বিরক্তি, আসে আর যায়, ত্যেলাকুচো পাতার মাথার মত, কাটো কুচি কুচি।
পাতকাঠি ভেঙে যায় , মটমট।
রেডিও তে সিগনাল লাগে না, কন্ঠস্বর ভেঙেচুরে কটকীর কাজ।
ফোটনেরা দ্রুতগামী, টিউবলাইট জুড়ে ষ্টার ফিস নকষায় নাচছে বিজলী রানী-এ-আ।
কিছুতেই ভালো লাগছে না।হাওয়া দিলে এই ভাবে উল্টে যাবে বইএর পাতা, আমি দেখব গড়ে উঠছে দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু।
না।না।ভালো লছে না।হিজিবিজি লেখা পাতাগুলোচুবিয়ে নেওয়া হল চুনগোলা টবে।ইতুর সরার উপর জটাজুট হল ছোলাগাছগুলি, যেন তারকেশ্বরের রাস্তা জুড়ে মুন্ডনের চুল।অলি গলি, তস্য গলি, পুড়ে যাওয়া বেগুনভাজার মত , পুড়ে যাওয়া, নৌকাগুলি পড়ে থাকে বেনারসে, গাঁদা গোলাপ দোপাটি পাপড়ি বেলপাতাগুলি।এক ঝলক সিদ্ধেশ্বরীও ভেসে উঠল।
ক্রমশ গ্লসের জল হয়ে পড়ছে সাদা।ট্যাবলেটগুলি গুলে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, নির্মা, ওয়াসি ংপাউডার নির্মা।
গ্যামাক্সিন যেন ছত্রাক হয়ে জেগে উঠেছে সারা দেশ জুড়ে, ক্লোরিন গন্ধে চমত্কারা,শূণ্য, ভারি শূণ্য মাথা।গলির মুখ আটকে দাঁড়িয়ে এক ষাঁড়, কেউ কেউ দার্শনিক হন, যেমন পিকাসো।
সারা মন্দির জুড়ে টাইলসের বদলে লাগানো হচ্ছে কি-বোর্ড। দেবীর শাড়িতে বর্ণচ্ছটা শোভন কচ্ছে কুলেখাড়াগুচ্চ। জগত্ জননী, জগত্অ-দ্ধাত্রী। লেডি ক্যানি, ংলেডি ডায়ানা সবই বটি নিয়ে বসে লাউ কাটে, সাদা খুলির ভিতর অল্প জলে ইকড়ি-মিকড়ি কই মাছের দল।ইনক্লাব জিন্দাবাদ।
এই বাথরুম জুড়ে বিছিয়ে রাখি নির্মা ও জল, ঝটাকসে পড়লাম। ছিটকে পড়া কই মাছ, খল খল খল, নালি নালি নালি,বেয়ে বেয়ে বেয়ে।
কফিতে কালো হয়ে আছে মগটা।যন্ত্রণা, ভালো লাগে না, ভালো লাগে না।
ওহ, মন্দিরে, কী বোর্ড জুড়ে, সুধুই সংখ্যা। ক্যালু-কীজ। ভক্তি রসে গদ, গদ, তুমি আমি হরিপদ। স্কোর্বোর্ডে দেখো,
100000000
100000
1000000
100
10000
100000
10000
1000
নানা
100000001
100001
1000001
10110001
100001
1001
কালো তে লাল, লেকা।ফটোশপে ফেলে রিভার্স করতেই সব তরমুজ হয়ে গেল।
পিচের রাস্তা বরাবর লাল বাসগুলো আসছে, সব স্কোয়ার রুট করে দিলাম,নাম্বার টেনের পুরানো প্যাকেটগুলো,দুধের ভেতর গুলে দেওয়া লাল ক্লোগ-আপ,তিড়ি- ং জিঁদাবাদ, জিঁদাবাদ।
দরজির দোকান জুড়ে পড়ে আছে ছোটছোট টুকরোএ র ংও রঙের ছিটে।
হাতের মুঠির ভেতর জ্বলে ওঠা টর্চলাইট।
ব্যাটারী ফুরানো গড়ির কাঁটা একই জায়গায় কেঁপে যাচ্ছে থরথর।
টের পাওয়া যায় চোখের ওপর শিরা কেঁপে উঠছে দপ-দপ-দপ,তেল ফুরানো হারিকেন যেন।
হলুদ হয়ে অসছে সাদা-কালো ছবিগুলি, যদি দেখো একটা একটা করে হলুদদানা ঢেকে দিচ্ছে, আহা প্রথম তুষরপাতের মত।
ভাঙ্গা গাড়ির গ্যারেজ।
র ংঢেকে ঢেকে যাচ্ছে মরচে সোনায়।
আলিবাবার অ্যাপ্রন জুড়ে ছিটে ছিটে রং।
নাহ, বৃষ্টিপাত ভালবাসা, কেবল বিস্কুটের গুঁড়ো, কেঁপে কেঁপে ওঠে রবীন্দ্রসেতু ও পসারী।
ইঁটের উপর জমে উথছে ভেলভেট-ভেলভেট শ্যাওলা।
পিঁপড়ের দল বয়ে নিয়ে চলেছে পাশবালিশগুলো, যেন ভাত বলে ভ্রম হয়।
মৌমাছির ভন-ভন-ভন শব্দে এসে পড়ছে পাতার ফাঁকে রোদ্দুর, পিলেতে গড়িয়ে পড়ে চুন্নি।দুই পাক ঘুরে স্থির।মৃত মাছের চোখ।
কপাল জুড়ে টান টান ঘুম? যেন মাঞ্জা দেওয়া হয়েছে, এই ল্যাম্প পোষ্ট থেকে ঐ ল্যাম্প পোষ্ট।
অন্ধকার।কিছুই ভালো লাগে না।নাহ।শিয়ালকাঁটার কলো দানা দানা বীজ, হাতের তালু জুড়ে, বড়ই অস্থির।
ঢালাই মেশিনে সব কিছু মাখামাখির শব্দ,বড় বড় বাড়ি হবে, লোহার শিক, বীম , পিলার।
যানজট, এদিক ওদিক ওদিক হর্ণ, ওদিক ওদিক ওদিক।
খড়াঅটা মেশিন সব কেটে দিচ্ছে ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ গ্যাঁচ।কাঁচের উপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে হীরা, গুড়ো গুড়ো সব অমৃতসমান।কাটা গালে থেলে আসা রক্ত, ফিটকিরি চলে যায় কলসীর ভেতর,ঝপাং।
আলো, তীব্র আলো।অন্ধকার।মুছে যায় দ্রুত।অস্থির।ভালো লাগে না কিছুই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



