সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটে যাবার উদ্দেশ্য সপ্তাহ খানেক শুধু প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাচ্ছি বলে প্রয়োজনের চেয়ে খানিকটা বেশি উত্তেজিত। বেড়ানোর জন্য বেছে নিয়েছিলাম সিলেটের মৌলভিবাজার জেলার জুড়ি নামক উপজেলায় অবস্থিত চা বাগান আর তার আশেপাশের দর্শনিয় স্থান সমূহ। স্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী ট্রেনে যাবার সিদ্বান্ত হলো। আগেভাগেই ভোরের প্রথম ট্রেনের টিকেট কেটে রেখেছিলাম। অবশেষে সেই কাংখিত দিনে বাসা থেকে বের হলাম। আমি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটি সিএনজি ঠিক করেছি, কিন্তু সহধমিনি বলল সকাল বেলা না হয় রিকশা করে বাতাস খেতে খেতে যাই। তাই রিকশাযোগে রামপুরা থেকে কমলাপুরের উদ্দেেশ্য রওনা হলাম। রিকশা মালিবাগ রেলগেটের কাছে পৌছতেই পেছন থেকে একটি কালো ক্যাব দ্রুত গতিতে এসে আমাদের রিকশার বামদিক দিয়ে ওভারটেক করল। যাওয়ার সময় নিয়ে গেলো আমার স্ত্রীর হাতে থাকা পার্টস। এত দ্রুত ঘটনা ঘটল যে গাড়ির নাম্বার টা ও দেখা হলনা। আমি কি করব বুঝতে না পেরে যখন রিকশা থেকে নেমে ছিনতাই কারি ধরেন ধরেন বলে চিৎকার করছি তখন দেখি পাশে একটি পুলিশের পিকআপ আর তার বাইরে দাড়িয়ে পুরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নীরব সাব ইন্সপেকটর। আমি সাব ইন্সপেকটরের কাছে গিয়ে অনুরোধ করলাম যাতে ওনাদের পিকআপ নিয়ে গাড়ির পিছু করে । জবাবে সাব ইন্সপেকটর আমাকে বলল একটা সিএনজি নিয়ে আপনি পিছু করেন । আমার স্ত্রী বলল আমরা পিছু করলে আপনাদের কাজটা কি? সাব ইন্সপেকটরের জবাব: ম্যাডাম আমাদরে ড্রাইভার বাথরুমে গেছে । ইতিমধ্যে রেল ক্রসিং গেট বন্ধ হয়ে গেল । আর আমরা অসহায় দর্শক। আমাদের ট্রেন ছাড়ার আর মাত্র ১৫ মিনটি বাকি তখন । নয়ত পুলিশের সাথে একটা দফা রফা করা যেত । শুধু ভাবছিলাম আসলেই এরা পুলিশ মানুষ না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





