somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ই-ফ্রেন্ড : পর্ব-৪

০৪ ঠা মার্চ, ২০০৯ রাত ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চার

মাগরিবের ঠিক পর পর শাহিদ আবার ফোন করলো। বুয়া এবার খুব নরম স্বরে বললো, হ্যালো, স্লামালাইকুম। কথা বলার আগে শাহিদ দ্রুত ভেবে নিয়ে স্থির করলো, বুয়াকে সে নিজের পরিচয় দিবে, ভদ্রভাবে জিজ্ঞাসা করবে এটা তিশা নাকি মিমিদের বাসা, এ মেয়ের আসল পরিচয় কী, তার স্বামীর ঘর কোথায়? জবাব দিতে বিলম্ব হওয়ায় বুয়া আবার ডাকে, হ্যালো- মুহূর্তে শাহিদের সমস্ত মনপ্রাণ পুলকিত হয়ে ওঠে- এ বুয়া নয়, মিমি। সে উচ্ছ্বাস কোনমতে চেপে রেখে বলে ওঠে, হ্যালো স্লামালাইকুম, ভালো আছেন?
কিন্তু মিমির কণ্ঠস্বরে এক ফোঁটা আবেগ বা উচ্ছ্বাস নেই, এতোদিন পর কথা হলে যেরূপটা শাহিদ আশা করেছিল। মিমি অন্যন্ত নীরস স্বরে বলে, আপনি কি একটু পরে ফোন করতে পারবেন?
স্যরি, শাহিদ বলে, আপনাকে বোধ হয় অসময়ে বিরক্ত করলাম। ঘুমুচ্ছিলেন বুঝি?
না, তসবি পড়ছিলাম, মিমি বলে, নামাজ শেষে তসবি পড়ছি।
ওহ্‌ স্যরি। ঠিক আছে, পরে করবো। বলেই শাহিদ ফোন রেখে দেয়।
দারুণ ভালোলাগা- অনেক অপেক্ষার পর মিমিকে পাওয়া গেছে, যুগপৎ একটুখানিখতাশা- এতোদিন পর কথা হলো, অথচ মিমির কণ্ঠস্বরে কোনরূপ উচ্ছ্বাস নেই- শাহিদের মন আবার চঞ্চল ও বিষণ্ন হয়ে উঠতে থাকে। আগের বার কতো দীর্ঘ সময় ধরে কতো গভীর কথাই না হয়েছিল মিমির সাথে, তখন মনে হয়েছিল এই মিমিও তার জন্য উতলা হয়ে উঠবে। মিমি কি পাথর? এতো আবেগহীন হয় কী করে একটি মেয়ের মন? জীবনে এক দণ্ডের জন্যও যদি কোন একটা মেয়ের সঙ্গে গভীর দৃষ্টি বিনিময় হয়ে যায়, সারাজীবন জ্বলজ্বল করে সেই সমৃতিখানি মনের গভীরে দূর-নক্ষত্রের মতো জ্বলতে থাকে। যে মেয়েটি একটুখানি মৃদু সিমত হাসি ছুঁড়ে দিয়ে বাকি জীবনের জন্য আড়ালে চলে যায়, এমন কোন্‌ পুরুষ আছে যে ঐ হাসিমুখটির কথা ভুলে যেতে পারে? যে মেয়ের মিষ্টি কথাটি একবার কর্ণকুহরে ঢুকেছে, সারাটি জীবন তা কানের কাছে বাজতে থাকে সেই ভালোলাগা। কিন্তু মেয়েদের বেলায় এমনটা হয় না কেন? মেয়েদের মন কোন্‌ পাথরে তৈরি? মেয়েদের কি আদৌ মন আছে? আবেগ নেই? উচ্ছ্বাস নেই? এতো দীর্ঘ দিনের এতো কথার পরও কি মিমির মনে এতোটুকু দাগ পড়েনি? শাহিদের বুকে একটা কষ্ট জাগতে থাকে, সেই কষ্ট ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, বুক ছাপিয়ে, হৃদয় ছাপিয়ে।
শাহিদ অপমানিতবোধও করতে থাকলো। কারো কাছে ফোন করলে সে যদি বলে একটু পরে করলে ভালো হয়, তাতেই অপমানের চূড়ান্ত হয়। মিমি একটু পরেই ফোন করার কথা বলেছে। শাহিদ মনে মনে ভাবছে, একটু পরে কেন, ইহজীবনেও আর ফোন করা হবে না। পাথরেও পানি থাকে। আজ না হোক, কাল না হোক, বহুদিন পরে হলেও মিমির মনে একটুখানি দুঃখ জাগবে- কেউ একজন তাকে ফোন করবে বলেছিল, আজও করেনি।
এসব ভাবতে ভাবতে শাহিদের মন যখন বেদনায় ছেয়ে গেল, ঠিক এমন সময়েই সহসা তার মনের সকল দুঃখ সকল বেদনা উবে গেল। একেবারে ফুরফুরে মেজাজে শরীর ঝাঁকি দিয়ে উঠে বসে সে ভাবে- লাইফ ইজ ফুল অব ফান্‌স, ইট মাস্ট বি ফুল অব হিউমার্‌স।
টেলিফোনটা কাছে টেনে সে মিমির কাছে ফোন করে।
কিন্তু কী বিপত্তি, আবারো সেই ভদ্রলোক। শাহিদ নিঃশব্দে ফোন রেখে দেয়।
কিছুক্ষণের বিরতি নিয়ে আবার সে ফোন করে। ভদ্রলোক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ গম্ভীর গলায় টেনে টেনে বলেন, হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম। শাহিদ এবারও নিঃশব্দে ফোন রেখে দেয়।
পরের বিরতিটা একটু বেশি সময়ের জন্য হয়।
কিন্তু এবার কেউ ফোন ধরে না। সে আবার ডায়াল করে, রিং যেতে থাকে।
কোন সালাম শুভেচ্ছা কুশল জিজ্ঞাসা নেই, রুক্ষ কর্কশ স্বরে বুয়া চেঁচিয়ে ওঠে, ঐ শুওরের বাচ্চা শুয়োর- তর মা-বোন নাইক্যা? দিন ভইর‌্যা এলা জ্বালাইতেছস কির লাই? কতা কস না ক্যান এলা, কতা ক, শুওরের বাচ্চা।
শাহিদ কথা বলে না। ভীষণ চেঁচামেচি শেষে দড়াম করে রিসিভার রেখে দেয় বুয়া।
আর নয়, শাহিদ পুনর্বার প্রতিজ্ঞা করে, কী এমন আশ্চর্য অলৌকিক মোহ আছে তিশা কিংবা মিমি নামক এক অনামিকা মেয়ের মধ্যে? জীবনে বহুবার এমন আসে, এসেছিল, হয়তো আসবে- সবকিছু মনে রাখা যায় না, মনে রাখতে নেই, সবকিছু মনে রাখা সম্ভবও নয়। সারা জীবনের অনেকগুলো সমৃতির মাঝে মধুর সমৃতিগুলোকেও মাঝে মাঝে ভুলে যেতে হয়, হবে, তা না হলে ওগুলো সমৃতির কুঠরে ঘনীভূত হয়ে তোলপাড় করে সারাটা জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে। মিমির সাথে যা হলো, সব ভুলে যেতে হবে। সে এক দুঃখিনী প্রোষিতভর্তৃকা হতে পারে, সে কারো সুখী স্ত্রী হতে পারে, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার গৃহে প্রবেশ করে সংসারে দাহ সৃষ্টি করে লাভ কী? যার মন পাওয়া গেল না, তার মন পাওয়ার চেষ্টা করাটাই বৃথা। Love at first impression is the purest love. প্রথম মিলনে যে প্রেমের সৃষ্টি সেটাই সবচাইতে নিখাদ প্রেম। প্রথম মিলনে মিমির মন পাওয়া যায়নি- পাওয়া যাবে না বাকি জীবনের সাধনায়ও। হতে পারে সে কোন এক অষ্টাদশী উর্বশী তরুণী, যার এক ফোঁটা রূপের ছটায় সারা পৃথিবী আলো ঝলমল করে উঠতে পারে- হোক না; যার মন পাথরে তৈরি, তার মন কেউ কখনো পায়নি, পায় না।


নিষ্প্রাণ সময়, বিষাদময় দিননযেন ঠাঁয় স্থির। মাঝে মাঝে সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে বসে শাহিদ, চ্যাটরুমে ঢোকে, সেই পুরনো নামগুলো এখনো ওখানে ভেসে আছে, মেয়ে-নামগুলো মেয়ে কিনা বোঝার উপায় নেই। দু-একজনকে সে নক করে, কিন্তু সাড়া মেলে না। নিজেকে খুব খাটো মনে হয়, তার নামের প্রতি বোধ হয় কোন মেয়েরই কোন আকর্ষণ জাগে না। সেই জ্ঞআই-ফ্রেন্ডসঞ্চ ওয়েবসাইটটাতে গিয়েও নতুন নাম খোঁজে, ওখানে প্রতিদিন কতো নতুন নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে, কিন্তু কোনটাই হয়তো সত্যিকারের নাম নয়, যেটি সত্যিকারের সেটি হয়তো সত্যিকারের মানুষটির নয়, সত্যি নামের সত্যি মানুষের আড়ালে অন্য একটা মিথ্যে মানুষনসে মানুষটি একটি দুষ্টু মানুষ, মানুষের মন নিয়ে খেলা করাই তার কাজ।

বেশিদিন যেতে না যেতেই শাহিদের পুনর্বার প্রতিঞ্চাভঙ্গ হলো। কিন্তু অত্যন্ত অপ্রত্যাশিতভাবে সে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মিমিকে ফোন করলো। কারো প্রতীক্ষায় থাকলে যেভাবে হয় ঠিক সেভাবে রিসিভার তুলে মিমি বললো, হ্যালো স্লামালাইকুম।
শাহিদ সামান্য ঢোক গিলে বলে, ভালো আছেন?
মিমির কণ্ঠস্বর অলস হয়। ঘুম জড়ানো স্বরে সে টেনে টেনে বলে, হ্যাঁ।
আই এ্যাম স্যরি, এতো রাতে ফোন করার জন্য।
আপনি ঘুমাননি?
ঘুম আর আসে?
কেন, নিদ্রাহীনতায় পেয়েছে?
ঠিক তাই।
সিডাকসিন খাওয়া যায় না?
হুম্ যায়। একদিন একত্রে সবগুলো খাবোনপুরো এক পাতা।
বাব্বাহ্, খুব অভিমান দেখছি।
অভিমান? কার সাথে? সবার সাথে কি অভিমান করা যায়?
ঠিক আছে, না করা গেলে না করলেন।
আচ্ছা, শ্বশুর বাড়ি থেকে কবে ফিরেছেন?
মানে?
আপনি শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলেন না?
ও হ্যাঁ, যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যাওয়া হয়নি।
ও গড, আপনি শ্বশুর বাড়িতে যাবেন এ কথা বলে আমাকে দীর্ঘ এক যুগ কষ্টে রাখলেন? আপনি হাসছেন?
হাসবো না? এই দীর্ঘ এক যুগে কি আপনার একবারও ফোন করতে ইচ্ছে হয়নি?
প্রতীক্ষায় থাকতে থাকতে আমি আকুল হয়ে উঠেছিলাম। কিন্তু আপনার কথাটি সত্যি মনে করেই আমি ফোন করিনি, আপনি নেই এটা জেনেও আমি শূন্য বাড়িতে কার কাছে ফোন করবো?
স্যরি, আপনার দুর্ভাগ্য। ফোন করলে হয়তো আমাকে পেয়েও যেতে পারতেন।
কিন্তু যাননি কেন?
আমার মা খুবই অসুস্থ। বারডেমে ভর্তি ছিল।
কতো নম্বর রুমে?
কেন, সেখানে গিয়ে আমার সম্বন্ধে খোঁজ খবর নিবেন?
যদি নিই?
ও নো, তাহলে বলা যাবে না।
আচ্ছা, আমাকে এতো ভয় কেন?
নাহ্, ভয় পাবো কেন? আপনি কি বাঘ?
আসলে যে কারণে ফোন করেছি সেটা বলি?
ঠিক আছে, বলুন।
এতোদিন আপনাকে অনেক বিরক্ত করেছি।
আপনার ওপর কিন্তু আমার অনেক রাগ হয়েছিল।
জানতে পারি কি, কেন?
আপনি সেদিন এতো ঘন ঘন ফোন করলেন যে বাসার সবাই ক্ষেপে আগুন হয়ে গেল। মাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে, রাখা হয়েছে ঐ ঘরে, আর আপনি প্রতি মিনিট পরপর ফোন করতে থাকলেন, রিসিভার তুললে আপনি কথা বলেন না। কেউ না বুঝলেও আমি কিন্তু জানতাম এটা আপনি ছাড়া আর কেউ নয়। আপনার কি একটু সংযত হওয়া উচিত ছিল না?
আমি খুবই দুঃখিত এবং লজ্জিত, বড় অন্যায় হয়ে গেছে। আমার মনে হয় এটাই আপনার সাথে আমার শেষ কথা বলা।
অভিমান?
যার সাথে কথা বলি তার মনের তল পাই না। কী জন্য আর ফোন করবো?
ঠিক আছে, না করলেন।
একটা কথা বলি?
বলুন।
আপনি সব সময় শুধু আপনার জেদটাই বজায় রাখেন।
হ্যাঁন্সত্যি।
আপনার জ্ঞহ্যাঁ সত্যিঞ্চ, জ্ঞঠিক আছেঞ্চনএ ধরণের কথাগুলো আমার মনে খুবই কষ্ট দেয়।
আচ্ছা, সেজন্য আমি কী করতে পারি?
এই যে এই কথাটি বললেন, আপনি জানেন না আপনার এই কথাটি কতোখানি নির্মম।
মিমি কলকল শব্দে হাসতে থাকে। শাহিদ বলে, আপনার মনটা কখনো ভিজাতে পারলাম না।
আপনার মন ভিজেছে?
কে ভিজাবে?
কেউ নেই?
কখনো ভাবি আছে, আবার মনে হয় কেউ নেই।
মিমি হেসে কুটিকুটি হয়। বলে, আপনি কিন্তু একটা মস্ত ঠগ।
কেন?
আপনার স্ত্রীকে আপনি কখনো ভালোবাসেননি।
এই পৃথিবীতে যদি সত্যিকারেই কাউকে ভালোবেসে থাকি তাহলে সে আমার স্ত্রী।
মনে হয় না।
কেন?
তাহলে আমার কাছে ফোন করেন কেন?
আপনার সাথে কথা বলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে!
কেন, আপনার স্ত্রীর কথা শুনতে আপনার ভালো লাগে না?
অবশ্যই লাগে।
তাহলে আগে যেটা বলেছি সেটাই ঠিক, আপনি একটা ঠগ।
শাহিদ কথা বলে না। মিমি জিঞ্চাসা করে, কী, খুব কষ্ট পেলেন বুঝি?
নাহ্, কষ্ট পাবো কেন? আমার কোন কষ্ট নেই।
এখন কি বাসা থেকে ফোন করছেন?
সব সময়ই।
আপনার বাসাটা কোন্ জায়গায়?
প্লিজ, এটা বলতে চাইছি না।
ঠিক আছে, একজ্যাক্ট পয়েন্ট না হোক, কাছাকাছি একটা জায়গার নাম বলুন।
মঙ্গলগ্রহ।
মিমি হো হো করে হেসে ওঠে। যাক, আমি খুশি হলাম এজন্য যে আপনার সম্পর্কে অন্তত একটা তথ্য আমাকে দিয়েছেন।
আমাকে খুশি করার জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছে সেজন্য ধন্যবাদ।
আপনি মাঝে মাঝে ভাববাচ্যে কথা বলেন, বেশ মজাই লাগে।
ভাববাচ্য কাকে বলে?
ওহ্হো, আমি কি সামনে ব্যাকরণ বই নিয়ে বসে আছি?
বসে না থাকলেও আপনি ব্যাকরণে খুব ভালো, এটা সিওর।
খুব উল্টো হলো। ব্যাকরণ আর অংক হলো আমার কাছে সবচাইতে কঠিন আর বিরক্তিকর সাবজেক্টস্।
আপনি অত্যন্ত বুদ্ধিমতি। আচ্ছা, একটা কাজ করেন না কেন?
কী কাজ?
আপনি লেখালেখি শুরু করেন।
আল্লাহ্, মাথায় বাঁশ ফাটালেও কলম দিয়ে একটা শব্দ বেরুবে না। কিন্তু আপনি লিখেন না কেন?
লিখতে মেধা লাগে, আমার সেটা নেই। তবে আমার কয়েকজন বন্ধু আছে, ওরা খুব লিখে।
তাঁদের নাম বলা যাবে?
ওদের নাম বলা আর না বলায় আমার কোন ক্ষতি হবে না। কারণ ওরা প্রত্যেকেই আমার কাছে প্রতিষ্ঠিত লেখক।
নাম?
ইমন মাহ্মুদ, শাহিদ কামালনওদের নাম কখনো শুনেছেন?
মিমি একটু বিরতি নেয়। শাহিদ বলে, ওরা অবশ্য উঠতি লেখক, দেশ জুড়ে এখনো ওদের নাম হয়নি।
হ্যাঁ, আমারও এক পরিচিত লেখক আছেন।
তাঁর নাম?
আবু সুফিয়ানের নাম শুনেছেন?
ইয়েস ইয়েস, শফিক রেহমানের মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে উনি লেখালেখি শুরু করেছিলেন, কলাম লিখতেন। এরপর অবশ্য তাঁর অন্য কোন লেখা আমার পড়া হয়নি। উনি কি আপনার আত্মীয়?
না, আত্মীয় নয়। আমার ছোট চাচার সাথে কীভাবে যেন যোগাযোগ হয়েছিল। একবার আমাদের বাসায়ও এসেছিলেন।
আচ্ছা, আপনাকে যদি একটা কাজ করে দিতে বলি, করবেন?
বলুন।
আমার বন্ধুরা একটা সাহিত্য ম্যাগাজিন বের করে থাকে, আই থিংক ইউ নো হোয়াট এ লিটল ম্যাগাজিন ইজ। তো সেই পত্রিকার জন্য লেখার দরকার। আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবীদের মধ্যে কি কারো লেখালেখির অভ্যাস আছে? থাকলে তাঁদের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ করে দিবেন।
মা্যগাজিনটার নাম কী?
তরুণ কণ্ঠ।
কখনো এর নাম শুনেছি বলে মনে হচ্ছে না।
আপনি ঠিকই বলেছেন। মাত্র হাজার দু-আড়াই লোক হয়তো এ ম্যাগাজিনটার কথা জানে।
বাজারে পাওয়া যায়?
বাজারে পাওয়া যায় না। সম্পূর্ণ আমাদের নিজ খরচে ছাপি। ছাপা হওয়ার পর বিনামূল্যে লেখকদের কাছে কপি পাঠিয়ে দেয়া হয়, শুধু তাই নয়, বিতরণের জন্য অনেকগুলো সৌজন্য কপিও পাঠানো হয়।
আমি কি একটা কপি পেতে পারি?
এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে যদি আপনাকে এক কপি তরুণ কণ্ঠ পৌঁছে দিতে পারি।
কিন্তু কীভাবে পাবো?
কুরিয়ার করে আপনার বাসায় পাঠিয়ে দিব।
ও নো, খবরদার।
তাহলে নিজে এসে দিয়ে যাই?
ঠিকানা কোথায় পাবেন?
আপনার কাছ থেকে?
আমি তো আপনাকে ঠিকানা দিবই না।
তাহলে ইন্টারনেট থেকে নিব।
ওটা তো ভুয়া।
তাহলে জ্ঞও নোঞ্চ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলেন যে?
আমার মনে ছিল না যে আপনি আমার বাসার ঠিকানা জানেন না।
আরেকটা কাজ করি তাহলে?
কী রকম?
আপনার কি নীলক্ষেতে যাওয়া হয়?
হুঁউউম, খুব যাওয়া হয়। ওখানে আমার কলেজ না!
একটা বুকস্টলে যদি রেখে দিই?
আপনার বুকস্টল?
আমার কোন বুকস্টল নেই। ওটা এক পরিচিত লোকের স্টল।
বুকস্টলের নাম?
শাহানা বুক হাউস।
শাহানা কি আপনার স্ত্রীর নাম?
আরে ভাই, এতো সন্দেহ করছেন কেন, আমি বললাম না এটা আমার এক পরিচিত লোকের স্টল? শাহানা তার স্ত্রী নাকি মেয়ের নাম তা তো আমি জানি না।
স্যরি স্যরি। তারপর কী করবেন বলুন।
স্টলটা কিন্তু বাইরে খোলা ফুটপাতে। দক্ষিণ-পশ্চিম কর্নারে একটা বটগাছ আছে, দেখেছেন না? সেই বটগাছটার গোড়ায়ই শাহানা বুক হাউজের স্টল। আপনি কবে আসবেন?
কী জানি, যেতেও পারি, আবার না-ও যেতে পারি।
ঠিক আছে, আপনি না যান, কিন্তু আমি রেখে আসবো। আপনি ওটা কোনদিন স্পর্শ না করুন, আমি ভাববো, ওটা আপনার হাতে ঠিকই পৌঁছে গেছে।
আচ্ছা আচ্ছা, ঘাট হয়েছে, আর অভিমানের দরকার নেই। আপনি কালই রেখে আসুন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ওটা আমি নিয়ে আসবো।
আনবেন তো?
আনবো, তবে একটা শর্ত আছে।
কী শর্ত?
আপনি যদি ওখানে লুকিয়ে থেকে আমাকে দেখতে চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু আমি যাবো না।
ও গড, আপনাকে দেখতে চাই বলেই তো এই ব্যবস্থা।
না বাবা, তাহলে আমি নেই।
ইশ, কী মেয়েরে বাবা! আচ্ছা ঠিক আছে, আমি থাকবো না। আপনি যাবেন তো?
গিয়ে কী বলবো?
কিছুই বলতে হবে না।
কী যে হাসির কথা বলেন! লোকটা জানবে কী করে আমি কী চাই?
হ্যাঁ, তাই তো! অলরাহট, আপনি বলবেন, তরুণ কণ্ঠ আছে কিনা।
দাম কতো?
দাম যা-ই হোক, আপনার জন্য থাকবে সৌজন্য কপি।
ধন্যবাদ।
না গেলে কিন্তু আমার সারা জীবনের কসম।
ও-কে।
আমি জানবো কী করে আপনি গেলেন কিনা?
জানার কোন প্রয়োজন আছে?
ওহ্, আপনি সব সময় উল্টো স্রোতে চলেন।
তাই?
আমি কিন্তু কালই ফোন করবো।
কেন?
আপনি গেলেন কিনা তা জানার জন্য।
যেতে কিন্তু আমার কয়েকদিন দেরিও হতে পারে।
ঠিক আছে, আপনি ওটা আনুন বা না আনুন, যুগ যুগ ধরে ওটা ওখানে পড়ে থাক, আমি কোনদিনই ফেরত আনবো না। আপনি কোনদিন না আসুন, আমি যুগ যুগ ধরে ওখানে উদয়াস্ত প্রতীক্ষায় থাকবো, আপনি আসবেন এই মনে করে।
বলতে বলতে শাহিদের কণ্ঠস্বর ঘন ও ভারি হয়ে ওঠে। টেলিফোনের অপর প্রান্তে মিমির হাসির শব্দ শোনা যায়।
কিছুক্ষণের নীরবতা, তারপর মিমি বলে, কী হলো, কোন কথা নেই কেন?
জানি না।
বাব্বাহ্, অভিমানে ফেটে পড়ছেন দেখছি!
অভিমান করবো কেন? অভিমান তার সাথেই চলে যার ওপর অধিকার আছে।
আমার ওপর আপনার কোন অধিকার নেই?
আপনি বুকে হাত রেখে বলুন, আপনার ওপর কতোখানি অধিকার আমাকে দিয়েছেন?
অধিকার কখনো দেয়া যায় না, অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
হ্যাঁ, আপনিই বলুন, অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আর কী কী করতে পারি?
সেটা তো আমি আর বলে দিতে পারি না।
আপনি যদি চান আপনার জন্য আমি আগুনে ঝাঁপ দিব। আপনি যদি চান, আপনার জন্য সাত সমুদ্র তের নদী সাঁতরে আপনার কাছে আসবো। আপনি চাইলেই একদিন হঠাৎ আপনার বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলবো, মিমিকে আমি ভালোবাসি, মিমিকে আমি বিয়ে করতে চাই।
মিমির সশব্দ হাসি ভেসে আসে। হাসতে হাসতেই সে বলে, আমার স্বামী আপনাকে এমনি এমনিই ছেড়ে দিবে ভাবছেন?
আপনার স্বামী সম্পর্কে আমি আর একটা কথাও শুনতে চাই না।
ভালোই। খুউব ভালো লাগছে, শান্তি, শান্তিনআমার জন্য কেউ একজন দিওয়ানা মাস্তানা হয়েছে এর চেয়ে বড় সুখ আর কী হতে পারে?
ঠা-া করছেন?
না, ঠা-া করবো কেন? পঞ্চান্ন বছরের এক উঠতি তরুণ বিশ বছরের এক বিবাহিতা ঝানু বুড়ির প্রেমে পড়েছে, এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? ঠা-া করবো কেন?
কে বলেছে আমার বয়স পঞ্চান্ন?
আপনি বলেছিলেন।
ওটা মিথ্যে ছিল।
তাহলে সত্যি কোন্টা?
আপনার কাছে সত্যি বলেই লাভ কী?
তাহলে কি সবই এতোদিন মিথ্যে বলেছেন?
সবই মিথ্যে হবে কেন?
আপনার স্ত্রী, ছেলে, ছেলে-বউ, নাতিনএসব সত্যি নয়?
হ্যাঁ, সত্যি। তো?
আপনি কী করে ভাবলেন যে সতীনের সংসার করার জন্য এক বৃদ্ধের ঘরে যাবো?
সতীনের ঘরে কি কখনো সুখের সংসার হয় না?
পৃথিবীর ইতিহাসে আজও সম্ভব হয়নি।
আসলে পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের কারোরই সঠিক ধারণা নেই।
একটা সত্য কথা বলুন এবার।
হ্যাঁ, বলুন।
আপনি বিয়ে করেছেন কবে?
সেটা জানা কি খুবই জরুরি?
অবশ্যই জরুরি।
আপনি আন্দাজ করুন।
আপনার বয়স কি সত্যিই পঞ্চান্ন নয়?
সেটাও আন্দাজ করুন।
অলরাইট, অন্তত এটা বলুন আপনি কতো সনে এস.এস.সি. পাশ করেছেন।
আমার মনে হয় এটা বলতে আমার কোন অসুবিধে নেই। ১৯৭৩ সনে এস.এস.সি. পাশ করেছি।
১৯৭৩?
চমকে গেলেন যে?
আপনি এস.এস.সি পাশ করেছেন ১৯৭৩ সনে, আর আমার জন্মই হয়েছে তারও প্রায় এক যুগ পরে। এনিওয়ে, একটা সত্য বলার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্মসনটা হিসাব করছি।
খুবই সোজা। ১৯৮৩-তে আমার জন্ম। আসছে ১৬ নভেম্বরে বিশ বছর পূর্ণ হবে।
আপনি খুবই ইনোসেন্ট।
কীভাবে বুঝলেন?
কোন মেয়ে তার জন্ম বৃত্তান্তের হিসাব এতোখানি পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষভাবে কাউকে বলে না।
কিন্তু আপনি তার সম্পূর্ণ উল্টো।
কেন, আমি কি বলিনি যে ১৯৭৩ সসে আমি এস.এস.সি. পাশ করেছি?
তাহলে আপনার বয়স কতো হলো?
আন্দাজ করুন।
১৯৭৩ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত ত্রিশ বছর, এস.এস.সি. যদি হয় পনর বছর বয়সে, ত্রিশ যোগ পনর মোট বয়স আপনার হয় ৪৫ বছর। ৪৫ বৎসর বয়সে কি স্কুল-গোয়িং নাতির দাদা হওয়া সম্ভব?
একটু ভুল শুধরে দিই। আমাদের সেই সময়ে বিশ বছরের নিচে খুব কম ছেলেই এস.এস.সি. দিয়েছে। আর আমি বিয়েটা করে ফেলেছিলাম একটু আর্লি এইজে।
তারপরও তো পঞ্চাশের ওপরে আপনার বয়স কিছুতেই হতে পারে না।
হ্যাঁ, পঞ্চাশ বছরে কি দাদা হওয়া যায় না?
কিন্তু সেই নাতির বয়স আট থেকে দশ বছর হলেই খটকা লাগে।
কিছুদিন আগে খবর হয়েছিল, বত্রিশ বছর বয়সী এক যুবক দাদা হয়েছেন। পৃথিবীর কণিষ্ঠতম দাদা।
ওহ্হোনআপনিই কি সেই কণিষ্ঠতম দাদা? কংগ্রাচুলেশন্স, দ্য ইয়াঙ্গেষ্ট গ্রান্ড-ফাদার অব দ্য ওয়ার্ল্ড।
আমি নিশ্চয়ই কণিষ্ঠতম দাদা নই। এটা একটা উদাহরণ দিলাম। ৩২ বছর বয়সে দাদা হওয়া সম্ভব হলে ৪২ বছরের কথা তো বলাই বাহুল্য। পঞ্চাশ বছর বয়সে সেই নাতির বয়স আট, যে তার দাদুর হাত ধরে স্কুলে যায়।
বাহ্, আপনি খুব সুন্দর গল্প সাজাতে পারেন। বলুন তো আপনি গল্প-টল্প লিখেন কিনা?
আমি আগেই বলেছি, ওসব লিখা-টিখার অভ্যাস আমার নেই। কিন্তু আপনার এ ধারণাটা হলো কীভাবে যে আমি গল্প বানাতে পারি?
আপনি নিজেই বলেছেন যে আপনার বয়সের ব্যাপারটা মিথ্যে ছিল, এখন আবার নিজেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রং চং মাখিয়ে রসিয়ে রসিয়ে সেটাকে সত্য বানাবার চেষ্টা করছেন।
আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি বলেছিলাম যে আমার বয়স পঞ্চান্ন না-ও হতে পারে। এখন তো আপনাকে ক্যালকুলেশন করেই দেখালাম যে আমার বয়স পঞ্চাশ হলেও এ বয়সে আট বছর বয়সী এক নাতির দাদা হওয়া অসম্ভব নয়।
আপনি রাতে খুব কম ঘুমান, তাই না?
স্যরি, আপনার ঘুমের ব্যাঘাত করছি। এখন কি তাহলে রাখবো?
মিমি হেসে দিয়ে বলে, আমি কি সেটা বলেছি?
তাহলে?
বলতে চাইছি যে যার মাথায় এতো বুদ্ধি তার তো রাতে ঘুম হওয়ার কথা নয়।
শুধু আপনিই নন, আমার কম বুদ্ধি নিয়ে আমার বন্ধু-বান্ধব সবাই আমাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করে।
স্যরি, আমি তো একটা ফান করলাম, তাতেই এতোখানি সিরিয়াস হয়ে গেলেন?
স্যরি, আমার বুদ্ধি কম তো, তাই ফান ধরতে পারি না।
মিমি হিহিহি করে হাসতে থাকে। শাহিদ বলে, আমার স্ত্রীর সাথে কিন্তু আমি উল্টো আচরণ করি। তার সাথে ফান করতে থাকি, সে আস্তে আস্তে ফুঁসতে থাকে, তার বউরা তা দেখে কিটকিট করে হাসতে থাকে, তাতে সে আরো রেগে মেগে জ্বলে ওঠে।
আপনি একটা চমৎকার মানুষ। ব- অন্য রকম।
আমার বুকটা ভরে গেল।
তাহলে কি এখন রাখা যায়, জনাব?
ইয়েস ম্যাডাম, বাই অল মিন্স।
এই খবরদার, আমি আবারো ওয়ার্নিং দিয়ে রাখছি, নীলক্ষেতে বুকস্টলে যদি আপনাকে দেখি তাহলে কিন্তু রক্ষা নেই।
জো হুকুম, মহারাণী।
তাহলে ভালো থাকুন।
আপনিও ভালো থাকুন।
আবার কথা হবে। খোদা হাফিজ।
আল্লাহ্ হাফিজ।


পরের পর্ব

আগের পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×