভোটের রাজনীতি।
যে দল এঘটনা তার অনুকুলে নিতে পারবে সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়াটা তার জন্য সহজ হবে।
ছি. রাজনীতি!
যেখানে এই ঘটনার তাঃক্ষণিক তদন্ত করে দোষীদের খুঝে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তার বিপরীতে এটা নিয়ে হচ্ছে বিশ্রি রাজনীতি।
তবে আমি বলব এক্ষেত্রে, সরকার দোষ এড়াতে পারে না। কারণ, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে ঐ ভাবেই তৈরি রাখা উচিত যে কখন দেশের কোথায় কি ঘটে যাচ্ছে তার খবর যথাসময়ে কালেক্ট করা। যখন এই ধরনের একটি ঘটনা ফেসবুকে প্রকাশিত হল, তখন সরকারের বুঝা উচিত ছিল তা নিয়ে কিছু একটা ঘটতে পারে। তাই সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীকে সেভাবেই সংশ্লিষ এলাকায় প্রস্তৃত রাখা দরকার ছিল।
সবশেষে বলতে বলতে চাই, সরকারের উচিত স্থানীয়ভাবে সকল দলের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার আসল কারণ ও ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা।
আর অনতিবিলম্বে হীনরাজনীতি বন্ধ করা ।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×