আমরা সবাই জানি যে কোন আন্দোলন বা রাজনৈতিক দল পরিচালনার জন্য প্রবীণদের পাশাপাশি, তারুণ্যের বা নবীনদের ভূমিকার বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম নির্বাহী ও পরবর্তী স্তরগুলোতে তারুণ্যের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়।
কিন্তু বিএনপিই একমাত্র দল যেখানে তাদের স্থায়ী কমিটিতে ষাটোর্ধরাই জায়গা করে নিয়েছে।
কিন্তু বাস্তবতা হল-
সময়ের প্রয়োজনে যখন কোন আন্দোলন সফলতা পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান তখন শুধু নিজেকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার কৌশলী কর্মসূচীর মাধ্যমে সেই আন্দোলনের সফলতা সম্ভব নয়। এটা বিশ্বের যে কোন আন্দোলনের জন্যই প্রয়োজ্য। বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে যারা আছেন তাদের এখন আর ঝুঁকি নেবার বয়স নেই। এই বয়সের লোকেরা নিজেকে বিপদের মুখে ফেলার চেয়ে নিরাপদে রাখতেই বেশি পছন্দ করে। আর শুধুমাত্র এই কারণেই বর্তমান পেক্ষাপটে বিএনপির আন্দোলন হালে পানি পাচ্ছে না।
শুধুমাত্র তরুণরাই যে কোন আন্দোলনে ঝুকি নিয়ে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে পারে। কারণ সেটা তাদের বয়সের দাবি। তাই বিএনপি যদি আন্দোলনে সফলতা পেতে চায় কিংবা বিএনপি নামক কোন রাজনৈতিক দলকে বাংলাদেশে টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে অবিলম্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে তারুণ্যকে জায়গা করে দিতে হবে। নতুবা সময়ের প্রয়োজনে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আন্দোলন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে বিএনপির রাজিতিক দেওলিয়াত্ব দিন দিন বেড়ে যাবে সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়।
পরিশেষে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের মত একিট শিক্তশালী দলের মুবাবিলায় শুধু নিজেকে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে বাংলাদেশে রাজনীতি করার দিন বুঝি শেষই হয়ে গেল।
সুতরাং রাজনীতি করতে হলে ঘুরে দাড়াতে হবে বিএনপিকে তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব নিয়ে। না হলে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখান করবে, এটা তাদের অধিকার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




