একটা আরশোলা দেখে মনে হয় ঘিয়ে ভাজা, এ বুলবুল কুকুরের মত নয় । প্রতিসরাঙ্ক নির্ণয় না করেই তাকে রামগোপাল ভার্মার নতুন আবিস্কার বলে মেনে নিই । লাক্স-প্যারাসুট ও কুর্কুরে, কোনো নতুন শোয়ের জন্য আমরা তৈরী কি না, তা জানার জন্য টকব্যাকে যাবতীয় খিস্তি শোনা যায় । আলো কমে যায় পুরোপুরি, জিমি রেডি, অগ্নিমিত্রার ক-অক্ষর সহকারী আরশোলার পেছনের জিপ পুরো খুলে দিয়ে যায় । ইস্টার্ট ।
এখনো কাশ ফোটে । পদ্ম ফোটে । লেখালিখি হয় বর্ষাকাল থেকে । আমিও তিনদিন ছুটি নিয়ে লিখি । এই ভাবেই পুজো আসে । তারপর রাতে রাত মেশে, আমি দিন রাত খেটে চাড্ডি পয়সা জোগাড়ের চেস্টা করি । মিটে গেলে কিছু পয়সা পাই আর প্রচুর খিস্তি, এই সব ড্যাসের কাজ করছিস । আমি কিন্তু রাতগুলো কাটাই জব্বর । গ্রামেগঞ্জে থাকলে লোকাল মাল জুটে যায় । হেবি খাতির করে লোকজন । কার মেয়ে গান শিখছে, কে ভাল ক্যারম খেলে, কে একবার শুনে কোন এক সামাজিক যাত্রাপালার ঝালাপালা সংলাপ মুখস্ত বলতে পারে তার নমুনা দেয়, অনেক রাত অবধি । দারুন সব রগড় । আমি ছইয়া শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ি । টাটা সুমোয় করে লম্বা লম্বা পাড়ি দিই, মাঝে সাঝে সরকারি বাসের সাথে ধাক্কা মারি ।
পুজোর আগে, দু-একটা ইস্পেশাল শো হয় । তাতে কাজ জুটলে বোনাস । কাজ না জুটলেও থাকতে হয়, নতুন ট্যালেন্ট খুঁজতে, রামগোপালের মত উর্মিলা পাই না বটে উর্মিমালা নিয়েই শান্ত থাকি । পুজোর আগে টেলিভিশনে উপস্থাপিকা কম পড়ে যায় । আমাদের সেটা পুশ করার সময় । কেউ চোখে পড়ল ?ডেট আছে ? অন্য চ্যানেলে কিছু করছে না তো ? আমার একটু একটু তখন পুজোর দিনগুলো মনে পড়ে, আমাদের মত ক্যালানের সামনে, কার মেয়ে নাচ জানে, কার বৌ গান জানে, তারা নাচে-গায়-ডায়লগ বলে, নেচে যেতেই থাকে, গান সব জুড়ে জুড়ে গায় অন্তাক্ষরীর মত, পুরো যাত্রাপালায় সকলের ডায়লগ মুখস্ত বলে, বলে যেতেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা ঘুমিয়ে পড়ি ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



