কেউ যদি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিখতে চান, তাহলে ওস্তাদজি শুরুতেই যে রাগ দিয়ে তালিম দিতে শুরু করবেন, তা হলো_ ‘বিলাওয়াল’। কারণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বিলাওয়াল রাগটি অত্যন্ত মধুর, প্রাণবন্ত আর প্রেমময়ও বটে। গুরুজনরা বলে থাকেন, নামের তাছির নাকি সন্তানদের ওপর কিছুটা হলেও পড়ে। অর্থাৎ নাম দিয়ে কি যায় আসে বলা হলেও এর কিছু তো প্রভাব থেকেই যায়। যেমন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে বিলাওয়ালে ‘তালিম’ নিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি। আর এ খবর চাউর হয়ে যাওয়ার পর বেজায় পেরেশন আর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন হিনার স্বামী ফিরোজ গুলজার। দেশটির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এই দু’জনের প্রেমের বীণার ঝঙ্কার শুনেই হিনার ফোন কলের বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে দরখাস্ত ঠুকে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দপ্তরে। কিন্তু কল লিস্ট পেলেই কি দু’জনের হৃদয়ে ওঠা সেই ঝঙ্কার থামাতে পারবেন কি? ধারণা করা হচ্ছে সেটা পারবেন না তিনি। কারণ বিলাওয়াল রাগে যে প্রায় অন্ধ হয়ে গেছেন পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিন রব্বানি। জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নানাভাবে দু’জনকে বিরত রাখার চেষ্টা করলেও তারা নাকি তা মানছেন না। বিলাওয়াল তার বাবাকে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রয়োজনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেবেন তিনি। কিন্তু হিনা আর তার মাঝে হৃদয়-রাগের যে সুর মূচ্র্ছনা_ তাকে কিছুতেই থামাতে চাইছেন না তারা। উল্লেখ্য, প্রেম যে বয়সের কোনো বাধ সাধতে পারে না তার প্রমাণ দিয়েছেন বেনজির-জারদারি পুত্র বিলাওয়াল এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি। বয়সকে হার মানিয়ে সমপ্রতি তারা প্রেমে মশগুল। আর এতটাই মশগুল যে, দুই সন্তানের জননী এবং তার চেয়ে ১১ বছরের ছোট পাকিস্তানের বিলাওয়ালের সঙ্গে সংসার পাতার জন্য ঘর ভাঙারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯ নভেম্বর ১৯৭৭ সালের ১৯ নভেম্বর পাঞ্জাব প্রদেশে মুলতানে জন্ম নেয়া ৩৪ বছরের এই হিনা। ওদিকে হিনার ডাকে সাড়া দিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে বাবাকে হুমকিও দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির ছেলে ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ সালে জন্ম নেয়া ২৪ বছরের বিলাওয়াল ভুট্টো। তাদের প্রেমের খবর চাপাই ছিল এতদিন। কিন্তু যে আগুন জ্বলছে তাদের হৃদয়ে, তা কি আর ছাইপাশ দিয়ে ঢেকে রাখা যায়? জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবনে হিনা ও বিলাওয়ালকে একদিন অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। এরপরই প্রেমের ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যায়। ত পাকিস্তানের আলোচিত এই দুই রাজনীতিকের প্রেমের গুঞ্জনে সমালোচনার মরু ঝড় বয়ে যাচ্ছে দেশটিতে। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মাঝে মন দেয়া-নেয়া চলছে। মন দেয়া-নেয়ার পালা শেষ। এবার তারা ঘর বাঁধতে চান। তাও আবার সুদূর সুইজারল্যান্ডে। যেটা হিনা নিশ্চিত করেছেন এই কয়েকদিন আগে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কার্ডে। বিলাওয়ালের কাছে পাঠানো ওই কার্ডে হিনা লিখেছেন_ ‘তোমার-আমার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আর শিগগির আমরা এক হতে যাচ্ছি।’ তো এই প্রেম কি ফোন কলের লিস্ট হাতে নিয়ে থামাতে পারবেন ফিরোজ গুলজার? তথ্যসূত্র : জি-নিউজ।