প্রতিদিন ভোর হয়, পাখির ডাকে ঘুম ভাঙ্গে সবার। কেউ যায় স্কুলে - কলেজে, কেউ অফিস আদালতে, কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অর্থাৎ সবাই যার যার প্রয়োজনের তাগিদে ব্যস্ত হয়ে যায় সাংসারিক কাজে। সকাল গড়িয়ে দুপুর আসে, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে। এরই মাঝে কেউ বাসায় ফেরে, আবার কেউ বাসায় ফেরে না। পরিবারের লোকজন মোবাইলে যোগযোগের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে চলে খোজাখুজি। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় চলে খোজ। তার পর হাসপাতালে-থানায় চলে অনুসন্ধান। তার পর শুরু হয় বুকফাটা আর্তনাদ। যে মানুষটি সুস্থ্য অবস্থায় বাড়ী থেকে বের হয়েছিল সেই মানুষটি যন্ত্রদানবের তান্ডবে হাসপাতালের মর্গে ঠায় নেয় লাশ হয়ে। এভাবে যন্ত্রদানবের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়।
সরকার যন্ত্রদানব নামের এসব বাস-ট্রাক সহ ভারী ও হালকা যানবাহন দূর্ঘটনা রোধে সচেষ্ট বহুদিন পূর্ব থেকেই। কিন্তু তাতে কোন কাজে আসছে না। বরং দূর্ঘটনার হার ক্রমেই বৃদ্ধি হচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ গাড়ীর চালকদের বেপরোয়া গতি। কার আগে কে যাবে এই প্রতিযোগীতায় মেতে উঠে গাড়ীর চালকগণ। আমাদের দেশের অধিকাংশ গাড়ীর চালকেরই লাইসেন্স নেই। গাড়ীরও কোন কাগজপত্র নেই। ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে চলে এসব ফিটনেস বিহীন গাড়ী। এসব ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন গাড়ী চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সরকার গাড়ীর সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। মহাসড়কে গাড়ীর গতি সর্বোচ্চ ৮০ করে দেয়া হয়েছে। এখন গাড়ীর চালকগণের উচিত সরকারে এই আইন মেনে চলা। তাহলে সড়ক দূর্ঘটনা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। এছাড়া আমাদের দেশের সড়ক মহাসড়কগুলোর বেশীর ভাগই এক লেনে। এই এক লেনে সড়কে যানবাহন চলার কারণে সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার যদি প্রত্যেকটি সড়ক মহাসড়ক দূ-মুখী লেনে উন্নীত করেন তাহলে হয়তো সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।