মানুষের কাছে সবচেয় দামি তার মা-বাবা। এই কথাটিকে সত্য বলে মেনে নিতে কারও কনো বাধা নেই। আমরা আমাদের বাবা-মাকে ভালবাসি এটাই সঠিক।কিন্তু বাস্তবতা এই ভালবাশার বন্ধনকেও হার মানায়। এমন অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যারা বাস্তবতার কাছে হার মেনেছে এবং আমাদের সমাজের অংশ হয়ে আছে।আমরা যে সমাজ নিয়ে এত গরব করি সেই সমাজ বাস্তবতার কাছে কত অসহায় তা হয়ত আমরা জেনেও ভুলে থাকি।
যদি দুজন ছেলের বাস্তবতাকে বর্ণনা করা যায় তা হলে হয়ত “বাস্তবতা ভালবাশার বন্ধনকেও হার মানায়” একথার মানে তুলে ধরা যাবে।
যে বাবা-মার ঘরে জন্ম হয় সে বাবা-মার অনেক অনেক আদর জন্মগত অধিকার আর তাদের সকল কষ্টের সম্পদ জন্মের আগের অধিকার।যখন বাবা-মায়ের কষ্টের টাকা দিয়ে ছেলে-মেয়ে নিজের সপ্ন সাজাতে বাস্ত্য তখন বাবা-মা আর তাদের ভালবাসা অনেকটা হারিয়ে যাওয়া রাস্তার মত যাকে খুজে পাওয়া কঠিন।আমরা যখন ছোট তখন সব সপ্নে বাবা-মা থাকে আর বড় হবার পর সপ্ন থাকে কিন্তু তাতে বাবা-মা থাকে না।বাবার টাকায় নিজের সখ মেটানো হয়।এই সময় বাবা-মার কাছে মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে খরচ করা আর অপরাধ না বরং দায়িত্য হয়ে দারিয়েছে আর এটাই হল বাস্তবতার কাছে পরাজয়।
এবার জানা যাক এমন সত্য যা জন্মদাতাকে পর করে দেয়।রাস্তার পাসের এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হল তুমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরাও কেন? সহজ উত্তর রাস্তায় থাকব না তো কই থাকব?আর যদি জানতে চাও রাস্তায় কেন তার উত্তর হল “বাবা”। আমার বয়স ৬-৭ বছর আর আমি বেচে আছি বাবার জন্য ঘৃণা নিয়ে।যে জানে না ছেলে-মেয়ে কিভাবে বাচবে সে আমার বাবা। আমার জন্মের আগেই যে আমাকে বাস্তবতার কাছে হারিয়ে দিয়েছে সে আমার বাবা। যে আমার ছায়া হবে সেই বাবা আমাকে নামিয়ে দিয়েছে রাস্তার রোদে। বাবার উপর অনেক রাগ তাকে খুন করতে চাই।।এমনি সহজভাবে উত্তর খুজে পাই অনেক অনেক পথশিশুর কাছে।জ়ীবনের সত্য যেখানে বাবার জন্য নেই ভালবাসা আছে কষ্ট পাওয়া জীবন। বাংলাদেশের হাজার হাজার পথশিশু শুধুমাত্র তাদের বাবা-মার জন্য রাস্তায় আর তারা জানে না বাবা-মার প্রতি ভালবাশার এই সম্পক কি? অন্যপাশে বাবা-মার আদরে মানুষ হওয়া ছেলে-মেয়ে যখন বাবা-মার সাথে অন্যায় করে তখন হেরে যায় পবিত্র এই বন্ধন।
ধনী ঘরের সন্তান যখন বাবার কষ্টের টাকা চুরি করে নেশা করে অন্যায় করে তখন রাস্তায় থাকা যে ছেলে বাবাকে খুন করতে চায় তার সাথে কতটুকু অমিল থাকে ? ?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



