সোনা রোদ ছড়ানো বিকেল। ছেলেটা মাথা নিচু করে হেটে চলেছে দোতলা বাড়ির সামনে দিয়ে। হুট করে খুলে যায় জানলা। দোতলায় এক তরুনী উকি দেয় গ্রীলের ফাক দিয়ে। একরাশ রোদ্দুর তার মুখ ছুয়ে যায়।ছেলেটাকে দেখতে পেয়ে সে হাক ছাড়ে -
- এইযে শুনছেন, এইযে।
মেয়েটা অস্থির হয়ে হাত নাড়ে। এবার মাথা তুলে দোতলার জানলা বরাবর তাকায় ছেলেটা, তারপর বলে
- আমাকে বলছেন?
- হ্যা হ্যা আপনাকেই বলছি।
ছেলেটা ঢোক গেলে।
- জ্বি বলুন।
- আপনি রকিব না?
- নাহ!
- তাহলে আপনি নিশ্চই রকিবের ছোট ভাই।
- নাতো!
- রকিবের বড় ভাইটাও শুনেছি দেখতে রকিবের মতই, আচ্ছা আপনি কি রকিবের বড় ভাই?
- না না, আ...আমি রকিব নামে কাউকে চিনি না।
- ও আচ্ছা। আপনি তাহলে রকিবের কিছুই হন না?
- না।
- রকিব নামের কাউকে চেনেনওনা ?
- না।
শেষ জবাবটা পেয়ে মেয়েটার চোখে মুখে কিরকম একটা বিষন্নতার ছায়া পড়ল। ছেলেটা বহুদূর থেকেও যেন তার খানিকটা আঁচ করে ফেলে। একটা সামান্য দীর্ঘশ্বাস তার বুক চিরে বের হয়ে আসে। আর ঠিক তখুনই মেয়েটা ক্ষ্যাপাটে গলায় চ্যাচায়
- তাহলে এখানে দাড়িয়ে আছেন কেন এ্যাঁ? একা মেয়ে মানুষ দেখলেই খালি কথা বলতে মন চায় তাই না? লুচ্চা কোথাকার!
তারপর দড়াম শব্দে বন্ধ হয়ে যায় জানলাটা। ছেলেটা সেদিকে তাকিয়ে থাকে হতভম্বের মত। শেষ বিকেলের রোদ এবার শুধু ছেলেটাকেই পোড়ায়।