somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুফল কার ঘরে যাবে সেই চিন্তাটা না করে, আসেন আন্দোলনটাই করি।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ আল্লাহ কিংবা ভগবান এসে করবে না, করবে না অন্যকোন গ্রহ থেকে কেউ এসে। যা হওয়ার বা করার ঐ আওয়ামীলীগ বা বিএনপি'র মাধ্যমেই হবে বা করাতে হবে। আমরা আম জনতা, যেই সরকার বা বিরোধীদলে থাক তার উপর চাপ তৈরী করতে পারি বড়জোড়। কিন্তু কাজটা শেষ পর্যন্ত তারাই করবেন।
যারা শুধু বিরোধীতার স্বার্থে আওয়ামীলীগের বিরোধীতা করেন, তাদের কাছে ভীষন জানতে ইচ্ছে করে....আচ্ছা, আওয়ামীলীগ কিংবা বিএনপি কার উপর চাপ তৈরী করলে 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ' করার কাজটি সম্পর্ন হবে বলে আপনারা মনে করেন? আপনারা কি মনে করেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে, তাদের উপর চাপ তৈরী করলে তারা এই কাজটা করবেন বা করার কোন সম্ভাবনা আছে? নাই, কারন বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আসবে যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের দল জামাতকে সাথে নিয়েই। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার কাজটি তারা কখোনই করবেন না। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ, আওয়ামীলীগও কাজটি এতো সহজে করবেন না। তাদের দ্বারা কাজটি করানোর জন্যে প্রয়োজন হবে জনতার চাপ, যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এতো চাপের পরেও যদি তারা তালবাহানা করে, তারপরেও চাপ অব্যাহত রাখতে হবে এবং তাদের উপরই ভরসা রাখতে হবে। কেউ যদি রাজনীতির এই বাস্তবতা বোঝার পরেও সেই ভরসা রাখতে না চান, সারাদিন শুধু আওয়ামীলীগের গুষ্টি উদ্ধার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন....তাহলে আমাদের ধরেই নিতে হবে তারা বিএনপি-জামাতের উপর ভরসা করেন বলেই এমনটি করছেন বা বলছেন!
আরেকটি কথা, যারা শাহবাগ আন্দোলনের সুফল আওয়ামীলীগের ঘরে যাবে বলে আন্দোলনে যুক্ত থাকার পরেও নিজের মাথার চুল ছিড়ে ফেলতেছেন মনের দুঃখে....তাদেরকে বলবো, ভাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বড় দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যেকোন লড়াইয়ের সুফল আওয়ামীলীগের ঘরেই যাবে...এতে আপনার আমার কিছুই করার নাই। তাছাড়া সুফল আওয়ামীলীগকে না দিয়েই বা কি করবেন, বিএনপি-জামাতকে দিবেন? অবশ্যই না, তাহলে দুঃখ করে মাথার চুল ছেড়ার কি দরকার! দাবি আদায়ের জন্যে মাঠে নেমেছি, আসেন আন্দোলনটাই করি। সুফল কার ঘরে যাবে সেই চিন্তাটা নাই'বা করলাম।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×