৯
প্রতিদিন ভোরে ঘরের কোণে বাতাবিনেবুর ডালে
আমার দোয়েল শিস্ কেটে ঘুম ভাঙাতো।
আজ সারারাত আমার ঘুম হলো না। দোয়েল পাখিও নীরবে
হারিয়ে গেছে।
১৯ এপ্রিল ২০০৮
১০
একটু ঘুমাবো। জানি না এখন তুই কোথায়, হয়তো কাশিয়ানির পথে
আমায় ভুলে যাসনে যেন যেতে যেতে। আমি আছি তোর স্মৃতির ভেতর
অপার আনন্দে মেতে।
১৯ এপ্রিল ২০০৮
১১
কথা দিয়ে তুই কথা রাখবি না, মনে হয়নি তা একটিবারও,
সবখানি ভুল ভেঙে দিয়ে সখি সত্যিই তুই কথা রাখলি না!
তুই কি ভেবেছিস তোর কোনও কথা সত্যি মানিব এমনি আরও?
আর কি তা হয়, বুকের ভেতর বাজছে যখন অগ্নিবীণা?
২০ এপ্রিল ২০০৮
১২
পৃথিবীর সব রূপ তোর মুখখানিতে
তাই আর কোনও রূপ পারিল না টানিতে।
২০ এপ্রিল ২০০৮
১৩
তোর মাথায়
যদি আর কোনওদিনও চুল না গজায়,
আমি সবচেয়ে খুশি হবো। তুই ন্যাড়া মাথা খোলা রেখে
আমার হাত ধরে হাঁটবি, তা দেখে মানুষ অবাক হয়ে বলবে, এমনও কি প্রেম হয়,
শুধু মনেতে মনেতে মিলন, দেহলাবণ্যে নয়?
১৫ মে ২০০৮
১৪
বয়স আমার দুই কুড়ি এক, তোরই সমান সমান
এমন মধুর বয়সকালে মন হলো তোর পাষাণ!
তোর যে বুকে জ্বলছে ভীষণ রুদ্র খরার আগুন
বল্ পাষাণী, তোর কবিকে করলি কেন খুন!
২৫ জুন ২০০৮
১৫
ভুলে যাবি তুই? যা না
যুগ যুগ পর একদা হঠাৎ
পাতাল ফুঁড়িয়া জাগিয়া আবার
অতর্কিতে তোর বুকে দেব হানা।
তারপর তোর কলজে খাবো,
তখন করবি কী তুই-
সহসা আবার পালাই যদি ছাড়িয়া বিশ্ব-বিভূঁই?
২৫ জুন ২০০৮
১৬
যা তুই তবে হারামজাদী, খেলার মাঠেই যা
তোর লাগি ক্যান অশ্রু দেব শুধুই খামোখা?
২৫ জুন ২০০৮
১৭
আমার কবিতার ভাষা করাতের মতো যদি হতো
তোর বুকের অন্তর্গত করে দিতাম এক লক্ষ ক্ষত।
২৬ জুন ২০০৮
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১