একমাত্র ইসলাম ধর্মেই রয়েছে সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের সাথে গভীর সম্পক। যার প্রমান পাওয়া পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত ও বিভিন্ন হাদীস শরীফ থেকে।
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামের অস্তিত্ব ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। হযরত আদাম (আঃ) থেকে শুরু করে অদ্যাবধি যত নবী রাসুলগণ ছিলেন সবাই ইসলাম ধর্ম প্রচার করে গেছেন এবং এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আহ্বান করে গেছেন। নবী রাসুলগণ হলেন সৃষ্টিকর্তার সাথে সেতু বন্ধনের মাধ্যম।
কেউ কেউ বিভিন্ন ব্লগে লেখা-লেখি শুরু করেছেন যে, কোন ধর্মই নামে ¯্রষ্টার সাথে সম্পর্ক নেই। এই কথাটির কোন ভিত্তি নেই। কারণ পবিত্র কোরআন এবং হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে ইসলাম ধর্মই একমাত্র ¯্রষ্টার সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর এজন্য মহান আল্লাহ পাক মানুষকে ওনার প্রতিনিধিরূপে পাঠিয়েছেন। আর মানুষও রুহু জগতে মহান ¯্রষ্টার প্রতিনিধিত্বের অঙ্গীকার নিয়ে এসেছে এই পৃথিবীতে।
এই স্থানে হযরত আদম (আঃ) এর ঘটনার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত যে, পৃথিবীতে মানুষ যে ভূমিকা পান করে থাকে ইসলাম তাকে এজন্যে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে। অনুরূপভাবে সৃষ্টিজগতের সার্বিক বিধিব্যবস্থায় তার অবস্থানকে, তার মর্যাদা নির্নয়কারী মূল্যবোধকে, আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকারের সাথে তার সংযোগ ও সম্পর্ককে এবং যে অঙ্গীকারের ভিত্তিতে তার খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে তাকেও ইসলাম সর্বাধিক মূল্য দিয়ে থাকে। ইসলামের আদর্শে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা শক্তিকে উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। এর উপরও আল্লাহর খেলাফতের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন নির্ভরশীল।
এখানে আরো একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, আমাদের প্রিয় রাসুল (সাঃ) কোনো কথাই নিজ থেকে বলতেন না। তিনি বলতেন মহান রাব্বুল আলামীনের বাণীই। আর তাই তো উনার কথামালার নাম হয়েছে পবিত্র হাদীস, যা সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজের কাছে অত্যন্ত অমূল্য। বোখারী শরীফ অনুযায়ী জানতে পারি যে, “ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নিজের তরফ থেকে একটি কথাও বলতেন না, আল্লাহপাক যা বলে দিতেন তিনি তা মুখ দিয়ে প্রকাশ করতেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন, যদি সে ( মোহাম্মদ সাঃ) কোনোও একটি কথা নিজের তরফ থেকে বানিয়ে বলত তবে আমার সর্বগ্রাহী হস্তে তাহাকে ধরিয়া যখন তখন তাহার হৃদয়তন্ত্রীকে ছিড়িয়া দিতাম।”
এ থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় যে রাসুল (সাঃ) সৃষ্টিকর্তার বাণীই পৌছাতেন। ¯্রষ্টার সাথে সৃষ্টির অর্থাৎ মুসলিম সমাজের সম্পর্ক স্থাপন করে দিতেন। পৃথিবীতে যুগে যুগে যত নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন তার সবই ¯্রষ্টার সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। মহান আল্লাহকে চেনার ও জানার মাধ্যম নবী রাসুলগণ। আর নবী রাসুলগণ ধরাধামে আগমন করেছেন ইসলামের মহান বার্তা নিয়ে, এক আল্লাহর পরিচয় নিয়ে, এক আল্লাহর সান্নিধ্য নিয়ে, এক আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে। তাই বলতে হয় যে, একমাত্র একমাত্র ইসলাম ধর্মেই রয়েছে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২২