এটা অত্যন্ত দু:খের বিষয় যে, ইসলামকে অবমাননা করার অভিযোগ এনে রামু, টেকনাফসহ বিভিন্ন এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির পোড়ানো এবং বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়েছে।
ইসলাম কখনো এটা সমর্থন করে না। ইসলাম জোরালো প্রতিবাদ পর্যন্ত সমর্থন করে। তার মানে বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে পুরিয়ে দেয়া কিংবা কোন ধর্মীয় মন্দির পোড়ানোর কথা ইসলামে চিন্তাই করা যায় না।
এবং বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, বাংলাদেশে যে সমস্তৃ ইসলামিক দলগুলো ইসলামের কথা বলছে তাদের দ্বারা কখনই বাংলাদেশের কোথাও কোন ধর্মীয় হামলা পরিচালিত হয়নি।
যদি হয়ে থাকে তাহলে সন তারিখ উল্লেখ করে প্রমাণ পেশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এখান থেকে আমি শিক্ষা নেব।
বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহল কিংবা ইসলাম সম্পর্কে যাদের নূন্যতম জ্ঞান নেই তারাই এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারে। কিন্তু এই হামলা নিয়ে বাংলাদেশে এখন চলছে রাজনীতি।
সরকারী দল বলছে, ইসলামী মৌলবাদী ও বিরোধী দল একাজ করেছে।
আর বিরোধী দল বলছে সরকারী দল এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে।
তাহলে ঘটনাটা ঘটালো কে?
তাহলে কি আমরা বলব বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ সবাই এই হামলায় জড়িত ছিলো?
বৃহত দুই দলের কথায় কিন্তু তারই প্রমাণ পাওয়া যায়।
তার মানে এই ঘটনা নিয়ে চলছে ভোটের রাজনীতি।
যে দল এঘটনা তার অনুকুলে নিতে পারবে সংখ্যালঘুদের ভোট পাওয়াটা তার জন্য সহজ হবে।
ছি. রাজনীতি!
যেখানে এই ঘটনার তাঃক্ষণিক তদন্ত করে দোষীদের খুঝে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে তার বিপরীতে এটা নিয়ে হচ্ছে বিশ্রি রাজনীতি।
তবে আমি বলব এক্ষেত্রে, সরকার দোষ এড়াতে পারে না। কারণ, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে ঐ ভাবেই তৈরি রাখা উচিত যে কখন দেশের কোথায় কি ঘটে যাচ্ছে তার খবর যথাসময়ে কালেক্ট করা। যখন এই ধরনের একটি ঘটনা ফেসবুকে প্রকাশিত হল, তখন সরকারের বুঝা উচিত ছিল তা নিয়ে কিছু একটা ঘটতে পারে। তাই সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীকে সেভাবেই সংশ্লিষ এলাকায় প্রস্তৃত রাখা দরকার ছিল।
সবশেষে বলতে বলতে চাই, সরকারের উচিত স্থানীয়ভাবে সকল দলের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার আসল কারণ ও ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা।
আর অনতিবিলম্বে হীনরাজনীতি বন্ধ করা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




